লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সওম পবিত্র করা
২০১৩-[১৫] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন শার’ঈ কারণ কিংবা কোন রোগ ছাড়া রমাযানের কোনদিন ইচ্ছা করে সওম পালন না করে, তাহলে সারা জীবন সওম রেখেও তার কাযা আদায় হবে না। (আহমদ, তিরমিযী, আবূ দাঊদ, ইবনু মাজাহ, দারিমী, তারজামাতুল বাব, বুখারী। ইমাম তিরমিযী বলেন, আমি মুহাম্মাদ অর্থাৎ- ইমাম বুখারীকে বলতে শুনেছি, আবূল মুত্বও্য়িস নামক রাবী এ হাদীস ছাড়া অন্য কোন হাদীস বর্ণনা করেছেন বলে জানি না।)[1]
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ أَفْطَرَ يَوْمًا مِنْ رَمَضَانَ مِنْ غَيْرِ رُخْصَةٍ وَلَا مَرَضٍ لَمْ يَقْضِ عَنْهُ صَوْمُ الدَّهْرِ كُلِّهِ وَإِنْ صَامَهُ» . رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَابْنُ مَاجَهْ وَالدَّارِمِيُّ وَالْبُخَارِيُّ فِي تَرْجَمَةِ بَابٍ وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: سَمِعْتُ مُحَمَّدًا يَعْنِي البُخَارِيّ يَقُول. أَبُو الطوس الرَّاوِي لَا أَعْرِفُ لَهُ غَيْرَ هَذَا الْحَدِيثِ
ব্যাখ্যা: (لَمْ يَقْضِ عَنْهُ صَوْمُ الدَّهْرِ كُلِّه وَإِنْ صَامَه) ‘‘যদিও সারা জীবন সিয়াম পালন করে তথাপি (বিনা কারণে) রমাযানের একটি সিয়াম ভেঙ্গে ফেললে তা পূর্ণ হবে না।’’ অর্থাৎ- সারা জীবন নফল সিয়াম করলেও রমাযান (রমজান) মাসের ভেঙ্গে ফেলা সিয়ামের ফাযীলাত ও বারাকাত পাবে না, যদিও ঐ ভাঙ্গা সিয়ামের কাযা করার নিয়্যাতে সিয়াম পালন করার ফলে তার ওপর অর্পিত ফরযের দায় থেকে মুক্তি পাবে তথা সিয়াম ভঙ্গের গুনাহ থেকে রেহাই পাবে।
ইবনু মাস্‘ঊদ, ‘আলী ও আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে, বিনা ‘উযরে ইচ্ছাকৃতভাবে রমাযানের একটি সিয়াম ভেঙ্গে সারা জীবন সিয়াম পালন করলেও ঐ সিয়াম ভঙ্গের গুনাহ থেকে রেহাই পাবে না। ইবনু হাযম-এর অভিমতও তাই। পক্ষান্তরে সা‘ঈদ ইবনুল মুসাইয়্যিব, শা‘বী, ইবনু জুবায়র, ইব্রাহীম, কাতাদাহ্, হাম্মাদ ও অধিকাংশ ‘আলিমগণ মনে করেন রমাযানের ভেঙ্গে ফেলা এক সিয়ামের পরিবর্তে একদিন কাযা সিয়াম পালন করলেই যথেষ্ট হবে।