লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - সওম পবিত্র করা
২০০২-[৪] ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইহরাম অবস্থায় শিঙ্গা লাগিয়েছেন। ঠিক এভাবে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সায়িম অবস্থায় শিঙ্গা লাগিয়েছেন। (বুখারী, মুসলিম)[1]
بَابُ تَنْزِيْهِ الصَّوْمِ
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: إِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ احْتَجَمَ وَهُوَ مُحْرِمٌ وَاحْتَجَمَ وَهُوَ صَائِمٌ
ব্যাখ্যা: (وَاحْتَجَمَ وَهُوَ صَائِمٌ) ‘‘আর সিয়ামরত অবস্থায় তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) রক্তমোক্ষণ করিয়েছেন।’’ আমীর ইয়ামানী বলেনঃ হাদীসের প্রকাশ্য অর্থ এই যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সিয়াম অবস্থায় রক্তমোক্ষণ করিয়েছেন। অনুরূপভাবে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইহরাম অবস্থায়ও রক্তমোক্ষণ করিয়েছেন কিন্তু এ দু’টি বিষয় তিনি একত্রে করেননি। কেননা বিদায় হাজ্জের ইহরামে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সিয়াম পালন করেননি। অনুরূপভাবে মক্কা বিজয়ের বৎসর তিনি সিয়াম পালন করলেও ইহরাম অবস্থায় ছিলেন না। অনুরূপভাবে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কোন ‘উমরাতেও ইহরাম অবস্থায় নফল সিয়াম পালন করেছেন বলে কোন প্রমাণ নেই। অতএব তার এ দু’টি কাজ একত্রে হয়নি। বরং তা পৃথকভাবে ভিন্ন সময়ে সংঘটিত হয়েছে। সিয়াম অবস্থায় রক্তমোক্ষণ করার বিধান কি? এ বিষয়ে ‘উলামাগণের মাঝে মতানৈক্য রয়েছে।
১. তা সিয়াম ভঙ্গ করে না। এ অভিমত পোষণ করেন ইমাম মালিক, ইমাম শাফি‘ঈ, ইমাম আবূ হানীফাহ সহ জমহূর ‘আলিমগণ। ইবনু ‘আব্বাস থেকে বর্ণিত অত্র হাদীসটি তাদের মতের স্বপক্ষে দলীল।
২. যে রক্তমোক্ষণ করায় এবং যিনি তা করেন, উভয়ের সিয়াম ভঙ্গ হয়ে যাবে। এ অভিমত পোষণ করেন ‘আত্বা, আওযা‘ঈ, আহমাদ, ইসহাক, আবূ সাওর, ইবনু খুযায়মাহ্, ইবনুল মুনযির, আবূল ওয়ালীদ নীসাপূরী ও ইবনু হিববান প্রমুখ ‘আলিমগণ। তাদের দলীল (أفطر الحاجم) রক্তমোক্ষণকারী এবং যে তা করালো উভয়ের সিয়াম ভঙ্গ হয়ে গেছে, অত্র হাদীস।
৩. সায়িমের জন্য তা মাকরূহ। এ অভিমত পোষণ করেন মাসরূক, হাসান বাসরী এবং ইবনু সিরীন। যারা বলেন রক্তমোক্ষণ সিয়াম ভঙ্গ করেন তারা বলেন, (أفطر الحاجم والمحجوم) হাদীসটি মানসূখ।
ইবনু হাযম বলেনঃ আবূ সা‘ঈদ থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সায়িমকে রক্তমোক্ষণ করার অনুমতি দিয়েছেন, এর সানাদ সহীহ। এতে জানা গেল যে, অনুমতি দেয়ার পূর্বে তা নিষেধ ছিল। এ অনুমতির ফলে পূর্বের নিষেধাজ্ঞা বাতিল হয়ে গেল।