লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৭. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - মৃত ব্যক্তির জন্য কাঁদা
১৭৬১-[৪০] উম্মুদ্ দারদা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবুদ্ দারদা (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, তিনি আবুল ক্বাসিমকে (রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে) বলতে শুনেছেন যে, আল্লাহ তা’আলা বলেছেনঃ হে ’ঈসা! আমি তোমার পরে এমন এক উম্মাত পাঠাব, যারা তাদের পছন্দনীয় জিনিস পেলে আল্লাহর প্রশংসা করবে, আর বিপদে পড়লে সাওয়াবের আশা করবে ও ধৈর্যধারণ করবে। অথচ এ সময় তাদের কোন জ্ঞান ও ধৈর্যশক্তি থাকবে না। এ সময় তিনি [’ঈসা (আঃ)] নিবেদন করবেন, হে আমার রব! তাদের জ্ঞান ও ধৈর্য না থাকলে এটা কেমন করে হবে? তখন আল্লাহ বললেন, আমি আমার সহিষ্ণুতা ও জ্ঞান হতে তাদেরকে কিছু দান করব। (উপরের দু’টি হাদীসই বায়হাক্বীর শু’আবিল ঈমানে বর্ণিত হয়েছে)[1]
وَعَنْ أُمِّ الدَّرْدَاءِ قَالَتْ: سَمِعْتُ أَبَا الدَّرْدَاءِ يَقُولُ: سَمِعْتُ أَبَا الْقَاسِمِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: إِنَّ اللَّهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى قَالَ: يَا عِيسَى إِنِّي بَاعِثٌ مِنْ بَعْدِكَ أُمَّةً إِذَا أَصَابَهُمْ مَا يُحِبُّونَ حَمِدُوا اللَّهَ وَإِنْ أَصَابَهُمْ مَا يَكْرَهُونَ احْتَسَبُوا وَصَبَرُوا وَلَا حِلْمَ وَلَا عَقْلَ. فَقَالَ: يَا رَبِّ كَيْفَ يَكُونُ هَذَا لَهُمْ وَلَا حِلْمَ وَلَا عَقْلَ؟ قَالَ: أُعْطِيهِمْ مِنْ حِلْمِي وَعِلْمِي . رَوَاهُمَا الْبَيْهَقِيُّ فِي شعب الْإِيمَان
ব্যাখ্যা: এ হাদীসের মাধ্যমে জানা যাচ্ছে যে, সুখ শান্তির সময় আল্লাহর গুণগান গেতে হবে, বিপদে-আপদে ধৈর্য ধারণ করতে হবে এবং সাওয়াবের আশা রাখতে হবে। এর সাথে এ হাদীসে ‘ঈসা (আঃ) এর পরবর্তী উম্মাত তথা আমাদের মান-মর্যাদার কথা তুলে ধরা হযেছে।
হাদীসের মধ্যে امة এর অর্থ হল, বিরাট দল। এর দ্বারা উদ্দেশ্য হল, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নেককার উম্মাতগণ। আল্লাহ তা‘আলা ‘ঈসা (আঃ) কে বললেন, তোমার পরে এমন একটি জাতি আসবে তাদের কাছে যখন কোন সুসংবাদ আসবে এবং যখন তারা আল্লাহর পক্ষ থেকে কোন নি‘আমাতপ্রাপ্ত হবে তখন তারা আল্লাহর প্রশংসা করবে। এজন্যে উম্মাতে মুহাম্মাদী সর্বদা আনন্দের সময় আল্লাহর গুণকীর্তন গায়।
আর যখন তাদের কাছে তাদের অপছন্দনীয় কোন সংবাদ আসবে তথা কোন বিপদ মেনে আসবে তখন তারা এর উপর ধৈর্য ধারণ করবে। আর আল্লাহর কাছে এর জন্য সাওয়াবের আশা করবে। অথচ তাদের কোন ধৈর্য ও জ্ঞান নেই। ‘ঈসা (আঃ) বললেন, হে আল্লাহ! এটা কি করে সম্ভব যে, তাদের ধৈর্য ও জ্ঞান না থাকা সত্ত্বেও তারা ধৈর্য ধারণ করবে। আল্লাহ তা‘আলা বললেন, আমি তাদেরকে আমার পক্ষ থেকে ধৈর্য, কৌশল ও জ্ঞান দান করব।
এ হাদীস থেকে বুঝা যাচ্ছে যে, ধৈর্য আল্লাহর পক্ষ হতে এক বিরাট নি‘আমাত।
সর্বশেষ কথা হল, এ হাদীস ঐ ব্যক্তিকে ধৈর্যের প্রতি উৎসাহ দান করেছে, যে নিজের ব্যাপারে ও তার মালের ব্যাপারে বিপদের মধ্যে রয়েছে। এ হাদীস উম্মাতে মুহাম্মাদীর গুরুত্ব ও ফাযীলাতের কথা গুরুত্বের সাথে তুলে ধরেছে।