লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৭. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - মৃত ব্যক্তির জন্য কাঁদা
১৭৫০-[২৯] ’ইমরান ইবনু হুসায়ন ও আবূ বারযাহ্ (রাঃ)হতে বর্ণিত। তাঁরা বলেন, আমরা একবার রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে এক জানাযায় গিয়েছিলাম। ওখানে এমন কিছু লোককে দেখা গেল, যারা শোকের চিহ্নের জন্য তাদের গায়ের চাদর খুলে রেখে শুধু জামা পরে হাঁটছে। (এ অবস্থা দেখে) রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা কি জাহিলিয়্যাতের কার্যক্রমের (মূর্খতা ও অজ্ঞতার) উপর ’আমল করছ অথবা জাহিলিয়্যাতের কার্যক্রমের মতো কার্যক্রম অবলম্বন করছ? তারপর তিনি বললেন, আমার ইচ্ছা হচ্ছে এমন বদ্দু’আ করতে যাতে তোমরা ভিন্ন আকৃতি নিয়ে (অর্থাৎ বানর বা শুয়োরের আকৃতিতে) ঘরে ফিরে যাও। বর্ণনাকারী বলেন, এ কথা শুনে তারা তাদের চাদরগুলো গায়ে পড়ল। এরপর কখনো তারা এমনটি করেনি। (ইবনু মাজাহ)[1]
وَعَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ وَأَبِي بَرْزَةَ قَالَا: خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي جَنَازَةٍ فَرَأَى قَوْمًا قَدْ طَرَحُوا أَرْدَيْتَهُمْ يَمْشُونَ فِي قُمُصٍ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَبِفِعْلِ الْجَاهِلِيَّةِ تَأْخُذُونَ؟ أَوْ بِصَنِيعِ الْجَاهِلِيَّةِ تَشَبَّهُونَ؟ لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ أَدْعُوَ عَلَيْكُمْ دَعْوَةً تَرْجِعُونَ فِي غَيْرِ صُوَرِكُمْ» قَالَ: فَأخذُوا أرديتهم وَلم يعودوا لذَلِك. رَوَاهُ ابْن مَاجَه
ব্যাখ্যা: এ হাদীসে শোক প্রকাশের জন্য প্রচলিত পোশাকের পরিচর্যা করে লাশের সাথে হাঁটতে নিষেধ করা হয়েছে। বলা হয়েছে যে, এ জাতীয় কাজ জাহিলী যুগের লোকদের কাজের সাথে সাদৃশ্য রাখে। কেননা তাদের প্রচলিত পোশাক ছিল জামার উপর চাদর পরা। শোক প্রদর্শনের জন্য তারা জামার উপর চাদর তুলে রাখতো। যারা এ জাতীয় কাজ করবে তাদের জন্য রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সতর্ক বাণী হল, আমার ইচ্ছা হয় যে, তোমাদের চেহারা বিকৃতির জন্য বদ্দু‘আ করি।
এ ব্যাখ্যায় আল্লামা ত্বীবী (রহঃ) বলেন, এটা চেহারা বিকৃত হয়ে ফিরে যাওয়া সম্ভাবনা রাখে।
মীরাক বলেন, এর দ্বারা উদ্দেশ্য হল, তোমরা এমন অবস্থায় তোমাদের বাড়ীতে ফিরবে যে, তোমাদের চেহারা বিকৃত হয়ে যাবে। অথবা তোমরা যে অবস্থায় আছ তা পরিবর্তন হয়ে যাবে।
মূলত এ কথা দ্বারা সতর্ক করা হয়েছে যে, মৃত ব্যক্তির সাথে তথা লাশের সাথে উলঙ্গ শরীরে হাটা যাবে না। এ হাদীসটি দুর্বল সানাদে ইবনু মাজাতে বর্ণিত হয়েছে।