লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৭. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - মৃত ব্যক্তির জন্য কাঁদা
১৭৪৭-[২৬] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পরিবারের কোন একজন (যায়নাব) মারা গেলেন। তখন কয়েকজন মহিলা একত্রিত হয়ে তাঁর জন্য কাঁদতে লাগল। এ অবস্থায় ’উমার (রাঃ) দাঁড়িয়ে গেলেন। তিনি তাদেরকে কাঁদতে নিষেধ করলেন, আর ভাগিয়ে দিতে লাগলেন। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ অবস্থা দেখে বললেন, ’উমার! এদেরকে নিজ অবস্থায় ছেড়ে দাও। কারণ এদের চোখ কাঁদছে, হৃদয় ক্ষত-বিক্ষত, আর মৃত্যুর সময়ও নিকটবর্তী। (আহমাদ, নাসায়ী)[1]
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: مَاتَ مَيِّتٌ مِنْ آلِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاجْتَمَعَ النِّسَاءُ يَبْكِينَ عَلَيْهِ فَقَامَ عُمَرُ يَنْهَاهُنَّ وَيَطْرُدُهُنَّ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «دَعْهُنَّ فَإِنَّ الْعَيْنَ دَامِعَةٌ وَالْقَلْبَ مُصَابٌ وَالْعَهْدَ قَرِيبٌ» . رَوَاهُ أَحْمد وَالنَّسَائِيّ
ব্যাখ্যা: এ হাদীসে দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, মৃত ব্যক্তির জন্য নীরবে কান্না করা জায়িয আছে। এখানে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পরিবারের লোক বলে তাঁর কন্যা যায়নাব (রাঃ)-কে বুঝানো হয়েছে। তার মৃত্যুতে মহিলারা একত্রিত হয়ে ক্রন্দন করতে লাগলে ‘উমার (রাঃ) তাদেরকে এরূপ করতে নিষেধ করলেন। তখন রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘উমার (রাঃ) কে বললেন, তাদেরকে কান্নার সুযোগ দাও।
দেখা যাচ্ছে, এ হাদীসটি এ অধ্যায়ের অন্যান্য হাদীসের বিরোধী। আসলে তা নয়। এর সমাধানে মুহাদ্দিসীনগণ বিভিন্ন মতামত পেশ করেছেন। যেমন, আল্লামা সিনদী (রহঃ) বলেন, তাদের কান্না ছিল নীরবে চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে, যাতে কোন উচ্চৈঃস্বরে বিলাপ ছিল না। আর এ ধরনের কান্নার ব্যাপারে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার উম্মাতকে ছাড় দিয়েছেন।
আল্লামা ক্বারী (রহঃ) বলেন, তারা শব্দ করে কাঁদছিলেন। তবে তা উচ্চৈঃস্বরে ছিল না।
এ হাদীস থেকে আরো বুঝা যাচ্ছে যে, অন্তরের মধ্যে দুঃখ উপলব্ধি হয় এবং এর বহিঃপ্রকাশ ঘটে চোখের পানি বিসর্জনের মাধ্যমে। বিপদের সময়ের নিকটবর্তী হলো। সুতরাং বিপদের সময় ধৈর্যধারণ করা খুবই কঠিন কাজ। তারপরও মু’মিনকে সকল বিপদে ধৈর্যধারণ করতে হবে। তাহলে আল্লাহর কাছে এর প্রতিদান পাওয়া যাবে।