লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মৃত ব্যক্তির জন্য কাঁদা
১৭৩৩-[১২] সা’দ ইবনু আবী ওয়াক্কাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মু’মিনের কাজ বড় বিস্ময়কর। সে সুখের সময় যেমন আল্লাহর প্রশংসা ও শুকর করে, আবার বিপদেও তেমনি আল্লাহর প্রশংসা ও ধৈর্যধারণ করে। মু’মিনকে প্রতিটি কাজের জন্যই প্রতিদান দেয়া হয়। এমনকি তার স্ত্রীর মুখে খাবারের লোকমা তুলে দেয়ার সময়েও। (বায়হাক্বী’র শু’আবুল ঈমান)[1]
وَعَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: عَجَبٌ لِلْمُؤْمِنِ: إِنْ أَصَابَهُ خَيْرٌ حمد الله وَشَكَرَ وَإِنْ أَصَابَتْهُ مُصِيبَةٌ حَمِدَ اللَّهَ وَصَبَرَ فالمؤمن يُؤْجَرُ فِي كُلِّ أَمْرِهِ حَتَّى فِي اللُّقْمَةِ يَرْفَعُهَا إِلَى فِي امْرَأَتِهِ. رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي شعب الْإِيمَان
ব্যাখ্যা: এ হাদীসে মু’মিনের চরিত্র সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। সুখ-স্বাচ্ছন্দে ও বিপদে-আপদে মু’মিনের চরিত্রে কেমন হওয়া উচিত সে বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, মু’মিন ব্যক্তি যখন কোন কল্যাণকর বিষয় লাভ করে তখন সে আল্লাহর প্রশংসা ও শুকরিয়া আদায় করবে। যাতে করে সে আরো কল্যাণকর বস্ত্ত লাভ করতে পারে এবং সকল ক্ষতিকর বস্ত্ত থেকে বেঁচে থাকতে পারে। আর যখন তাকে কোন বিপদ পেয়ে বসে তখনও সে আল্লাহর প্রশংসা করে এবং এ বিপদের ক্ষেত্রে ধৈর্যের পরিচয় দেয় যতক্ষণ না আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে এ বিপদ দূর করে না দেন।
আল্ ক্বারী বলেন, এ হাদীস এ কথাও প্রমাণ করে যে, ঈমানের দু’টি অংশ। একটি অংশ হল, সবর তথা ধৈর্য। আর অপর অংশ হল, শুকর তথা গুণকীর্তন করা। ইবনু মালিক বলেন, বিপদের সময় শুকরিয়া আদায় করার উদ্দেশ্য হল, এর দ্বারা আল্লাহ বড় ধরনের সাওয়াব দান করবেন। আর সাওয়াব তো অনেক বড় নি‘আমাত।
এ হাদীস আরো প্রমাণ করে যে, মু’মিন তার প্রতিটি কাজে সাওয়াব পাবে এমন কি সে তার পরিবারের জন্য যা ব্যয় করে তারও সাওয়াব পাবে। তবে তার প্রতিটি কাজ শারী‘আত তথা কুরআন ও সহীহ হাদীসের মাপকাঠিতে হতে হবে।