লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৭. প্রথম অনুচ্ছেদ - মৃত ব্যক্তির জন্য কাঁদা
১৭৩১-[১০] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে এ হাদীসটিও বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা বলেন, আমি যখন আমার কোন মু’মিন বান্দার প্রিয় জিনিসকে দুনিয়া হতে উঠিয়ে নেই আর বান্দা এজন্য সবর অবলম্বন করে সাওয়াবের প্রত্যাশী হয়, তাহলে আমার কাছে তার জন্য জান্নাতের চেয়ে উত্তম কোন পুরস্কার নেই। (বুখারী)[1]
اَلْبُكَاءُ عَلَى الْمَيِّتِ
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَقُولُ اللَّهُ: مَا لِعَبْدِي الْمُؤْمِنِ عِنْدِي جَزَاءٌ إِذَا قَبَضْتُ صَفِيَّهُ مِنْ أَهْلِ الدُّنْيَا ثُمَّ احتسبه إِلَّا الْجنَّة . رَوَاهُ البُخَارِيّ
ব্যাখ্যা: আলোচ্য হাদীসে এমন ব্যক্তির ফাযীলাতের কথা বলা হয়েছে যার কোন প্রিয়জন যাকে সে অনেক ভালবাসে যেমন সন্তান বা ভাই, এদের কেউ অপ্রাপ্ত বয়সে মারা গেলে উক্ত ব্যক্তি যদি সাওয়াবের আশায় আল্লাহর ফায়সালার উপর সন্তুষ্ট থাকে। তাহলে আল্লাহ তা‘আলা উক্ত ব্যক্তিকে উত্তম প্রতিদান দিবেন আর তা হল জান্নাত। আল্লাহ তা‘আলা তার প্রতি অত্যন্ত খুশী থাকবেন।
হাদীসের ভাষ্য মতে বুঝানো হচ্ছে যে, যার প্রিয়জন মারা যাবে তাকে অবশ্যই সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে এবং সাওয়াবের আশা করতে হবে। সাওয়াবের আশা বলতে বুঝানো হয়েছে যে, সে ধরে নিবে যে, এর প্রতিদান সে আল্লাহর নিকট পাবে। তাহলে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
আল্লামা ক্বারী (রহঃ) বলেন, তার প্রতিদান স্বরূপ যা রয়েছে তা জান্নাত ছাড়া আর কিছু নয়।
এ হাদীস থেকে বুঝা যাচ্ছে যে, প্রিয়ভাজন তিন, দুই অথবা একজনও যদি মারা যায় তবে তাঁর প্রতিদান জান্নাত।
আল্লামা হাফিয (রহঃ) বলেন, ইবনু বাত্তাল এর দ্বারা দলীল গ্রহণ করেছেন যে, যদি কারো একটি সন্তানও মারা যায় তাহলে সে তিনটি সন্তান মারা যাওয়ার পুরস্কার লাভ করবে। অর্থাৎ সন্তান এক বা একাধিক মারা গেলে তার প্রতিদান জান্নাত।
আলোচ্য হাদীসের আলোকে জানা যায় যে, কোন মুসলিম ব্যক্তির এক বা একাধিক অপ্রাপ্ত বয়স্ক প্রিয়ভাজন তথা সন্তান বা ভাই মারা যায় আর সে এর উপর সাওয়াবের আশায় ধৈর্য ধারণ কবে তবে তার প্রতিদান হল জান্নাত।