লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মৃত ব্যক্তির দাফনের বর্ণনা
১৭০৪-[১২] জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, উহুদের যুদ্ধের দিন আমার ফুফু আমার পিতার (’আবদুল্লাহর) লাশ আমাদের কবরস্থানে দাফন করার জন্য নিয়ে আসলেন। কিন্তু রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর তরফ থেকে একজন আহবানকারী জানালেন, শাহীদদেরকে তাঁদের শাহাদাতের জায়গায় পৌঁছিয়ে দাও। (আহমাদ, তিরমিযী, আবূ দাঊদ, নাসায়ী, দারিমী; হাদীসের শব্দগুলো হলো তিরমিযীর)[1]
وَعَنْ جَابِرٍ قَالَ: لَمَّا كَانَ يَوْمُ أُحُدٍ جَاءَتْ عَمَّتِي بِأَبِي لِتَدْفِنَهُ فِي مَقَابِرِنَا فَنَادَى مُنَادِي رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «رُدُّوا الْقَتْلَى إِلَى مَضَاجِعِهِمْ» . رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ وَالدَّارِمِيُّ وَلَفظه لِلتِّرْمِذِي
ব্যাখ্যা: এ হাদীসে মৃত ব্যক্তিকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত করার বিষয়টি আলোচনা করা হয়েছে। মৃত ব্যক্তিকে এ দেশ থেকে অন্য দেশে স্থানান্তরিত করার ব্যাপারে মতভেদ রয়েছে। কেউ কেউ এটাকে মাকরূহ বলেছেন। কারণ এতে মৃত ব্যক্তিকে দাফন করতে দেরি হয় এবং তার সম্মান নষ্ট হয়। আবার কেউ কেউ বিশেষ প্রয়োজনে এটাকে মুস্তাহাব বলেছেন। যেমন, মক্কা বা এ জাতীয় ফাযীলাতপূর্ণ স্থানে দাফন করার জন্য নিয়ে যাওয়া। ইবনু কুদামাহ্ বলেন, শাহীদরা যেখানে শাহাদাত বরণ করেন, সেখানেই তাদেরকে দাফন করানো মুস্তাহাব। এর একটি হিকমাত হলো যে, তারা একত্রে আল্লাহর দীনের জন্য লড়াই করেছে এবং তারা এক সাথে শাহাদাত বরণ করেছে এবং তারা এক সাথে জীবন যাপনও করেছিল, বিধায় তারা এক সাথে হাশরের ময়দানে উঠবে। আর তাদের কবর যিয়ারত করাও মানুষের জন্য সহজ হবে।
এখানে আরো একটি বিষয় উল্লেখ্য যে, একান্ত প্রয়োজন ছাড়া লাশ দাফন করার পর তাকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা ঠিক নয়।