লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - রোগী দেখা ও রোগের সাওয়াব
১৫৪৯-[২৭] আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, আল্লাহ তা’আলা বলেছেনঃ আমি যখন আমার কোন বান্দাকে তার প্রিয় দু’টি জিনিস দিয়ে বিপদগ্রস্ত করি, আর সে এর উপর ধৈর্যধারণ করে, আমি তাকে এ দু’টি প্রিয় জিনিসের বিনিময়ে জান্নাত দান করব। প্রিয় দু’টো জিনিস বলতে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’টো চোখ বুঝিয়েছেন। (বুখারী)[1]
بَابُ عِيَادَةِ الْمَرِيْضِ وَثَوَابِ الْمَرَضِ
وَعَن أَنَسٍ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: قَالَ اللَّهُ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى: إِذَا ابْتَلَيْتُ عَبْدِي بِحَبِيبَتَيْهِ ثُمَّ صَبَرَ عَوَّضْتُهُ مِنْهُمَا الْجنَّة يُرِيد عَيْنَيْهِ. رَوَاهُ البُخَارِيّ
ব্যাখ্যা: (إِذَا ابْتَلَيْتُ عَبْدِي بِحَبِيبَتَيْهِ) আমি যখন আমার কোন বান্দাকে তার দু’টি বস্ত্ত সম্পর্কে বিপদগ্রস্ত করি। তথা তার দু’ চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে যাওয়া কারও মতে দু’ চোখের উপর মুসীবাত অর্পিত হয় ফলে দেখতে পায় না। হাফিয ইবনু হাজার বলেন, প্রিয় বস্ত্ত ‘‘চক্ষু’’ দ্বারা উদ্দেশ্য হল, কেননা তা মানুষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সবচেয়ে প্রিয় আর এটা এজন্য যে, তা খোয়া গেলে আফসোসের সীমা থাকে না। ভাল কোন কিছু দেখলে আনন্দিত হত এবং খারাপ কিছু দেখলে বেঁচে থাকত তা হতে বঞ্চিত হওয়ার জন্যে।
(ثُمَّ صَبَرَ) অতঃপর সে ধৈর্য ধারণ করল।
হাফিয ইবনু হাজার বলেনঃ আল্লাহ ধৈর্যশীলকে সাওয়াব প্রতিদানের যে ওয়া‘দা করেছেন তার উপর সে ধৈর্য ধারণ করে, না এ থেকে মুক্ত হয়ে সবর করে। কেননা ‘আমলসমূহ নির্ভর করে নিয়্যাতের উপর আর দুনিয়াতে তার বান্দাকে আল্লাহর পরীক্ষা তার ওপর তাঁর অসন্তোষ না। বরং খারাপকে প্রতিহত করা অথবা পাপকে মিটিয়ে দেয়া বা মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেয়ার জন্যে। সুতরাং এরূপ মুসীবাত হাসিমুখে গ্রহণ করলে অনুরূপ উদ্দেশ্য সফল হবে আর না হলে হবে না।
যেমন সালমান-এর হাদীস যা ইমাম বুখারী আদাবুল মুফরাদে এনেছেন,
أَنَّ مَرَضَ الْمُؤْمِنِ يَجْعَلُهُ اللهُ لَه كَفَّارَةٌ وَمُسْتَعْتِبًا، وَأَنَّ مَرَضَ الْفَاجِرِ كَالْبَعِيْرِ عَقْلُه أَهْلُه ثُمَّ أَرْسَلُوْهُ فَلَا يَدْرِىْ لَمْ أَعْقل وَلَمْ أَرْسِلْ.
মু’মিনের রোগ আল্লাহ তা‘আলা তার পাপ মোচনের ব্যবস্থা করেন আর পাপী লোকদের অবস্থা ঐ উটের মতো যে তার মালিক তাকে বাঁধল আবার ছেড়ে দিল, সে বুঝে না কেন মালিক তাকে বাঁধল এবং কেনই বা ছেড়ে দিল।