লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - রোগী দেখা ও রোগের সাওয়াব
১৫৩০-[৮] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাদের কারো অসুখ হলে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর ডান হাত রোগীর গায়ে বুলিয়ে দিয়ে বলতেন, হে মানুষের রব! এ ব্যক্তির রোগ দূর করে দিন। তাকে নিরাময় করে দিন। নিরাময় করার মালিক আপনিই। আপনার নিরাময় ছাড়া আর কোন নিরাময় নেই। এমন নিরাময় যা কোন রোগকে বাকী রাখে না। (বুখারী, মুসলিম)[1]
بَابُ عِيَادَةِ الْمَرِيْضِ وَثَوَابِ الْمَرَضِ
وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا اشْتَكَى مِنَّا إِنْسَانٌ مَسَحَهُ بِيَمِينِهِ ثُمَّ قَالَ: «أَذْهِبِ الْبَاسَ رَبَّ النَّاسِ وَاشْفِ أَنْتَ الشَّافِي لَا شِفَاءَ إِلَّا شِفَاؤُكَ شِفَاءٌ لَا يُغَادِرُ سَقَمًا»
ব্যাখ্যা: হাদীসের ভাষ্য মতে ডান হাত দিয়ে রুগী ব্যক্তিকে মাসাহ করা ভাল এবং তার জন্য দু‘আ করা। ইমাম নাবাবী বলেনঃ কিতাবুল আযকারে আমি অনেক সহীহ দু‘আসমূহের বর্ণনা একত্রিত করেছি আর এই দু‘আটি হচ্ছে তন্মধ্যে রুগী ব্যক্তির জন্য রোগমুক্তি কামনা করে দু‘আ করা সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে এজন্য যে, অসংখ্য হাদীসে এসেছে রোগ গুনাহসমূহের কাফফারাহ্ তথা গুনাহসমূহকে মিটিয়ে দেয় এর প্রতিদান রয়েছে। এর জবাব মূলত দু‘আ একটি ‘ইবাদাত, কেননা তা সাওয়াব ও কাফফারার বিরোধী না দু’টিই অর্জিত হয় রোগের প্রথম অবস্থায় এবং তার উপর ধৈর্য ধরার মাধ্যমে দু‘আকারী উত্তমভাবে ব্যক্ত করে থাকেন, হতে পারে তার জন্য তার উদ্দেশ্য সফল হবে অথবা এর পরিবর্তে উপকার আসবে বা ক্ষতি দূরীভূত হবে। আর প্রত্যেকটিই আল্লাহ তা‘আলার অনুগ্রহ।