লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৪৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - খুতবাহ্ ও সালাত
১৪০৬-[৬] ’আম্মার (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ কোন ব্যক্তির দীর্ঘ সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) ও সংক্ষিপ্ত খুতবাহ্ (খুতবা) তার বুদ্ধিমত্তার পরিচায়ক। তাই তোমরা সালাতকে লম্বা করবে, খুতবাকে খাটো করবে। নিশ্চয় কোন কোন ভাষণ যাদু স্বরূপ। (মুসলিম)[1]
بَابُ الْخُطْبَةِ وَالصَّلَاةِ
وَعَنْ عَمَّارٍ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِنَّ طُولَ صَلَاةِ الرَّجُلِ وَقِصَرَ خُطْبَتِهِ مَئِنَّةٌ مِنْ فِقْهِهِ فَأَطِيلُوا الصَّلَاة واقصروا الْخطْبَة وَإِن من الْبَيَان سحرًا» . رَوَاهُ مُسلم
ব্যাখ্যা: (فَأَطِيْلُوا الصَّلَاة وَأَقْصِرُوا الْخُطْبَةَ) আল্লামা নাবাবী (রহঃ) বলেনঃ أَقْصِرُوْا শব্দে হামযাহটি ওয়াসাল (যা বাক্যের মাঝে অনুচ্চারিত থাকে) এ হাদীসটি পূর্বে উল্লেখিত মাশহুর হাদীসগুলোর বিরোধী নয়, (সালাত সংক্ষেপকরণের ব্যাপারে আগত হাদীস) তার কথায় পূর্ণ বর্ণনায় রয়েছে।
কেননা ‘আম্মার (রাঃ) বর্ণিত হাদীস দ্বারা উদ্দেশ্য হলোঃ নিশ্চয় সালাত খুতবাহ্ অনুযায়ী দৈর্ঘ্য হবে (খুতবাহ্ দীর্ঘায়িত হলে সালাত সংক্ষিপ্ত ও খুতবাহ্ সংক্ষেপ হলে সালাত দীর্ঘায়িত) এমন দীর্ঘায়িত হবে না যাতে মুক্তাদীদের ওপর দুঃসাধ্য হয় এবং সেটা হবে মধ্যম পন্থা অবলম্বন (বেশী দীর্ঘ নয়, বেশী সংক্ষিপ্তও নয়)। ক্বারী (রহঃ) বলেনঃ উভয় হাদীসের মাঝে কোন বৈপরীত্য নেই। কেননা জাবির (রাঃ)-এর হাদীস উভয়টির ব্যাপারে মধ্যম পন্থা অবলম্বনের উপর প্রমাণ করে। আর ‘আম্মার (রাঃ)-এর হাদীস দ্বিতীয়টি সংক্ষেপের উপর প্রমাণ করে। এরপর এ হাদীস মুসলিমে বর্ণিত আবূ যায়দ-এর বর্ণিত হাদীসের বিরোধী নয়। অর্থাৎ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সাথে ফাজ্রের (ফজরের) সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করলেন এবং মিম্বারে আরোহণ করলেন। অতঃপর তিনি যুহর পর্যন্ত খুতবাহ্ দিলেন, অতঃপর মিম্বার হতে নেমে সালাত আদায় করলেন। অতঃপর মিম্বারে আরোহণ করে ‘আসর পর্যন্ত খুতবাহ্ দিলেন। এরপর নেমে সালাত আদায় করলেন তারপর আবার মিম্বারে আরোহণ করে সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত খুতবাহ্ দিলেন। (আল্লাহ তা‘আলাই ভাল জানেন)