১৪০৪

পরিচ্ছেদঃ ৪৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - খুতবাহ্ ও সালাত

১৪০৪-[৪] সায়িব ইবনু ইয়াযীদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আবূ বকর (রাঃ) ও ’উমার (রাঃ)-এর খিলাফাতকালে জুমু’আর প্রথম আযান দেয়া হত ইমাম মিম্বারে বসলে। ’উসমান (রাঃ) খলীফা হবার পর, লোকের সংখ্যা বেড়ে গেলে তিনি যাওরা-এর উপর দ্বিতীয় আযান বাড়িয়ে দিলেন। (বুখারী)[1]

بَابُ الْخُطْبَةِ وَالصَّلَاةِ

وَعَنِ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ قَالَ: كَانَ النِّدَاءُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ أَوَّلُهُ إِذَا جَلَسَ الْإِمَامُ عَلَى الْمِنْبَرِ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ فَلَمَّا كَانَ عُثْمَانُ وَكَثُرَ النَّاسُ زَادَ النِّدَاءَ الثَّالِثَ عَلَى الزَّوْرَاء. رَوَاهُ البُخَارِيّ

ব্যাখ্যা: যাওরা হলো মদীনার নিকটবর্তী একটি বাজার। ইমাম বুখারী তার জামিউস্ সহীহ-তে উল্লেখ করেছে। ইবনু খুয়ায়মাহ্ ও ইবনু মাজার বর্ণনায় রয়েছে,

زَادَ النِّدَاءَ الثَّالِثَ عَلى دَارٍ فِى السُّوْقِ يُقَالُ لَهَا الزَّوْرَاءُ.

অর্থাৎ তিনি তৃতীয় আযান বৃদ্ধি করলেন বাজারের প্রবেশ পথে, সেটাকে বলা হয় আয্ যাওরা, বুখারী ও অন্যান্য বর্ণনায় অনুরূপ রয়েছে। হাফিয আসক্বালানী (রহঃ) বলেন, বর্তমান মানুষ ‘উসমান (রাঃ)-এর কর্মই গ্রহণ করেছে সকল শহরে। কেননা এটি আনুগত্যশীল খলীফার কর্ম। কিন্তু আল ফা-কিহা-নী (রহঃ) উল্লেখ করেছেন যে, প্রথম আযান (জুমু‘আর দিনের ডাক আযান) মক্কায় আবিস্কার করেছেন হাজ্জাজ, এ বাসরাতে যিয়াদ ঢালু করেছেন। ইবনু আবী শায়বাহ্ ইবনু ‘উমারের সূত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি [ইবনু ‘উমার (রাঃ)] বলেনঃ জুমু‘আর দিনের প্রথম আযান (ডাক আযান) বিদ‘আত। হতে পারে এটা তিনি অনিহাবশতঃ বলেছেন এবং এমনও হতে পারে যে, তিনি উদ্দেশ্য করেছেন, নিশ্চয় সেটা (ডাক আযান) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যামানায় ছিল না। আর প্রত্যেক বিষয় যা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সময় ছিল না তাই ‘বিদ‘আত।

সর্বোপরি কথা হলোঃ মির‘আত প্রণেতা বলেন, আজকের দিনে যখন কোন শহরে ‘উসমান (রাঃ)-এর চালুকৃত আযানের প্রয়োজন হবে, যেমন ‘উসমান (রাঃ)-এর সময় মদীনায় প্রয়োজন হয়েছিল তবে মসজিদের বাইরে কোন উঁচু স্থান যেমন মিনার কিংবা বাড়ীর ছাদ ইত্যাদিতে ইমাম খুতবার জন্য বের হওয়ার পূর্বেই আযান (ডাক আযান) দেয়ায় কোন দোষ নেই। যেমন ‘উসমান (রাঃ) দিয়েছিলেন। আর যদি কোন প্রয়োজন বা দরকার না থাকে তবে শুধু খুতবার আযানেই ক্ষ্যান্ত দিতে হবে। আর এ আযান খতীবের সামনে মিম্বারের নিকটে দেয়া সুন্নাহ সম্মত নয়। বরং মসজিদের দরজায় আযান দেয়াই সুন্নাত, যাতে যারা মসজিদে উপস্থিত হয়নি তারা উপকৃত হতে পারে। মসজিদের ভিতর মিম্বারের নিকট নয়। আবূ দাঊদের বর্ণনায় রয়েছে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মিম্বারে বসতেন তখন তার সামনে মসজিদের দরজার উপর আযান দেয়া হত।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ