১৩৮৯

পরিচ্ছেদঃ ৪৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - পবিত্রতা অর্জন ও সকাল সকাল মসজিদে গমন

১৩৮৯-[৯] ’আবদুল্লাহ ইবনু সালাম (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কারো সামর্থ্য থাকলে, সে যেন তার কাজ-কর্মের পোশাক ছাড়া জুমু’আর দিনের জন্য এক জোড়া পোশাক রাখে। (ইবনু মাজাহ)[1]

وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلَامٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم: «مَا عَلَى أَحَدِكُمْ إِنْ وَجَدَ أَنْ يَتَّخِذَ ثَوْبَيْنِ لِيَوْمِ الْجُمُعَةِ سِوَى ثَوْبَيْ مَهْنَتِهِ» . رَوَاهُ ابْنُ مَاجَه

ব্যাখ্যা: (مَا عَلى اَحَدِكُمْ) এখানে (مَا) না বোধক অর্থে ব্যবহৃত। অর্থাৎ দুনিয়াবী বিষয়ে তোমাদের ওপর কোন দোষ নেই, তিনি ইচ্ছা করেছেন তাতে উৎসাহ প্রদান করতে, এটি এমন বিষয় যে তাতে দোষের কিছু নেই। এটি কর্তার ওপর দায়িত্ব, এবং এটাই উত্তম যাতে মানুষ তা পরিত্যাগ না করে।

আলোচ্য হাদীস প্রমাণ করে যে, জুমু‘আর দিনে সুন্দর পোশাক পরিধান করাটা মুস্তাহাব এবং অন্যান্য দিনে পরিধেয় বস্ত্র ছাড়া নতুন পোশাক পরিধান করাটা সুন্দর পোশাকের বিশেষত্ব। ইবনু ‘আবদুল বার (রহঃ) বলেন যে, এখানে বৈধতা রয়েছে যে, সামর্থ্যবান ব্যক্তি জুমু‘আর দিন বা ঈদের দিনে সুন্দর পোশাক পরিধান করবে। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা করতেন এবং সুগন্ধি লাগাতেন ও সাধ্যানুযায়ী সুন্দর পোশাক পড়তেন জুমু‘আহ্ এবং ঈদের দিনে এবং তার মাঝেই রয়েছে উত্তম আদর্শ এবং তিনি সুগন্ধি ব্যবহার, মিসওয়াক করা ও তৈল লাগাতে নির্দেশ দিতেন।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ