লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৪১. প্রথম অনুচ্ছেদ - সফরের সালাত
১৩৩৯-[৭] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সফরে গেলে যুহর ও ’আসরের সালাত এক সাথে আদায় করতেন। (ঠিক এমনিভাবে) মাগরিব ও ’ইশার সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) একসাথে আদায় করতেন। (বুখারী)[1]
بَابُ صَلَاةِ السَّفَرِ
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَجْمَعُ بَين الظُّهْرِ وَالْعَصْر إِذَا كَانَ عَلَى ظَهْرِ سَيْرٍ وَيجمع بَين الْمغرب وَالْعشَاء. رَوَاهُ البُخَارِيّ
ব্যাখ্যা: বিলম্বে একত্রিকরণ, আর সেটা হলো ‘আসরের ওয়াক্ত প্রবেশ করা পর্যন্ত যুহরের সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) বিলম্ব করা এবং যুহর ও ‘আসর এক সঙ্গে ‘আসরের সময়ে আদায় করা। সফরে দু’ ওয়াক্ত সালাত একত্রিত করে আদায়ের ক্ষেত্রে সাতটি মত রয়েছে। তন্মধ্যে সর্বপ্রসিদ্ধ ও গ্রহণযোগ্য মত হলো- যুহর-‘আসর ও মাগরিব-‘ইশার সালাতের মাঝে সফরে দু’ ওয়াক্তের যে কোন ওয়াক্তে পূর্বের সালাত পরের সালাতের ওয়াক্তের সাথে ও পরের সালাত পূর্বের সালাতের ওয়াক্তের সাথে একত্রিত করা বৈধ। তা সওয়ারী অবস্থায় হোক বা সাধারণ অবস্থায় হোক এবং এ কথাই বলেছেন অধিকাংশ সাহাবীগণ, তাবি‘ঈনগণ এবং ফিকহবিদগণের মধ্য সাওরী, ইমাম শাফি‘ঈ, আবূ সাওর, ইবনুল মুনযির এবং আশহাব সকলেই এবং ইবনু কুদামাহ্ মালিক (রহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
আল্লামা যুরকানী (রহঃ) বলেনঃ মালিক (রহঃ) প্রসিদ্ধ বর্ণনায় এটাই রয়েছে। মির‘আত প্রণেতা বলেন, এটাই মালিকী মাযহাবের নিকট পছন্দনীয় মত এবং শাহ ওয়ালীউল্লাহ মুহাদ্দিস দেহলভী (রহঃ)-এর নিকট এ মত পছন্দনীয়। যেমন- তিনি হুজ্জতিল্লাহ আল বালিগাহ ২য় খন্ডে ১৭ পৃষ্ঠায় বলেছেন যে, সফরে যুহর-‘আসর ও মাগরিব-‘ইশার মাঝে একত্রিতকরণ রুখসাহ্ বা অব্যাহতির অন্তর্ভুক্ত।