লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৩৮. প্রথম অনুচ্ছেদ - ইশরাক ও চাশ্তের সালাত
১৩১২-[৪] যায়দ ইবনু আরক্বাম (রাঃ)থেকে বর্ণিত। তিনি একটি দলকে ’যুহার’ সময় সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করতে দেখে বললেন, এসব লোকে জানে না, এ সময় ব্যতীত অন্য সময়ে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করা অনেক ভাল। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ আল্লাহর প্রতি পরিপূর্ণ নিবিষ্টচিত্তে লোকদের সালাতের সময় হলো উষ্ট্রীর দুধ দোহনের সময়ে। (মুসলিম)[1]
بَابُ صَلَاةِ الضُّحى
وَعَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ أَنَّهُ رَأَى قَوْمًا يُصَلُّونَ مِنَ الضُّحَى فَقَالَ: لَقَدْ عَلِمُوا أَنَّ الصَّلَاةَ فِي غَيْرِ هَذِهِ السَّاعَةِ أَفْضَلُ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «صَلَاةُ الْأَوَّابِينَ حِينَ تَرْمَضُ الْفِصَالُ» . رَوَاهُ مُسْلِمٌ
ব্যাখ্যা: (رَأَى قَوْمًا يُصَلُّوْنَ) অর্থাৎ যায়দ ইবনু আরক্বাম লোকদেরকে মসজিদে কুবায় সালাত আদায় করতে দেখেছিলেন, যেমনটি বায়হাক্বীর বর্ণনায় রয়েছে। তিনি সালাতুয্ যুহার সময়ের কিছু অংশে সালাত শুরু করাটা অপছন্দ করলেন অর্থাৎ প্রথমাংশে। তারা উত্তম সময়ের প্রতি ধৈর্য ধারণ করেনি। তারা যখন সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করছিল তা উত্তম সময় নয়, বরং (পরবর্তী সময়ে) সালাত আদায় করা উত্তম।
আলোচ্য হাদীস প্রমাণ করে যে, সালাতুয্ যুহা উক্ত সময়ে আদায় করা উত্তম। তবে যায়দ ইবনু আরক্বাম (রাঃ)-এর কথায় বিলম্ব করে (গরমের সময়ে সূর্য পূর্ণ আলো ছড়ানোর পর) আদায় করা উত্তম।
মির‘আত প্রণেতা বলেন, বর্ণিত হাদীসগুলো ‘যুহা’ এর মধ্য দু’টি সালাত অন্তর্ভুক্ত করে। (১) যা সূর্য উদিত হওয়ার পরে করা হয়, যখন মাকরূহ ওয়াক্ত দূরীভূত হয়। এ সময়ের সালাতকে বলা হয় ইশরাকের সালাত এবং সালাতুয্ যুহা সুগরা বলা হয়। (২) অর্ধ দিবসের পূর্ব মুহূর্ত প্রচন্ড গরমের সময়, এর নামকরণ করা হয়েছে সালাতুয্ যুহা কুব্রা এবং এটাই আলোচ্য হাদীসের মূল উদ্দেশ্য।