লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৩৮. প্রথম অনুচ্ছেদ - ইশরাক ও চাশ্তের সালাত
১৩১০-[২] মু’আযাহ্ (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি উম্মুল মু’মিনীন ’আয়িশাহ্ (রাঃ)-কে প্রশ্ন করলাম, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুহার সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) কত রাক্’আত করে আদায় করতেন? তিনি উত্তর দিলেন, তিনি চার রাক্’আত আদায় করতেন। আল্লাহর ইচ্ছায় কখনো এর চেয়ে বেশীও আদায় করতেন। (মুসলিম)[1]
بَابُ صَلَاةِ الضُّحى
وَعَن معَاذَة قَالَتْ: سَأَلْتُ عَائِشَةَ: كَمْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي صَلَاةَ الضُّحَى؟ قَالَتْ: أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ وَيَزِيدُ مَا شَاءَ اللَّهُ. رَوَاهُ مُسلم
ব্যাখ্যা: নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতুয্ যুহা কয় রাক্‘আত আদায় করতেন। এ মর্মে ইবনু মাজার বর্ণনায় রয়েছে, ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হলো, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি সালাতুয্ যুহা আদায় করতেন? তিনি (‘আয়িশাহ্) বললেনঃ হ্যাঁ। ইমাম হাকিম (রহঃ) আবুল খায়র (রহঃ)-এর সূত্রে ‘উক্ববাহ্ ইবনু ‘আমির (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেনঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে সূরাহ্ আশ্ শাম্স, সূরাহ্ আয্ যুহা এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট সূরাগুলোর দ্বারা সালাতুয্ যুহা আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আল মাযহার (রহঃ) বলেন, চার রাক্‘আতের বেশীর কোন সীমা নেই। কিন্তু ১২ রাক্‘আতের বেশী সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় সম্পর্কে কোন হাদীস বর্ণিত হয়নি। হাফিয আসক্বালানী (রহঃ) বলেনঃ একদল হাদীস বিশারদ, তার মধ্যে আবূ জা‘ফার তাবারী (রহঃ) মত দিয়েছেন যে, ব্যক্তির জন্য তার আধিক্যের চাহিদা অনুযায়ী হবে (অর্থাৎ চাহিদানুযায়ী ৪, ৬, ১২ রাক্‘আত আদায় করবে) তবে শাফি‘ঈ মাযহাবের হুলায়মী ও রুযানী দ্বিমত পোষণ করেছেন এবং তিনি (হাফিয) ইব্রাহীম আন্ নাখ্‘ঈ (রহঃ)-এর সূত্রে বর্ণনা করেন, এক ব্যক্তি আসওয়াদ ইবনু ইয়াযীদ (রহঃ)-কে জিজ্ঞেস করল যে, আমি কয় রাক্‘আত সালাতুয্ যুহা আদায় করব? তিনি বললেন, তোমার ইচ্ছা কয় রাক্‘আত? (ইচ্ছানুযায়ী আদায় করবে)। অতঃপর আসক্বালানী (রহঃ) ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর হাদীস উল্লেখ করে বললেন, এটি মুত্বলাক্ব বা ব্যাপক অর্থবোধক তবে কখনো তা নির্দিষ্ট করণের অর্থে ব্যবহার হয়, যা সালাতুয্ যুহা সর্বোচ্চ রাক্‘আত সংখ্যা ১২ হওয়াকেই সুদৃঢ় করে।