লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৩৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - বিতরের সালাত
১২৮৩-[৩০] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (শেষ বয়সে) বসে বসে ক্বিরাআত (কিরআত) পড়তেন। ত্রিশ কি চল্লিশ আয়াত অবশিষ্ট থাকতে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দাঁড়িয়ে যেতেন। বাকী (আয়াত) দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পড়তেন। তারপর রুকূ’ করতেন ও সাজদায় যেতেন। এভাবে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দ্বিতীয় রাক্’আতও আদায় করতেন। (মুসলিম)[1]
وَعَنْ عَائِشَةَ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُصَلِّي جَالِسًا فَيَقْرَأُ وَهُوَ جَالِسٌ فَإِذَا بَقِيَ مِنْ قِرَاءَتِهِ قَدْرُ مَا يَكُونُ ثَلَاثِينَ أَوْ أَرْبَعِينَ آيَةً قَامَ وَقَرَأَ وَهُوَ قَائِمٌ ثُمَّ رَكَعَ ثُمَّ سَجَدَ ثُمَّ يَفْعَلُ فِي الرَّكْعَةِ الثَّانِيَةِ مِثْلَ ذَلِكَ. رَوَاهُ مُسلم
ব্যাখ্যা: আলোচ্য হাদীসে দলীল রয়েছে যে, যে দাঁড়িয়ে পূর্ণ সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করতে সক্ষম নয় তার জন্য সালাতের যতটুকু সে দাঁড়িয়ে পড়তে সক্ষম তার জন্য ততটুকুই দাঁড়িয়ে আদায় করা জরুরী। আল্লামা বাজী (রহঃ) বলেন, নফলের ক্ষেত্রে এটা জায়িয এ ব্যাপারে কোন দ্বিমত নেই এবং এটাও প্রমাণিত হয় যে, বসাবস্থা থেকে দাঁড়িয়ে কিছু ক্বিরাআত (কিরআত) পড়ার পর রুকূ' করা উত্তম, যাতে করে সালাত সুন্নাহ অনুযায়ী হয়। তবে যদি ক্বিরাআত (কিরআত) নাও পড়া হয় কিন্তু সোজা দাঁড়িয়ে যাওয়ার পর রুকূ' করলেও তা বৈধ হবে এবং এ দলীলও রয়েছে যে ব্যক্তি বসা অবস্থায় ক্বিরা‘আত পড়বে তার জন্য দাঁড়িয়ে রুকূ' করা জরুরী।
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) এর অপর বর্ণনায় রয়েছে যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতের দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করতেন এবং দীর্ঘ সময় বসে সালাত আদায় করতেন। এখানে এ হাদীস এবং উপরে উল্লেখিত হাদীসের মাঝে একটি বৈপরীত্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে, কারণ এ হাদীস প্রমাণ করছে যে, যে ব্যক্তি দাঁড়িয়ে ক্বিরাআত (কিরআত) পড়বে তার দাঁড়িয়ে রুকূ' ও সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) করাই শারী‘আত সম্মত এবং যে বসা অবস্থায় ক্বিরাআত পড়বে তার বসা অবস্থায় রুকূ'-সিজদা্ করা শারী‘আত সম্মত, উভয় রিওয়ায়াতের সমাধানে বলা যায় যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উভয় পন্থা অবলম্বন করছেন শারীরিক সক্ষমতার ভিত্তিতে। অর্থাৎ শারীরিক সক্ষমতা থাকলে পূর্ণ ক্বিরাআত (কিরআত) রুকূ' ও সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) দাঁড়িয়ে করতেন, সক্ষমতা না থাকলে কিছু ক্বিরাআত (কিরআত) দাঁড়িয়ে আর কিছু বসে কিংবা ক্বিরাআত (কিরআত) দাঁড়িয়ে, রুকূ'-সিজদা্ বসে করতেন, কাজেই এতে কোন বৈপরীত্য নেই।
আল্লামা শাওকানী (রহঃ) বলেনঃ এখান থেকে প্রমাণিত হয় যে, সালাতে কিছু অংশ দাঁড়িয়ে ও কিছু অংশ বসে আদায় করা বৈধ; ফায়েজ, ‘ইরাক্বীও অনুরূপ মত দিয়েছেন।