১২৬৬

পরিচ্ছেদঃ ৩৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - বিতরের সালাত

১২৬৬-[১৩] ’আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা বিতর (বিজোড়)। তিনি বিজোড়কে ভালোবাসেন। অতএব, হে কুরআনের বাহকগণ! তোমরা বিতর সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় কর। (তিরমিযী, আবূ দাঊদ, নাসায়ী)[1]

وَعَنْ عَلِيٍّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللَّهَ وَتْرٌ يُحِبُّ الْوَتْرَ فَأَوْتِرُوا يَا أَهْلَ الْقُرْآنِ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيّ

ব্যাখ্যা: فَأَوْتِرُوْا এখানে বিতর সালাতের প্রতি নির্দেশ দেয়া হয়েছে, তা দ্বারা উদ্দেশ্য হলো দু’ দু’ রাক্‘আত আলাদাভাবে আদায় করা, অতঃপর তার শেষে এক রাক্‘আত আলাদাভাবে বিতর আদায় করা অথবা তার পূর্ববর্তী রাক্‘আতগুলোর সাথে সম্পৃক্ত করা।

আল্লামা ত্বীবী (রহঃ) বলেন, এখানে বিতর দ্বারা রাতের সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) উদ্দেশ্য আর বিতরটা তাতে (ক্বিয়ামুল লায়ল) মুত্বলাক্ব করে দেয়া হয়েছে। একাধিক হাদীস থেকে যা উপলব্ধি করা যায়।

আল্লামা খাত্ত্বাবী (রহঃ) معالم ‘‘মা‘আ-লিম’’ গ্রন্থের ১ম খন্ডের ২৮৫ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেছেন যে, উল্লেখিত হাদীসে বিতরের নির্দেশটা ‘আহলুল কুরআন’-দের খাস করার দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে, বিতরের সালাত ওয়াজিব নয়, যদি ওয়াজিব হত তবে তা ‘আমভাবে সকলকেই নির্দেশ করা হত। আর ‘আহলুল কুরআন’ হচ্ছে মানুষদের মাঝে সুপরিচিতজনেরা তারা ক্বারী এবং হাফিযবৃন্দ, সর্বসাধারণ নয়। এ ব্যাপারে ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-এর হাদীসও স্পষ্ট দলীল তা হলো- ফারযের (ফরযের/ফরজের) উপর তিনটি ‘আমল রয়েছে, যা তোমাদের জন্য নফল, (১) কুরবানী করা, (২) বিতর সালাত আদায় করা, (৩) ফজরের ফারযের (ফরযের/ফরজের) পূর্বে দু’ রাক্‘আত সালাত। (আহমাদ, দারাকুত্বনী, বায়হাক্বী, ত্ববারানী)

এছাড়াও ‘উবাদাহ্ ইবনু সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিত, বিতর সালাত উত্তম, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেটার (বিতর) প্রতি ‘আমল করেছেন এবং তার পরবর্তীগণও ‘আমল করেছেন। তবে তা ওয়াজিব নয়। (বায়হাক্বী সানাদ শক্তিশালী)

ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উটের উপর সওয়ার অবস্থায় বিতর সালাত আদায় করতেন। এতে প্রমাণিত হয় যে, বিতর সালাত ওয়াজিব নয়। যদি হত তবে তিনি সওয়ারীর উপর তা আদায় করতেন না। হানাফীদের পক্ষ থেকে তার জবাব দেয়া হয় যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সওয়ারীর উপর বিতর সালাত আদায় করেছেন এটি বিতর ওয়াজিব হওয়ার পূর্বের ঘটনা। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ‘আমলটি বিতর ওয়াজিব হওয়ার পূর্বের ঘটনা এ মর্মে দাবীটি প্রামাণ্য ও ভিত্তিহীন।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ