লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৩৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - ‘আমলে ভারসাম্য বজায় রাখা
১২৫৩-[১৩] সালিম ইবনুল আবী জা’দ (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, খুযা’আহ্ গোত্রের এক লোক বলল, হায় আমি যদি সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করতাম, আরাম পেতাম। লোকেরা তার কথা শুনে মন খারাপ করল। তখন লোকটি বলল, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ হে বিলাল! সালাতের জন্যে ইক্বামাত(ইকামত/একামত) দাও। এর দ্বারা আমাকে আরাম দাও। (আবূ দাঊদ)[1]
وَعَن سَالم بن أبي الْجَعْد قَالَ: قَالَ رَجُلٌ مِنْ خُزَاعَةَ: لَيْتَنِي صَلَّيْتُ فَاسْتَرَحْتُ فَكَأَنَّهُمْ عَابُوا ذَلِكَ عَلَيْهِ فَقَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُول: «أَقِمِ الصَّلَاةَ يَا بِلَالُ أَرِحْنَا بِهَا» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
ব্যাখ্যা: আরাম পাওয়ার কারণ হলো আল্লাহর সাথে মুনাজাত বা কানে কানে কথা বলার মাধ্যমে প্রশান্তি লাভ করা অথবা সালাত শেষ করে নিজের যিম্মাহ থেকে মুক্ত হওয়া বা অবসর গ্রহণ করা। অথবা এ বাক্যের অর্থ হলো হায় আমি যদি সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করে ঘুমের আরামে যেতে পারতাম! আমি তো তার জন্য প্রতিক্ষা করা সহ্য করতে পারছি না। উপস্থিত লোকেরা এটাকে দোষণীয় মনে করলে তিনি তার প্রতিউত্তরে দলীল হিসেবে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর একটি নির্দেশসূচক হাদীস পেশ করেন। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা বিলালকে নির্দেশ দিলেনঃ বিলাল ! তুমি ইক্বামাত দাও এবং সালাত শেষ করে আমাদের আরাম দাও। সুতরাং খুযা‘আহ্ গোত্রের ঐ ব্যক্তির কথাটি লোকেরা যে দোষণীয় মনে করেছিলেন সেটা মূলত কোন দোষণীয় কথা নয়।