লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৩৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - ক্বিয়ামুল লায়ল-এর প্রতি উৎসাহ দান
১২৩৬-[১৮] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ ফরয সালাতের পর অধিক উত্তম সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) হলো মাঝ রাত্রের সালাত। (আহমাদ)[1]
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «أَفْضَلُ الصَّلَاةِ بَعْدَ الْمَفْرُوضَةِ صَلَاةٌ فِي جَوف اللَّيْل» . رَوَاهُ أَحْمد
ব্যাখ্যা: এই উত্তম হলো সময়ের ভিত্তিতে, অন্যথায় স্থানের ভিত্তিতে হলো বাড়ীতে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) উত্তম। এ হাদীসে আরো প্রমাণিত যে, দিনের নফল সালাত থেকে রাতের সাধারণ নফল উত্তম, এটা ‘উলামাদের সর্বসম্মত মত। কেননা রাতের সালাতে পরিপূর্ণ খুশু অর্জিত হয় এবং এতে নাফসের কষ্টও বেশি হয়। কিন্তু কেউ কেউ সালাতুর রাতিবাকে উত্তম মনে করেন, কেননা এটা ফরয এর সাথে সাদৃশ্যশীল সালাত। আল্লামা নাবাবী বলেন, প্রথম মতটি অধিক শক্তিশালী এবং যুক্তিসঙ্গত। তাহাজ্জুদ বা রাতের নফল সালাতের ফাযীলাত সম্পর্ক কুরআনুল কারীমে অনেক আয়াত রয়েছে, যেমন আল্লাহর বাণীঃ ‘ওয়া মিনাল লায়লি ফাতাহাজ্জাদ বিহী নাফিলাতাল লাক ....’। অন্যত্র আল্লাহ বলেন, ‘তাতাজাফা জনুবুহুম আনিল মাযাজিয়ে......’।