লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ২৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ইমামতির বর্ণনা
১১২৪-[৮] সালামাহ্ বিনতুল হুর্ (রাঃ)থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ কিয়ামতের (কিয়ামতের) নিদর্শনসমূহের একটি নিদর্শন হলো মসজিদে হাযির সালাত আদায়কারীরা একে অন্যকে ঠেলিবে। তাদের সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করিয়ে দিতে পারবে এমন যোগ্য ইমাম তারা পাবে না। (আহমাদ, আবূ দাঊদ, ইবনু মাজাহ)[1]
وَعَن سَلامَة بنت الْحر قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ مِنْ أَشْرَاطِ السَّاعَةِ أَنْ يَتَدَافَعَ أَهْلُ الْمَسْجِدِ لَا يَجِدُونَ إِمَامًا يُصَلِّي بِهِمْ» . رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو دَاوُد وَابْن مَاجَه
ব্যাখ্যা: (إِنَّ مِنْ أَشْرَاطِ السَّاعَةِ) অর্থাৎ ক্বিয়ামাতের (কিয়ামতের) ছোট আলামত যা ক্বিয়ামাত (কিয়ামত) নিকটবর্তী হওয়ার উপর প্রমাণ বহন করে।
(أَنْ يَتَدَافَعَ أَهْلُ الْمَسْجِدِ) অর্থাৎ মাসজিদমুখী প্রত্যেক ব্যক্তি ইমামতিকে নিজ হতে অন্যের দিকে সম্বন্ধ করবে এবং বলবে, আমি এর যোগ্য না যা দ্বারা ইমামতি বিশুদ্ধ হবে তা শিক্ষা করা বর্জন করার কারণে এবং সালাতে যা জায়িয হবে এবং যা জায়িয হবে না ঐ ব্যাপারে অজ্ঞ থাকার কারণে।
(لَا يَجِدُونَ إِمَامًا يُصَلِّي بِهِمْ) অর্থাৎ ইমামতিকে গ্রহণ করবে এমন লোক পাওয়া যাবে না। (মুসল্লীবৃন্দ পাবেন না) উপরন্তু এমন ব্যক্তি পাওয়া যাবে না যে মানুষকে নিয়ে সালাতের রুকন, ওয়াজিব, সুন্নাত ও মানদূবসমূহ আদায়ের মাধ্যমে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করবে। একমতে বল হয়েছে মাসজিদমুখী প্রত্যেক ব্যক্তি ইমামতিকে অন্য থেকে নিজের দিকে টেনে আনবে। ফলে এর মাধ্যমে পারস্পরিক মতানৈক্য সৃষ্টি হবে। ফলে তা ইমাম না পাওয়ার দিকে ঠেলে দিবে।
ইবনু মাজাহ ও আহমাদের এক বর্ণনার শব্দ, মানুষের কাছে এমন কাল আসবে যখন মানুষ এমন সময়ে অবস্থান করবে যে, তাদেরকে নিয়ে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করানোর মতো ইমাম তারা পাবে না। হাদীসটি সম্পর্কে আবূ দাঊদ ও মুনযিরী চুপ থেকেছেন।