লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ২৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতের কাতার সোজা করা
১১০২-[১৮] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ তোমরা সালাতের কাতার সোজা রাখবে। কাঁধকে সমান করো। কাতারের খালি স্থান পুরা করো। নিজেদের ভাইদের হাতে নরম থাকবে। কাতারের মধ্যে শায়ত্বন (শয়তান) দাঁড়াবার কোন খালি স্থান ছেড়ে দেবে না। যে লোক কাতার মিশিয়ে রাখবে আল্লাহ তা’আলা (তাঁর রহমতের সাথে) তাকে মিলিয়ে রাখবেন। আর যে লোক কাতার ভেঙ্গে দাঁড়াবে আল্লাহ তা’আলা তাকে তার রহমত থেকে কেটে দেন। (আবূ দাঊদ; নাসায়ী এ হাদীসকে, ’ওয়ামান ওয়াসালা সাফফান’ হতে শেষ পর্যন্ত নকল করেছেন)[1]
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَقِيمُوا الصُّفُوفَ وَحَاذُوا بَين المنكاكب وَسُدُّوا الْخَلَلَ وَلِينُوا بِأَيْدِي إِخْوَانِكُمْ وَلَا تَذَرُوا فرجات للشَّيْطَان وَمَنْ وَصَلَ صَفًّا وَصَلَهُ اللَّهُ وَمَنْ قَطَعَهُ قطعه الله» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ مِنْهُ قَوْلَهُ: «وَمَنْ وَصَلَ صَفًّا» . إِلَى آخِرِهِ
ব্যাখ্যা: উল্লেখিত হাদীস থেকে বুঝা যায়, যে সকল লোক কাতার সোজা করে দেয় তাদের হতে মুসল্লীদের বিনম্র হতে হবে, সহজ সরল আনুগত্যশীল হতে হবে। এতে আশা করা যায় আনুগত্যশীলগণ পারস্পারিক সৎ কাজ ও আল্লাহ-ভীরুতার কাজে সহায়তার সাওয়াব লাভ করতে পারবে। আরও বলা যেতে পারে কাতারে পরস্পরের মাঝে ফাঁক রাখা তাতে শায়ত্বন (শয়তান) প্রবেশে সুযোগ করে দেয়ার কারণ।
হাদীস থেকে আরও প্রতীয়মান হয়, কাতারের ফাঁক বন্ধ করে দেয়া বন্ধকারীর উপর আল্লাহর রহমাত বর্ষণ হওয়ার কারণ। পক্ষান্তরে কাতারে পরস্পরের মাঝে ফাঁক রাখা আল্লাহর রহমাত থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণ। যারা কাতারের পরস্পরের মাঝে ফাঁক রাখে হাদীসে তাদের প্রতি কঠোর ধমক ও মারাত্মক হুমকি আরোপ করা হয়েছে।