লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ২৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জামা‘আত ও তার ফযীলত সম্পর্কে
১০৭০-[১৯] সাওবান (রাঃ)থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করলেনঃ তিনটি জিনিস এমন আছে যা করা কারো জন্যে বৈধ নয়। প্রথম, কোন লোক যদি কোন জামা’আতে ইমামতি করে, দু’আয় জামা’আতকে অংশগ্রহণ না করে শুধু নিজের জন্য দু’আ করে। যদি সে এমন করে তাহলে সে জামা’আতের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করল। দ্বিতীয়, কোন ব্যক্তি যেন কারো ভেতর বাড়িতে অনুমতি ছাড়া দৃষ্টি নিক্ষেপ না করে। যদি কেউ এমন করে তবে সে ব্যক্তি ঐ ঘরওলাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করল। তৃতীয়, কারো পায়খানায় যাওয়ার দরকার হলে সে তা থেকে হালকা না হয়ে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করবে না। (আবূ দাঊদ, তিরমিযী)[1]
وَعَنْ ثَوْبَانَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ثَلَاثٌ لَا يَحِلُّ لِأَحَدٍ أَنْ يَفْعَلَهُنَّ: لَا يَؤُمَّنَّ رَجُلٌ قَوْمًا فَيَخُصَّ نَفْسَهُ بِالدُّعَاءِ دُونَهُمْ فَإِنْ فَعَلَ ذَلِكَ فَقَدْ خَانَهُمْ. وَلَا يَنْظُرْ فِي قَعْرِ بَيْتٍ قَبْلَ أَنْ يَسْتَأْذِنَ فَإِنْ فَعَلَ ذَلِكَ فَقَدْ خَانَهُمْ وَلَا يُصَلِّ وَهُوَ حَقِنٌ حَتَّى يَتَخَفَّفَ . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وللترمذي نَحوه
ব্যাখ্যা: (لَا يَؤُمَّنَّ رَجُلٌ قَوْمًا فَيَخُصَّ نَفْسَه بِالدُّعَاءِ دُونَهُمْ) ‘‘কোন ব্যক্তি কোন ক্বওমের ইমামাতকালে সে যেন তাদের বাদ দিয়ে শুধু নিজের জন্য দু‘আ না করে।’’ এ হাদীস থেকে বুঝা যায় সালাতের মধ্যে দু‘আতে মুক্তাদীদের শরীক না করে ইমামের শুধু নিজের জন্য দু‘আ করা মাকরূহ। কিন্তু সহীহ হাদীস দ্বারা সাব্যস্ত আছে যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতে ইমামতিকালে সালাতে, রুকূ‘তে, সাজদাতে, তাশাহুদে একবচনের শব্দ ব্যবহার করে শুধু নিজের জন্য দু‘আ করেছেন। এ বৈপরীত্য দূরীকরণার্থে মনিষীগণ বিভিন্ন মত ব্যক্ত করেছেন।
(১) সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। আলোচ্য এ হাদীসটি ‘‘মাওযূ‘ (বানোয়াট)’’। (২) দু‘আ বলতে দু‘আ কুনূত। কেননা বায়হাক্বীর বর্ণনাতে কুনূতের দু‘আতে বহুবচন ব্যবহৃত হয়েছে। (৩) ইমাম একবচনের শব্দ ব্যবহার করে দু‘আ করলে ও নিয়্যাতের মধ্যে মুক্তাদীদের শামিল করবে। তা দু‘আ কুনূতই হোক বা রুকূ‘ অথবা সিজদা্ (সিজদা/সেজদা)-এর দু‘আ হোক।
(فَإِنْ فَعَلَ ذلِكَ فَقَدْ خَانَهُمْ) ‘‘কেউ এরূপ করলে সে খিয়ানাত করল।’’ অর্থাৎ বাড়ীর মালিক-এর অনুমতি ব্যতীত কেউ যদি বাড়ীর অভ্যন্তরের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে তাহলে সে বিনা অনুমতিতে বাড়ীতে প্রবেশের অপরাধে অপরাধী হলো। ত্বীবী বলেনঃ অনুমতির বিধান এজন্য যে, যাতে কেউ অপরের গুপ্ত বিষয় দেখে না ফেলে। তাই বাড়ীর অভ্যন্তরের দিকে দৃষ্টি দিয়ে গুপ্ত বিষয় দেখা খিয়ানাত তথা বিনা অনুমতিতে বাড়ীতে প্রবেশতুল্য অপরাধ।