লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ২১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - তিলাওয়াতের সিজদা্
১০২৯-[৭] ’আমর ইবনুল ’আস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে কুরআনে ১৫টি সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) শিখিয়েছেন। এর মাঝে তিনটি সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) মুফাসসাল সূরায় এবং দু’ সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) সূরাহ্ আল হাজ্জ-এর মধ্যে। (আবূ দাঊদ, ইবনু মাজাহ)[1]
عَن عَمْرو بن الْعَاصِ قَالَ: أَقْرَأَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَمْسُ عَشْرَةَ سَجْدَةً فِي الْقُرْآنِ مِنْهَا ثَلَاثٌ فِي الْمُفَصَّلِ وَفِي سُورَةِ الْحَجِّ سَجْدَتَيْنِ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَابْن مَاجَه
ব্যাখ্যা: অত্র হাদীস প্রমাণ করে যে, তিলাওয়াতের সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) সর্বমোট পনেরটি। এ অভিমত পোষণ করেন ইমাম আহমাদ, লায়স, ইসহাক্ব, মালিকী মাযহাবের ইবনু ওয়াহ্ব, শাফি‘ঈ মাযহাবের ইবনুল মুনযির এবং একদল ‘আলিম। এরা সূরাহ্ সাদ-এর সাজদাকে তিলাওয়াতের সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) হিসেবে গণ্য করেছেন।
ইমাম শাফি‘ঈ বলেনঃ তিলাওয়াতের সিজদা্ চৌদ্দটি, তন্মধ্যে সূরাহ্ হাজ্জে দু’টি সিজদা্ এবং মুফাসসাল সূরাগুলোতে তিনটি। তাঁর মতে সূরাহ্ সাদ-এর সিজদা্ এর অন্তর্ভুক্ত নয় বরং তা সাজদায়ে শুকর।
ইমাম আবূ হানীফাহ্ বলেনঃ তিলাওয়াতের সিজদা্ ১৪টি তবে সূরাহ্ হাজ্জের দ্বিতীয় সিজদা্ এর অন্তর্ভুক্ত নয়। তবে তিনি সূরাহ্ সাদ-এর সাজদাকে এর অন্তর্ভুক্ত মনে করেন।
ইমাম মালিক বলেন, তিলাওয়াতের সিজদা্ সর্বমোট এগারটি। তিনি মুফাসসাল সূরাসমূহের সিজদা্ এবং সূরাহ্ সাদ-এর সিজদাকে তিলাওয়াতের সাজদার অন্তর্ভুক্ত বলে মনে করেন না।
এক্ষেত্রে ইমাম আহমাদ ও তাঁর অনুসারীদের অভিমতই সঠিক। জেনে রাখা ভাল যে, তিলাওয়াতের সাজদাসমূহের স্থান নিম্নরূপঃ
১) সূরাহ্ আল্ আ‘রাফ-এর শেষে
২) সূরাহ্ আর্ রা‘দ (১৩ : ১৫)-এর بِالْغُدُوِّ وَالْآصَالِ শব্দে
৩) সূরাহ্ আন্ নাহল (১৬ : ৫০)-এর وَيَفْعَلُوْنَ مَا يُؤْمَرُوْنَ শব্দে
৪) সূরাহ্ বানী ইসরাঈল (১৭ : ১০৯)-এর وَيَزِيْدُهُمْ خُشُوْعًا শব্দে
৫) সূরাহ্ মারইয়াম (১৯ : ৫৮)-এর خَرُّوْا سُجَّدًا وَبُكِيًّا শব্দে
৬) সূরাহ্ আল হাজ্জ (২২ : ১৮)-এর إِنَّ اللّهَ يَفْعَلُ مَا يَشَآءُ শব্দে
৭) সূরাহ্ আল ফুরক্বান (২৫ : ৬০)-এর وَزَادَهُمْ نُفُورًا শব্দে
৮) সূরাহ্ আন্ নামল (২৭ : ২৬)-এর رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ শব্দে
৯) সূরাহ্ আস্ সিজদা্ (৩২ : ১৫)-এর خَرُّوْا سُجَّدًا শব্দে
১০) সূরাহ্ সোয়াদ (৩৮ : ২৪)-এর وَخَرَّ رَاكِعًا وَأَنَابَ শব্দে
১১) সূরাহ্ হামীম আস্ সিজদা্ (৪১ : ৩৭)-এর إِنْ كُنْتُمْ إِيَّاهُ تَعْبُدُوْنَ শব্দে
১২, ১৩ ও ১৪) মুফাসসাল সূরাসমূহের সূরাহ্ নাজম, সূরাহ্ ইনশিক্বাক্ব ও সূরাহ্ আ‘লাকে
১৫) সূরাহ্ আল হাজ্জ এর দ্বিতীয় সিজদা্ ।
সিনদী বলেনঃ যারা সূরাহ্ হাজ্জের দ্বিতীয় সিজদাকে তিলাওয়াতের সিজদা্ হিসেবে গণ্য করে না তারা বলেন হাদীসের সানাদে একজন রাবী আছেন যিনি ইবনু মানীন তিনি অপরিচিত। তবে এ ক্ষেত্রে একাধিক হাদীস এসেছে যাতে বলা যায় যে, এ হাদীসটি দলীলযোগ্য।