লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ১৮. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতের পর যিকর-আযকার
৯৭০-[১২] আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ যারা ফাজ্রের (ফজরের) সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) শেষ করে সূর্যোদয় পর্যন্ত আল্লাহর যিকিরে লিপ্ত থাকে তাদের সঙ্গে আমার বসে থাকা, ইসমা’ঈল (আঃ)-এর সন্তান থেকে চারজনকে দাসত্বমুক্ত করার চেয়ে আমার কাছে অধিক প্রিয়। আর যারা ’আসরের সালাতের শেষে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আল্লাহর যিকিরে লিপ্ত থাকে তাদের সঙ্গে আমার বসে থাকা, চারজনকে আযাদ করার চেয়ে আমার কাছে অধিক পছন্দনীয়। (আবূ দাঊদ)[1]
وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَأَنْ أَقْعُدَ مَعَ قَوْمٍ يَذْكُرُونَ اللَّهَ مِنْ صَلَاةِ الْغَدَاةِ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ أُعْتِقَ أَرْبَعَةً مِنْ وَلَدِ إِسْمَاعِيلَ وَلَأَنْ أَقْعُدَ مَعَ قَوْمٍ يَذْكُرُونَ اللَّهَ مِنْ صَلَاةِ الْعَصْرِ إِلَى أَنْ تَغْرُبَ الشَّمْسُ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ أُعْتِقَ أَرْبَعَة» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
ব্যাখ্যা: (لَأَنْ أَقْعُدَ مَعَ قَوْمٍ يَذْكُرُونَ اللّهَ) এ থেকে বুঝা যায় যে, মনোযোগ সহকারে যিকর শ্রবণ করা যিকর করার স্থলাভিষিক্ত। যিকর শ্রবণকারীর মর্যাদাই যদি এরূপ হয় তাহলে যিকর করার মর্যাদা কি হতে পারে? আর যারা যিকরকারীদের সাথে বসে তারা কখনো ব্যর্থ হয় না। যিকর শব্দটি ‘আম সর্বব্যাপী যা দু‘আ, কুরআন পাঠ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ওপর দরূদ পাঠ সবই এর অন্তর্ভুক্ত। আর যার মধ্যে এর অর্থ পাওয়া যায় হুকুমের দিক থেকে তাও এর সাথে সংযুক্ত; যেমনঃ শার‘ঈ ‘ইলমের পাঠদান। হাদীসটি এ কথারও স্পষ্ট দলীল যে, আরবদেরকেও দাস বানানো বৈধ। যদি তা বৈধ না হতো তাহলে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এ কথা বলতেন না যে, এ কাজ তাদের দাসত্ব হতে মুক্ত করার চাইতে অধিক পছন্দনীয়।
হাদীসের শিক্ষণীয় দিক হল, আল্লাহর যিকর করা দাস মুক্ত করা এবং সদাক্বাহ্ (সাদাকা) প্রদান করার চাইতে অধিক মর্যাদাপূর্ণ।