লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ১৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - তাশাহুদ
৯১২-[৭] ’আবদুল্লাহ ইবনুয্ যুবায়র (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাতে বসা অবস্থায় ’’কালিমায়ে শাহাদাত’’ দু’আ পাঠ করতেন, নিজের শাহাদাত আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করতেন, কিন্তু তা নাড়াচড়া করতেন না। (আবূ দাঊদ ও নাসায়ী)[1]
আবূ দাঊদ এ শব্দগুলোও নকল করেছেন যে, তাঁর দৃষ্টি ইশারা করার বাইরে অতিক্রম করতো না।[2]
وَعَن عبد الله بن الزبير قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُشِيرُ بِأُصْبُعِهِ إِذَا دَعَا وَلَا يُحَرِّكُهَا. رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيّ وَزَاد أَبُو دَاوُد وَلَا يُجَاوز بَصَره إِشَارَته
ব্যাখ্যা: (إِذَا دَعَا) ‘যখন তাশাহুদ পড়বে’ এর দ্বারা দলীল গ্রহণ করা হয়েছে তর্জনীকে তাশাহুদের শেষ পর্যন্ত উঠিয়ে রাখবে। আমরা ইতিপূর্বে আলোচনা করেছি প্রাধান্য মত হলো সালামের মাধ্যমে সালাতের শেষ পর্যন্ত সর্বদাই তর্জনী দ্বারা ইশারা করা। আর আমাদের শায়খ, নাযীর হুসায়ন দেহলবী সুস্পষ্ট করে বলেছেন তাঁর ফাতাওয়াতে যে, সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায়কারী ব্যক্তি তাশাহুদের পরে দু‘আ করা শেষ পর্যন্ত তর্জনীকে উঠিয়ে রাখবে।
সুতরাং সামগ্রিক অর্থ হলোঃ ইশারার সময় আসমানের দিকে না তাকায় বরং যেন আঙ্গুলের দিকে তাকায় আর চোখ যেন এটা অতিক্রম না করে।