লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ১৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - রুকূ‘
৮৭৯-[১২] ’উক্ববাহ্ ইবনু ’আমির (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন ’’ফাসাব্বিহ বিসমি রব্বিকাল ’আযীম’’ (তোমার মহান রবের নামের পবিত্রতা বর্ণনা কর)- এ আয়াত নাযিল হলো, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এ আয়াতটিকে তোমরা তোমাদের রুকূ’তে তাসবীহরূপে পড়। এভাবে যখন ’’সাব্বিহিসমা রব্বিকাল আ’লা-’’ (তোমরা উচ্চ মর্যাদাশীল রবের নামের পবিত্রতা ঘোষণা কর) আয়াত নাযিল হলো, তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমরা এটিকে তোমাদের সাজদার তাসবীহতে পরিণত কর। (আবূ দাঊদ, ইবনু মাজাহ্ ও দারিমী)[1]
وَعَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ قَالَ: لَمَّا نَزَلَتْ (فسبح باسم رَبك الْعَظِيم) قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اجْعَلُوهَا فِي رُكُوعِكُمْ» فَلَمَّا نَزَلَتْ (سَبِّحِ اسْمَ رَبك الْأَعْلَى) قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اجْعَلُوهَا فِي سُجُودِكُمْ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَابْن مَاجَه والدارمي
ব্যাখ্যা: ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস্‘ঊদ (রাঃ) এবং সামনে আগত হুযায়ফাহ্ (রাঃ)-এর হাদীসও এর প্রমাণ। রুকূ‘তে ‘‘সুবহা-না রব্বিয়াল ‘আযীম’’ এবং সাজদায় ‘‘সুবহা-না রব্বিয়াল আ‘লা-’’ খাস করার উদ্দেশ্য হলো এটা বিনয়ভাব প্রকাশের অন্যতম নমুনা। কেননা সাজদাতে শরীরের সবচেয়ে দামী অঙ্গ ললাটকে অবনত করা হয় দু’টো পায়ের উপর ভর করে। আর বিনয়ের সর্বোচ্চ পন্থা হলো রুকূ'।