লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আযান
৬৪৮-[৮] যিয়াদ ইবনু হারিস আস্ সুদায়ী (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে নির্দেশ দিলেন ফাজ্রের (ফজরের) সালাতের আযান দিতে। আমি আযান দিলাম। তারপর (সালাতের সময়) বিলাল ইক্বামাত(ইকামত/একামত) দিতে চাইলেন। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন বললেন, সুদায়ীর ভাই আযান দিয়েছে। আর যে আযান দিবে সে ইক্বামাত(ইকামত/একামত)ও দিবে। (তিরমিযী, আবূ দাঊদ ও ইবনু মাজাহ্)[1]
وَعَن زِيَاد بن الْحَارِث الصدائي قَالَ: أَمَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِن أؤذن فِي صَلَاةِ الْفَجْرِ» فَأَذَّنْتُ فَأَرَادَ بِلَالٌ أَنْ يُقِيمَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِن أَخا صداء قد أذن وَمن أَذَّنَ فَهُوَ يُقِيمُ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَابْنُ مَاجَهْ
ব্যাখ্যা: এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, মুয়াযযিনই ইক্বামাত দেয়ার অধিকার রাখে। মুয়াযযিন উপস্থিত থাকা অবস্থায় অন্য কেউ ইক্বামাত দেয়া মাকরূহ। অধিকাংশ ইসলামী পন্ডিতের মত হলো, যে আযান দিবে সে-ই ইক্বামাত দিবে। মুয়াযযিন কর্তৃক ইক্বামাত দেয়া এবং অন্য কেউ ইক্বামাত দেয়ার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। বিষয়টি প্রশস্ত। ইমামদ্বয় ‘আবদুল্লাহ ইবনু যায়দ-এর হাদীস দ্বারা দলীল দেন। কিন্তু সানাদের দিক থেকে ‘আবদুল্লাহ ইবনু যায়দ (রাঃ) হাদীস অপেক্ষা যিয়াদ ইবনুল হারিস্ আস্ সুদায়ী (রাঃ)-এর হাদীস অধিক শক্তিশালী। তাই সুদায়ী (রাঃ)-এর হাদীস অনুযায়ী হুকুম দেয়া উচিত।