৬০৫

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - প্রথম ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সালাত আদায়

৬০৫-[১৯] ’আলী (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ হে ’আলী! তিনটি বিষয়ে দেরী করবে না (১) সালাতের সময় হয়ে গেলে আদায় করতে দেরী করবে না। (২) জানাযাহ্ উপস্থিত হয়ে গেলে তাতেও দেরী করবে না। (৩) স্বামীবিহীন নারীর উপযুক্ত বর পাওয়া গেলে তাকে বিয়ে দিতেও দেরী করবে না। (তিরমিযী)[1]

عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «يَا عَلِيُّ ثَلَاثٌ لَا تُؤَخِّرْهَا الصَّلَاةُ إِذَا أَتَتْ وَالْجِنَازَةُ إِذَا حَضَرَتْ وَالْأَيِّمُ إِذَا وَجَدْتَ لَهَا كُفُؤًا» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ

ব্যাখ্যা: হাদীসে বর্ণিত এ তিনটি বিষয়কে বিলম্ব করার মধ্যে বিপদ/ক্ষতি রয়েছে। তাই এগুলো তাড়াতাড়ি করতে হবে। এ তিনটি বিষয় ঐ হাদীসের হুকুমের অন্তর্ভুক্ত হবে না যে হাদীসে বলা হয়েছে ‘‘তাড়াহুড়া শায়ত্বনের (শয়তানের) পক্ষ থেকে’’ বুখারী-মুসলিমে বর্ণিত হাদীসে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘তোমরা জানাযার ক্ষেত্রে তাড়াতাড়ি করো’’। এ হাদীসের মাধ্যমে সাব্যস্ত হয় যে, সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায়ের মাকরূহ তিন সময়েও জানাযার সালাত আদায় করতে দোষ নেই। তবে এ তিনটি সময়ের পূর্বে যদি জানাযাহ্ উপস্থিত হয় আর ঐ নিষিদ্ধ সময়গুলোতে পড়া হয় তাহলে মাকরূহ হবে। স্বাভাবিকভাবে ফাজরের (ফজরের) সালাতের পরে বা পূর্বে এবং ‘আসরের সালাতের পরে জানাযাহ্ আদায় করতে কোন বাধা নেই।

তৃতীয় বিষয়টি হলো স্বামীহীনা নারী যেই হোক তার উপযুক্ত পুরুষ পাওয়া গেলে বিবাহ দিতে বিলম্ব করা উচিত না। এখানে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার সমতার বিষয়টির প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। অন্যান্য সৎগুণের মধ্যে ইসলাম বিষয়ে সমতা বেশি লক্ষণীয়।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ