লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৮. প্রথম অনুচ্ছেদ - অপবিত্রতা হতে পবিত্রতা অর্জন
৪৯৪-[৫] সুলায়মান ইবনু ইয়াসার (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ’আয়িশাহ্ (রাঃ)-কে কাপড়ে লেগে থাকা মানী (বীর্য) সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি [’আয়িশাহ্ (রাঃ)] বললেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাপড় থেকে মানী ধুয়ে দিতাম। তারপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায়ের উদ্দেশে বের হতেন, অথচ তাঁর (রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর) কাপড়ে বীর্যের ’আলামত দেখা যেত। (বুখারী ও মুসলিম)[1]
بَابُ تَطْهِيْرِ النَّجَاسَاتِ
وَعَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ قَالَ: سَأَلْتُ عَائِشَةَ عَنِ الْمَنِيِّ يُصِيبُ الثَّوْبَ فَقَالَتْ كُنْتُ أَغْسِلُهُ مِنْ ثَوْبِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَيَخْرُجُ إِلَى الصَّلَاةِ وَأَثَرُ الْغَسْلِ فِي ثَوْبه بقع المَاء
ব্যাখ্যা: এ হাদীস দ্বারা বুঝা যায় যে, কাপড়ে বীর্য লেগে থাকা ত্বাহারাতের অনুকূল নয়। সে কারণে মা ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাপড়ে লেগে থাকা বীর্য ধুয়ে দিতেন। ধুয়ে দেবার কারণে ঐ স্থানটি ভেজা থাকায় বীর্যের আলামত বুঝা যেত। এমন নয় যে, বীর্য লেগে থাকতো। বীর্য তরল অবস্থায় থাকুক বা শুকিয়ে যাক ধুয়ে ফেলাই এ হাদীস শিক্ষা। আর ইমাম শাওকানী (রহঃ) নায়নুল আওত্বার-এর মধ্যে বলেনঃ সেটা ধৌত করা ওয়াজিব প্রমাণ হয় না। মানী শুকিয়ে গেলে নখ দিয়ে খুঁটিয়ে ফেললেই সেটা পাক হয়ে যায়। আর তরল থাকলে দাগ দূর করার জন্য পানি দিয়ে ধৌত করে নিবে। আর এটা ইমাম শাফি‘ঈ ও ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বাল-এরও মত।