লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যে কারণে উযূ করা ওয়াজিব হয়
৩১৯-[২০] বুসরাহ্ বিনতু সফ্ওয়ান (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যদি স্বীয় পুরুষাঙ্গ স্পর্শ করে তাহলে তাকে উযূ (ওযু/ওজু/অজু) করতে হবে। (মুওয়াত্ত্বা মালিক, আহমাদ, আবূ দাঊদ, তিরমিযী, নাসায়ী, ইবনু মাজাহ্ ও দারিমী)[1]
وَعَن بسرة قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا مَسَّ أَحَدُكُمْ ذَكَرَهُ فَلْيَتَوَضَّأْ» . رَوَاهُ مَالِكٌ وَأَحْمَدُ وَأَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ وَابْنُ مَاجَه والدارمي
ব্যাখ্যা: এ হাদীস থেকে যে সব মাস্আলাহ্ সাব্যস্ত হয় তা হলোঃ
কোন ব্যক্তি (পুরুষ) স্বহস্তে তার লজ্জাস্থান স্পর্শ করা তা উযূ (ওযু/ওজু/অজু) ভঙ্গের একটি অন্যতম কারণ হবে। এখানে স্পর্শ দ্বারা উদ্দেশ্য হাতের তালুর উপর বা নিম্নভাগ দ্বারা কোন প্রকার আবরণ ছাড়াই স্পর্শ করা। আর এটিই সহাবা (সাহাবা) ও তাবি‘ঈগণের একটি দল, ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল, ইমাম শাফি‘ঈ ও ইমাম মালিক (রহঃ)-এর প্রসিদ্ধ অভিমত।
অনুরূপভাবে কোন মহিলা যদি হাতের তালুর উপরিভাগ বা নিম্নভাগ দ্বারা স্বীয় লজ্জাস্থান স্পর্শ করে তবে তারও উযূ (ওযু/ওজু/অজু) বাতিল হযে যাবে। যা মুসনাদে আহমাদ ও বায়হাক্বীতে ‘আমর বিন শু‘আয়ব কর্তৃক তার পিতা, তার দাদা থেকে মারফূ‘ সূত্রে বর্ণিত সহীহ হাদীস দ্বারা স্পষ্টভাবে প্রমাণিত। রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, أَيُّمَا رَجُلٍ مَسَّ فَرْجَهُ فَلْيَتَوَضَّأَ، وَأَيَّمَا اِمْرَأَةً مَسَّتْ فَرْجَهَا فَلْتَتَوَضَّأَ (অর্থাৎ- কোন পুরুষ তার লজ্জাস্থান কোন আবরণ) ছাড়া স্পর্শ করবে সে যেন উযূ করে। আর কোন মহিলা কোন আবরণ ছাড়া স্বীয় লজ্জাস্থান স্পর্শ করলে সেও যেন উযূ (ওযু/ওজু/অজু) করে। ইমাম তিরমিযী اَلْعِلَلُ (আল ‘ইলাল) গ্রন্থে ইমাম বুখারী (রহঃ)-এর উদ্ধৃতি দিয়ে এ হাদীসটি সহীহ বলে অভিহিত করেছেন। আর এ হাদীসটি এই বিষয়ে মহিলা পুরুষের মাঝে কোন পার্থক্য না থাকার স্পষ্ট প্রমাণ।