১৯৭

পরিচ্ছেদঃ

১৯৭। নারীদের সাথে মিলিত হবার সময় তোমরা বেশী কথা বলবে না, কারণ তা থেকে বোবা বা ধবল রোগের সৃষ্টি হয়।

হাদীসটি নিতান্তই দুর্বল।

এটি ইবনু আসাকির তার সনদে (৫/৭০০) আবুদ-দারদা হাশিম ইবনু মুহাম্মাদ ইবনে সালেহ আল-আনসারী পর্যন্ত ... বর্ণনা করেছেন।

সুয়ূতী "আল-লাআলী" গ্রন্থে (২/১৭০-১৭১) ইবনু আসাকির এর বর্ণনায় হাদীসটি পূর্ববর্তী হাদীসের শাহেদ হিসাবে উল্লেখ করে চুপ থেকেছেন, অথচ (দুর্বল হওয়ার জন্য) তার চারটি কারণ রয়েছেঃ

১ এটি মুরসাল এ কাবীসা যিনি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন তিনি তাবে’ঈ সাহাবী নন।

২। যুহায়ের ইবনু মুহাম্মদ আত-তামীমী হচ্ছেন বিতর্কিত ব্যক্তি। হাফিয ইবনু হাজার “আত-তাকরীব” গ্রন্থে বলেনঃ তার থেকে শামীদের বর্ণনা সহীহ নয়। এ কারণে এ বর্ণনাটি দুর্বল। ইমাম বুখারী ইমাম আহমাদ হতে বর্ণনা করে বলেনঃ যে যুহায়ের থেকে শামীরা বর্ণনা করেছেন তিনি অন্যজন। আবূ হাতিম বলেনঃ তিনি শামীদের সম্মুখে হাদীস বর্ণনা করেছেন তার হেফয হতে, ফলে তার বহু ভুল সংঘটিত হয়েছে। ইমাম বুখারীকে যুহায়ের কর্তৃক বর্ণিত এ হাদীসটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, তিনি বলেনঃ আমি এ শাইখ হতে পরহেজ করি, তার হাদীস যেন বানোয়াট, আমার নিকট এ যুহায়ের- ইবনু মুহাম্মাদ নন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ হাদীসটি তার থেকে শামীদের বর্ণনায় এসেছে। অতএব তা তার হাদীসটি দুর্বল হওয়ার প্রমাণ বহন করছে।

৩। খায়রান ইবনু ’আলা প্রসিদ্ধ নন। তাকে ইবনু হিব্বান ছাড়া অন্য কেউ নির্ভরযোগ্য বলেননি। যাহাবী যখন তার জীবনী বর্ণনা করেছেন, তখন বলেছেনঃ তাকে নির্ভরযোগ্য বলা হয়েছে অথচ তার মুনকার হাদীস রয়েছে।

৪। আমি আবুদ-দারদা হাশিম ইবনু মুহাম্মাদ ইবনে সালেহ্ আনসারীর জীবনী পাচ্ছি না।

মোটকথা, হাদীসটি নিতান্তই দুর্বল। এর দ্বারা দলীল গ্রহণ করা যাবে না। এটি মুনকার।

لا تكثروا الكلام عند مجامعة النساء فإن منه يكون الخرس والفأفأة ضعيف جدا - أخرجه ابن عساكر (5 / 700) بسنده إلى أبي الدرداء هاشم بن محمد بن صالح الأنصاري حدثنا عبد العزيز بن عبد الله بن عمرو الأو يسي الأصل عامر وهو خطأ حدثنا خيران بن العلاء الكيساني ثم الدمشقي عن زهير بن محمد عن ابن شهاب عن قبيصة بن ذؤيب أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: فذكره قلت: وأورده السيوطي في " اللآليء " (2 / 170 - 171) شاهدا للحديث المتقدم من رواية ابن عساكر وسكت عنه وله علل أربع الأولى: الإرسال فإن قبيصة هذا تابعي قيل: له رؤية الثانية: زهير بن محمد هو التميمي مختلف فيه قال الحافظ في التقريب رواية أهل الشام عنه غير مستقيمة فضعف بسببها، قال البخاري عن أحمد: كأن زهيرا الذي يروي عنه الشاميون آخر، قال أبو حاتم: حدث بالشام من حفظه فكثر غلطه وفي " الميزان "، قال الترمذي في " العلل ": سألت البخاري عن حديث زهير هذا فقال: أنا أتقي هذا الشيخ كأن حديثه موضوع وليس هذا عندي زهير بن محمد قلت: وهذا الحديث من رواية أهل الشام عنه فدل على ضعفه الثالثة: خيران بن العلاء، ليس بالمشهور ولم يوثقه غير ابن حبان وقد أشار لهذا الذهبي حين قال في ترجمته: وثق، له خبر منكر، لعل ذلك من شيخه يعني زهير بن محمد ولعله عنى هذا الحديث، ثم بدا لي بأن تعصيب علة هذا الحديث بمن فوق خيران أو من دونه أولى، لأنه قد روى عنه ثمانية، وأثنى عليه الأوزاعي، وهو من شيوخه، كما حققته في ترجمته من تيسير الانتفاع الرابعة: أبو الدرداء هاشم بن محمد بن صالح الأنصاري لم أجد له ترجمة ويبعد جدا أن يكون هو الذي في " ثقات ابن حبان " (9 / 244) ، لأنه أعلى طبقة من هذا بدرجتين، ثم إن ابن حبان لم ينسبه إلى جده الأنصاري، والله أعلم وبالجملة فالإسناد ضعيف جدا لا تقوم به حجة والخبر منكر والله أعلم


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ