লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
৭৪১৮-(৬/৩০১৮) আবূ তাহির আহমাদ ইবনু আমর ইবনু সারহ ও হারমালাহ ইবনু ইয়াহইয়া আত তুজীবী (রহঃ) ..... উরওয়াহ ইবনু যুবায়র (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি আয়িশাহ (রাযিঃ) কে মহান আল্লাহর বাণী সম্পর্কে প্রশ্ন করলেনঃ “তোমরা যদি ভয় করো যে, ইয়াতীমদের মেয়েদের প্রতি সুবিচার করতে পারবে না, তবে বিয়ে করবে স্ত্রীলোকেদের মধ্যে যাকে তোমাদের পছন্দ হয়। (সূরা আন নিসার) দু’, তিন অথবা চার" এর ব্যাখ্যা জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, হে ভাগ্নে! যেসব ইয়াতীম মেয়েরা তাদের তত্ত্বাবধানকারী অভিভাবকদের সম্পদের অংশীদার হত তার সম্পদের লালসা ও রূপ-যৌবনের সৌন্দর্যের প্রতি উক্ত অভিভাবক তাকে অন্যরা যে পরিমাণ মুহরানা দিয়ে বিয়ে করতে প্রস্তুত ইনসাফের নীতি অনুযায়ী উক্ত পরিমাণ মুহরানা দিয়ে বিয়ে করতে চাইতো না। এ আয়াতে তাদেরকে ঐসব ইয়াতীমদের বিয়ে করতে বারণ করা হয়েছে। তবে তাদের মুহরানা প্রদানের ব্যাপারে সর্বোত্তম রীতি-নীতি অনুসরণ করলে তা স্বতন্ত্র কথা। অন্যথায় তাদের পছন্দমত অন্য মেয়েদের বিয়ে করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
উরওয়াহ বলেন, আয়িশাহ (রাযিঃ) বলেছেন, এ আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পর কতিপয় লোক বিষয়টি সম্পর্কে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে জিজ্ঞেস করলে আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেনঃ "এবং লোকেরা আপনার কাছে নারীদের বিষয়ে ব্যবস্থা জানতে চায়। বলুন, আল্লাহ তোমাদেরকে তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা জানাচ্ছেন এবং ইয়াতীম নারী সম্পর্কে যাদের প্রাপ্য তোমরা প্রদান করো না অথচ তোমরা তাদেরকে বিবাহ করতে চাও ও নিপীড়িত শিশুদের বিষয়ে এবং ইয়াতীমদের প্রতি তোমাদের ন্যায়বিচার সম্পর্কে যা কিতাবে তোমাদেরকে শুনানো হয়, তাও পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেন। আর যে সৎকাজ তোমরা করো আল্লাহ তা সবিশেষ অবহিত"- (সূরা আন নিসা ৪ঃ ১২৭)।
আয়িশাহ (রাযিঃ) বলেন, আল্লাহর বাণী- وَمَا يُتْلَى عَلَيْكُمْ فِي الْكِتَابِ এর দ্বারা প্রথম আয়াতটিকে বুঝানো হয়েছে, যার মধ্যে আল্লাহ তা’আলা বলেছেন, তোমরা যদি আশঙ্কা করো যে ইয়াতীম মেয়েদের প্রতি সুবিচার করতে পারবে না তবে বিবাহ করবে নারীদের মধ্যে যাকে তোমাদের ভাল লাগে দু’, তিন অথবা চার।
আয়িশাহ (রাযিঃ) বলেন, আল্লাহর বাণী وَتَرْغَبُونَ أَنْ تَنْكِحُوهُنَّ এর মানে হচ্ছে, অর্থ-সম্পদ ও রূপযৌবন কম থাকার কারণে তোমাদের কেউ ইয়াতীম মেয়েদেরকে বিবাহ করতে অপছন্দ করলে-তাদেরকে অর্থ সম্পদ ও রূপ যৌবনবতী ইয়াতীম স্ত্রীলোককে পছন্দ হলেও বিয়ে করতে বারণ করা হয়েছে। তবে অর্থ-সম্পদ ও রূপ-যৌবন না থাকার কারণে পছন্দনীয় না হলেও যদি ইনসাফের ভিত্তিতে মুহরানা পরিশোধ করে তবে বিয়ে করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৭২৪৭, ইসলামিক সেন্টার ৭৩০২)
حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ سَرْحٍ وَحَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى التُّجِيبِيُّ - قَالَ أَبُو الطَّاهِرِ حَدَّثَنَا وَقَالَ، حَرْمَلَةُ أَخْبَرَنَا - ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَأَلَ عَائِشَةَ عَنْ قَوْلِ اللَّهِ، ( وَإِنْ خِفْتُمْ أَنْ لاَ، تُقْسِطُوا فِي الْيَتَامَى فَانْكِحُوا مَا طَابَ لَكُمْ مِنَ النِّسَاءِ مَثْنَى وَثُلاَثَ وَرُبَاعَ) قَالَتْ يَا ابْنَ أُخْتِي هِيَ الْيَتِيمَةُ تَكُونُ فِي حَجْرِ وَلِيِّهَا تُشَارِكُهُ فِي مَالِهِ فَيُعْجِبُهُ مَالُهَا وَجَمَالُهَا فَيُرِيدُ وَلِيُّهَا أَنْ يَتَزَوَّجَهَا بِغَيْرِ أَنْ يُقْسِطَ فِي صَدَاقِهَا فَيُعْطِيَهَا مِثْلَ مَا يُعْطِيهَا غَيْرُهُ فَنُهُوا أَنْ يَنْكِحُوهُنَّ إِلاَّ أَنْ يُقْسِطُوا لَهُنَّ وَيَبْلُغُوا بِهِنَّ أَعْلَى سُنَّتِهِنَّ مِنَ الصَّدَاقِ وَأُمِرُوا أَنْ يَنْكِحُوا مَا طَابَ لَهُمْ مِنَ النِّسَاءِ سِوَاهُنَّ . قَالَ عُرْوَةُ قَالَتْ عَائِشَةُ ثُمَّ إِنَّ النَّاسَ اسْتَفْتَوْا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعْدَ هَذِهِ الآيَةِ فِيهِنَّ فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ( وَيَسْتَفْتُونَكَ فِي النِّسَاءِ قُلِ اللَّهُ يُفْتِيكُمْ فِيهِنَّ وَمَا يُتْلَى عَلَيْكُمْ فِي الْكِتَابِ فِي يَتَامَى النِّسَاءِ اللاَّتِي لاَ تُؤْتُونَهُنَّ مَا كُتِبَ لَهُنَّ وَتَرْغَبُونَ أَنْ تَنْكِحُوهُنَّ) . قَالَتْ وَالَّذِي ذَكَرَ اللَّهُ تَعَالَى أَنَّهُ يُتْلَى عَلَيْكُمْ فِي الْكِتَابِ الآيَةُ الأُولَى الَّتِي قَالَ اللَّهُ فِيهَا ( وَإِنْ خِفْتُمْ أَنْ لاَ تُقْسِطُوا فِي الْيَتَامَى فَانْكِحُوا مَا طَابَ لَكُمْ مِنَ النِّسَاءِ) . قَالَتْ عَائِشَةُ وَقَوْلُ اللَّهِ فِي الآيَةِ الأُخْرَى ( وَتَرْغَبُونَ أَنْ تَنْكِحُوهُنَّ) رَغْبَةَ أَحَدِكُمْ عَنِ الْيَتِيمَةِ الَّتِي تَكُونُ فِي حَجْرِهِ حِينَ تَكُونُ قَلِيلَةَ الْمَالِ وَالْجَمَالِ فَنُهُوا أَنْ يَنْكِحُوا مَا رَغِبُوا فِي مَالِهَا وَجَمَالِهَا مِنْ يَتَامَى النِّسَاءِ إِلاَّ بِالْقِسْطِ مِنْ أَجْلِ رَغْبَتِهِمْ عَنْهُنَّ .
'Urwa b. Zubair reported that he asked 'A'isha about the words of Allah:
" If you fear that you will not be able to maintain equity amongst the orphan girls, then marry (those) you like from amongst the women two, three or four." She said: O, the son of my sister, the orphan girl is one who is under the patronage of her guardian and she shares with him in his property and her property and beauty fascinate him and her guardian makes up his mind to marry her without giving her due share of the wedding money and is not prepared (to pay so much amount) which anyone else is prepared to pay and so Allah has forbidden to marry these girls but in case when equity is observed as regards the wedding money and they are prepared to pay them the full amount of the wedding money and Allah commanded to marry other women besides them according to the liking of their heart. 'Urwa reported that 'A'isha said that people began to seek verdict from Allah's Messenger (ﷺ) after the revelation of this verse about them (orphan girls) and Allah, the Exalted and Glorious, revealed this verse:" They asked thee verdict about women; say: Allah gives verdict to you in regard to them and what is recited to you in the Book about orphan woman, whom you give not what is ordained for them while you like to marry them" (iv. 126). She said: The wording of Allah" what is recited to you" in the Book means the first verse, i. e." if you fear that you may not be able to observe equity in case of an orphan woman, marry what you like in case of woman" (iv. 3). 'A'isha said: (And as for this verse [iv. 126], i. e. and you intend" to marry one of them from amongst the orphan girls" it pertains to one who is in charge (of orphans) having small amount of wealth and less beauty and they have been forbidden that they should marry what they like of her wealth and beauty out of the orphan girls, but with equity, because of their disliking for them.