লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ১৮. কৃত ‘আমল ও না করা আমলের খারাবী থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করা
৬৮০২-(৭৬/...) আবু বকর ইবনু আবূ শাইবাহ (রহঃ) ..... ’আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন সন্ধ্যা হতো তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেনঃ
"أَمْسَيْـنَا وَأَمْسَـى الْمُـلْكُ لِلَّهِ، وَالحَمْدُ لِلَّهِ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ، لاَ شَرِيْكَ لَهُ، اَللَّهُمََّ! إِنِّيْ أَسْأَلُكَ مِنْ خَيْرِ هَذِهِ اللَّيْلَةِ وخَـيْرِ مَا فِيْهَا، وَأَعـوْذُ بِكَ مِنْ شَـرِّها وَشَرِّ مَا فِيْهَـا، اَللَّهُمََّ! إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْكَسَلِ، وَالْهَرَمِ، وَسُوْءِ الْكِبَرِ، وَفِتْنَةِ الدُّنْيَا، وَعَذَابِ الْقَبْرِ".
“আমসাইনা- ওয়া আমসাল মুল্কু লিল্লা-হি ওয়াল হামদু লিল্লা-হি লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহদাহু লা- শারীকা লাহু, আল্ল-হুম্মা ইন্নী আস্আলুকা মিন্ খইরি হাযিহিল লাইলাতি ওয়া খইরি মা- ফীহা- ওয়া আউযুবিকা মিন্ শাররিহা- ওয়া শাররি মা- ফীহা- আল্ল-হুম্মা ইন্নী আউযুবিকা মিনাল কাসালি ওয়াল হারামি ওয়া সুয়িল কিবারি ওয়া ফিতনাতিদ দুনইয়া ওয়া আযা-বিন ফিল কবরি",
অর্থাৎ- "আমরা সন্ধ্যায় পৌছেছি এবং পৃথিবী আল্লাহর জন্য সন্ধ্যায় পৌছেছে। সকল প্রকার প্রশংসা আল্লাহরই। আল্লাহ ছাড়া কোন মা’বূদ নেই। তিনি অদ্বিতীয়, তার কোন অংশীদার নেই। হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট কল্যাণ চাই এ রাত্রের ও তার পরবর্তী রাত্রের এবং আমি আপনার নিকট আশ্রয় চাই এ রাত্র ও এর পরবর্তী রাত্রের খারাবী হতে। হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট আশ্রয় চাই অলসতা, বার্ধক্য, অহঙ্কারের খারাবী দুনিয়ার ফিতনাহ্ ও কবরের শাস্তি হতে।”
হাসান ইবনু উবাইদুল্লাহ (রহঃ) বলেছেন, যুবায়দ (রহঃ) আবদুল্লাহ (রাযিঃ) এর সানাদে মারফু সূত্রে একটু বর্ধিত বলেছেন। তিনি বলেন, “লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহদাহু লা- শারীকা লাহু লাহুল মুল্কু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া আলা- কুল্লি শাইয়িন কদীর", অর্থাৎ "আল্লাহ ভিন্ন অন্য কোন মা’বূদ নেই। তিনি অদ্বিতীয়, তার কোন অংশীদার নেই। রাজত্ব তারই, প্রশংসা তারই এবং তিনিই সকল বিষয়ের উপর ক্ষমতাবান।" (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬৬৬১, ইসলামিক সেন্টার ৬৭১৪)
* এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১। মুসলিম ব্যক্তির উচিত যে, সে যেন রাত এবং দিনে উপনীত হয় আল্লাহর জিকিরের মাধ্যমে। এবং সে যেন রাত এবং দিন শেষও করে আল্লাহর জিকিরের মাধ্যমে। কেননা এরই উপর নির্ভর করে মানুষের স্বাস্থ্য, সুখ, শান্তি এবং অনাময় ও সুস্থতা। তাই মুসলিম ব্যক্তি যেন প্রতিদিন সকাল এবং সন্ধ্যার সময় পঠনীয় জিকিরগুলি পাঠ করে।
২। সন্ধ্যার পঠনীয় জিকিরগুলি সন্ধ্যার সময় পাঠ করতে হয়। আর সকালের পঠনীয় জিকিরগুলি প্রভাতে পাঠ করতে হয়।
৩। সন্ধাবেলায় পঠনীয় জিকিরগুলি পাঠ করার সময়ের ব্যাপারে কতকগুলি উক্তি রয়েছে। সেই উক্তিগুলির মধ্যে থেকে একটি উক্তি হলো এই যে, সন্ধাবেলায় পঠনীয় জিকিরগুলি পাঠ করার সময় হলো সূর্যাস্তের পর। মনে হচ্ছে এই উক্তিটিই বেশি সঠিক যেহেতু উল্লিখিত জিকিরটির মধ্যে বলা হয়েছে “এই রাতের” কথা। অর্থাৎ
هَذِهِ اللَّيْلَةِ
বলা হয়েছে: এই রাতের, সুতরাং “এই ” শব্দটি নির্দেশকারী বা নির্দেশক সর্বনাম। “এই ” শব্দটির দ্বারা একটি নির্দিষ্ট বস্তুর প্রতি ইঙ্গিত করা হয়। কেননা নির্দেশকারী বা নির্দেশক সর্বনামের দ্বারা কোনো একটি নির্দিষ্ট বস্তুর প্রতি ইঙ্গিত করা হয়। এবং সেই বস্তুটি বর্তমানে উপস্থিত আছে বলে তার অবস্থা উল্লেখ করা হয়। যেমন বলা হয়: এটি আল্লাহর উষ্ট্রী। এই ব্যাকরণটির মাধ্যমে বুঝা যায় যে, উল্লিখিত জিকিরটি ওই সময় পাঠ করতে হবে, যে সময় সন্ধাবেলার সূচনা হয়ে যাবে বা দিবাভাগ শেষ হয়ে যাবে এবং রাত্রি শুরু হয়ে যাবে ও উপস্থিত হয়ে যাবে। এই অর্থের সমর্থনে একটি বর্ণনায় এসেছে আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] একজন সাহাবীকে বলেছেন: “তুমি যখন রমাজান মাসে উপস্থিত হয়ে যাবে, তখন রোজা রাখবে। এবং যখন সন্ধাবেলায় উপনীত হয়ে যাবে তখন রোজা ইফতার করবে।
[দেখতে পারা যায় আল্লামা আল হাজিমির কিতাব: আল ইতিবার ফী আন নাসিখি ওয়াল মানসূখি মিনাল আসার, রোজার অধ্যায়, সুবহু সদিকের পর সাহারী খাওয়ার পরিচ্ছেদ]।
উক্ত হাদীসে সন্ধাবেলায় উপনীত হওয়ার পর রোজা ইফতার করার উপদেশ এসেছে। তাই এর দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, সন্ধা বলা হয় ওই সময়কে যে সময়ে সূর্যাস্তের পরে রাত্রির আরম্ভ হয়। এই বিষয়ে মহান আল্লাহই অধিক জানেন।
باب التَّعَوُّذِ مِنْ شَرِّ مَا عَمِلَ وَمِنْ شَرِّ مَا لَمْ يَعْمَلْ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ، عَنْ زَائِدَةَ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ، عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سُوَيْدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَمْسَى قَالَ " أَمْسَيْنَا وَأَمْسَى الْمُلْكُ لِلَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ مِنْ خَيْرِ هَذِهِ اللَّيْلَةِ وَخَيْرِ مَا فِيهَا وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا وَشَرِّ مَا فِيهَا اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْكَسَلِ وَالْهَرَمِ وَسُوءِ الْكِبَرِ وَفِتْنَةِ الدُّنْيَا وَعَذَابِ الْقَبْرِ " . قَالَ الْحَسَنُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ وَزَادَنِي فِيهِ زُبَيْدٌ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سُوَيْدٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ رَفَعَهُ أَنَّهُ قَالَ " لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ " .
Abdullah reported that when it was evening Allah's Messenger (ﷺ) used to supplicate:
" We have entered upon evening and so has the Kingdom of Allah entere d upon evening; praise is due to Allah, there is no god but Allah the One, and there is no partner with Him. O Allah, I beg of Thee the blessing of this night and the blessing of that which lies in it. I seek refuge in Thee from the evil of it and what lies in it. O Allah, I seek refuge in Thee from sloth, from decrepitude, from the evil of vanity, from trial of the world, and from torment of the grave." Zubaid, through another chain of transmitters, has narrated on the authority of Abdullah directly this addition:" There is no god but Allah, the One, there is no partner with Him, His is the Sovereignty and to Him is praise due and He is Potent over everything."