লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ১২. বেশি বেশি ক্ষমা প্রার্থনা বা ইসতিগফার (ইস্তিগফার) করা মুস্তাহাব
৬৭৫৪-(৪৩/২৭০৩) আবু বকর ইবনু আবূ শাইবাহ, ইবনু নুমায়র, আবু সাঈদ আশাজ্জ, আবূ খায়সামাহ যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) ..... আবু হুরাইরাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে লোক পশ্চিম আকাশে সূর্যোদয় হওয়ার আগে তওবা করবে আল্লাহ তা’আলা তার তওবা কবুল করবেন।* (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬৬১৫, ইসলামিক সেন্টার ৬৬৬৯)
* এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১। প্রকৃত ইসলাম ধর্মে তওবার পারিভাষিক সংজ্ঞা:
তওবা হলো: প্রকৃত ইসলাম ধর্মের বিধান অনুযায়ী কতকগুলি নির্দিষ্ট নিয়ম মোতাবেক যে কোনো পাপ থেকে আল্লাহর আনুগত্যের দিকে প্রত্যাবর্তন করার নাম।
এই হাদীসটি প্রতিটি মানুষকে সমস্ত প্রকারের পাপ ত্যাগ করে মহান আল্লাহর বিরুদ্ধাচরণ করা থেকে তাঁর আনুগত্যের দিকে প্রত্যাবর্তন করার প্রতি উৎসাহ প্রদান করে।
তবে আল্লাহর নিকটে তওবা কবুল হওয়ার কতকগুলি শর্ত বা আনুষঙ্গিক বিষয় রয়েছে, সেই বিষয়গুলি যেন প্রত্যেক ব্যক্তির তওবাতে পাওয়া যায়, উক্ত বিষয়গুলি নিম্নরূপ:
১। তওবা শুধু মাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টিলাভের উদ্দেশ্যে হতে হবে, পার্থিব জগতের উদ্দেশ্যে বা মানুষের প্রশংসা লাভের নিমিত্তে হওয়া বৈধ নয়।
২। পাপ সম্পূর্ণরূপে বর্জন করতে হবে।
৩। পাপ সংঘটিত হওয়ার কারণে অনুতপ্ত বা লজ্জিত হতে হবে।
৪। যে পাপ থেকে তওবা করা হচ্ছে, সেই পাপের দিকে পুনরায় না যাওয়ার দৃঢ় সংকল্প স্থির করতে হবে।
৫। পাপ যদি অন্যের অধিকারের সাথে সম্পৃক্ত হয়, তাহলে সেই অধিকার তাকে ফেরত দিতে হবে।
৬। তওবা কেয়ামতের পূর্বে পশ্চিম দিক থেকে সূর্যোদয় হওয়ার পূর্বে হতে হবে।
৭। তওবা মৃত্যুবরণের নিদর্শন প্রকাশ পাওয়ার আগেই করতে হবে।
২। যে ব্যক্তির দ্বারা কোনো পাপ সংঘটিত হয়ে যাবে, সে ব্যক্তির জন্য পাপ ত্যাগ করে আল্লাহর আনুগত্যের দিকে ফিরে আসা ওয়াজেব বা অপরিহার্য হয়ে যাবে। যদিও তার দ্বারা পাপ বারবার সংঘটিত হয়ে থাকে। কেননা যে ব্যক্তি সঠিকভাবে সমস্ত পাপ থেকে তওবা করে মহান আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন করবে, মহান আল্লাহ তার তওবা অবশ্যই গ্রহণ করবেন।
৩। পশ্চিম দিক থেকে সূর্যোদয়ের বিষয়টি হলো মহান আল্লাহর অনেক নিদর্শনের মধ্যে থেকে একটি মহা নিদর্শন। এই নিদর্শনটির দ্বারা এটা সাব্যস্ত হয় যে, মহান আল্লাহ নিশ্চয় সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান। আর পশ্চিম দিক থেকে সূর্যোদয়ের বিষয়টি হলো মহা প্রলয় বা কেয়ামত সংঘটিত হওয়ারও একটি মহা নিদর্শন। আর এই বিষয়টি পৃথিবীর আবর্তনের প্রভাবের কারণে নয়, যেমনকি কতকগুলি লোক এই ধারণাটি তাদের মনের মধ্যে পোষণ করে থাকে।
باب اسْتِحْبَابِ الاِسْتِغْفَارِ وَالاِسْتِكْثَارِ مِنْهُ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ يَعْنِي سُلَيْمَانَ بْنَ حَيَّانَ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، ح وَحَدَّثَنِي أَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ، حَدَّثَنَا حَفْصٌ، - يَعْنِي ابْنَ غِيَاثٍ - كُلُّهُمْ عَنْ هِشَامٍ، ح وَحَدَّثَنِي أَبُو خَيْثَمَةَ، زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ - وَاللَّفْظُ لَهُ - حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، بْنُ إِبْرَاهِيمَ عَنْ هِشَامِ بْنِ حَسَّانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ تَابَ قَبْلَ أَنْ تَطْلُعَ الشَّمْسُ مِنْ مَغْرِبِهَا تَابَ اللَّهُ عَلَيْهِ " .
Abu Huraira reported Allah's Messenger (ﷺ) as say- ing:
He who seeks repentance (from the Lord) before the rising of the sun from the west (before the Day of Resurrection), Allah turns to him with Mercy.