পরিচ্ছেদঃ

৫। কোন বান্দা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশে যখন কিছু ত্যাগ করে, তখন আল্লাহ তাঁকে তাঁর দ্বীন ও দুনিয়াবী ক্ষেত্রে তাঁর চাইতেও অতি কল্যাণকর বস্তু প্রতিদান হিসেবে দান করেন।

এ ভাষায় হাদীসটি বানোয়াট।

আমি (আলবানী) বলছিঃ হাদীসটি ১৩৭৯ হিজরী সনের রমাযান মাসে রেডিও দামেস্কে প্রচারিত কোন এক সন্মানিত ব্যক্তির বক্তব্যে শুনি। হাদীসটি আবূ নো’য়াইম “হিলইয়াতুল আওলিয়া” গ্রন্থে (২/১৯৬), দাইলামী “আল-গারায়েবুল মুলতাকাতাহ্‌” গ্রন্থে, আস-সিলাফী “আত-তায়ুরীয়াত” গ্রন্থে (২/২০০) এবং ইবনু আসাকীর (৩/২০৮/২,১৫/৭০/১) আবদুল্লাহ ইবনু সা’দ আর-রাকী সূত্রে... বর্ণনা করেছেন।

অতঃপর আবূ নু’য়াইম বলেনঃ হাদীসটি গারীব।
আমি (আলবানী) বলছিঃ হাদীসটির সনদ বানোয়াট, কারন হাদীসটির সনদে বর্ণিত যুহ্‌রীর নিচের বর্ণনাকারীগণের মধ্য থেকে আবদুল্লাহ ইবনু সা’দ আর-রাকী ব্যতীত অন্য কোন বর্ণনাকারীর বিবরণ হাদীসের গ্রন্থসমূহে মিলে না। তিনি পরিচিত, তবে মিথ্যুক হিসাবে!

হাফিয যাহাবী “মীযানুল ই’তিদাল” গ্রন্থে এবং তার অনুসরণ করে হাফিয ইবনু হাজার আসকালানী “লিসানুল মীযান” গ্রন্থে বলেনঃ

(كذبه الدارقطني وقال: كان يضع الحديث) দারাকুতনী তাকে মিথ্যুক আখ্যা দিয়েছেন। তিনি আরো বলেছেনঃ তিনি হাদীস জাল করতেন। আর আহমাদ ইবনু আব্দান তাকে খুবই দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন।

হাদীসটিতে অন্য একটি সমস্যা রয়েছে, সেটি হচ্ছে বাক্কার ইবনু মুহাম্মাদ। তিনি মাজহূল (অপরিচিত)। ইবনু আসাকীর তার জীবনীতে তার সম্পর্কে ভাল মন্দ কিছুই বলেননি। তবে হ্যাঁ হাদীসটি (في دينه ودنياه) এ শব্দ ছাড়া সহীহ। যা ওয়াকী’ “আল-যুহুদ” নামক গ্রন্থে (২/৬৮/২) এবং তার থেকে ইমাম আহমাদ (৫/৩৬৩) ও কাযা’ঈ “মুসনাদুশ শিহাব” গ্রন্থে (১১৩৫) নিম্নের ভাষায় উল্লেখ করেছেনঃ

إنك لن تدع شيئا لله عز وجل إلا بدلك الله به ما هو خير لك منه

’তুমি আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামিনের উদ্দেশ্যে কিছু ত্যাগ করলে অবশ্যই আল্লাহ্‌ তার প্রতিদান হিসাবে তোমাকে তার চেয়ে উত্তম কিছু দান করবেন।’

ইমাম মুসলিমের শর্তানুযায়ী হাদীসটির সনদ সহীহ। হাদীসটি ইসপাহানীও “আত-তারগীব” গ্রন্থে (১/৭৩) বর্ণনা করেছেন। অতঃপর তিনি উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) হতে তার একটি শাহেদ [সাক্ষীমূলক] হাদীস এমন এক সনদে বর্ণনা করেছেন, শাহেদ হওয়ার ক্ষেত্রে যাতে কোন সমস্যা নেই।

(ما ترك عبد شيئا لله لا يتركه إلا لله إلا عوضه منه ما هو خير له فى دينه ودنياه) موضوع بهذا اللفظ - وقد سمعته في كلمة ألقاها بعض الأفاضل من إذاعة دمشق في هذا الشهر المبارك شهر رمضان أخرجه أبو نعيم في " حلية الأولياء " (2 / 196) وعنه الديلمي (4 / 27 ـ الغرائب الملتقطة) والسلفي في " الطيوريات " (200 / 2) وابن عساكر (3 / 208 / 2 و15 / 70 / 1) من طريق عبد الله بن سعد الرقي حدثتني والدتي مروة بنت مروان قالت حدثتني والدتي عاتكة بنت بكار عن أبيها قالت: سمعت الزهري يحدث عن سالم بن عبد الله عن ابن عمر أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: فذكره وقال أبو نعيم عقبه: حديث غريب وأقول: أن إسناده موضوع، فإن من دون الزهري لا ذكر لهم في شيء من كتب الحديث غير عبد الله بن سعد الرقي فإنه معروف، ولكن بالكذب قال الحافظ الذهبي في " ميزان الاعتدال في نقد الرجال " وتبعه الحافظ أحمد بن حجر العسقلاني في " لسان الميزان ": كذبه الدارقطني وقال: كان يضع الحديث وهاه أحمد بن عبدان وفيه علة أخرى وهي جهالة بكار هذا وهو ابن محمد وفي ترجمته أورده ابن عساكر ولم يذكر فيه جرحا ولا تعديلا نعم صح الحديث بدون قوله في آخره في دينه ودنياه أخرجه وكيع في " الزهد " (2 / 68 / 2) وعنه أحمد (5 / 363) والقضاعي في " مسند الشهاب " (رقم 1135) بلفظ: " إنك لن تدع شيئا لله عز وجل إلا بدلك الله به ما هو خير لك منه وسنده صحيح على شرط مسلم وأخرجه الأصبهاني أيضا في " الترغيب " (73 / 1) ثم روى له شاهدا من حديث أبي ابن كعب بسند لا بأس به في الشواهد


হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ