লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৩. মানুষের মৃত্যুর পর যে সকল জিনিসের সাওয়াব তার কাছে পৌছে
৪১১৫-(১৪/১৬৩১) ইয়াহইয়া ইবনু আইয়্যুব ও কুতাইবাহ্ (রহঃ) ..... আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন মানুষ মৃত্যুবরণ করে তখন তার সমস্ত আমল বন্ধ হয়ে যায় তিন প্রকার আমল ছাড়া। ১. সাদাকা জারিয়াহ্ অথবা ২. এমন ইলম যার দ্বারা উপকার হয় অথবা ৩. পুণ্যবান সন্তান যে তার জন্যে দু’আ করতে থাকে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪০৭৭, ইসলামিক সেন্টার ৪০৭৬)
* এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১। এই হাদীসটির দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, মানুষের মৃত্যুবরণ করার সাথে সাথে তার সমস্ত কর্ম বন্ধ হয়ে যায়। তবে সে মৃত্যুবরণ করার পরেও তার উল্লিখিত তিনটি কর্মের দ্বারা সে উপকৃত হতে থাকে। কেননা প্রকৃতপক্ষে উল্লিখিত তিনটি কর্মের প্রকৃত উপাদান ও মাধ্যম সে নিজেই। সুতরাং তার সন্তান তার মাধ্যমেই এই পৃথিবীতে এসেছে, বই লিখার মাধ্যমে অথবা শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে জ্ঞান প্রচারের বিষয়টিও তার উপার্জিত রত্ন, অনুরূপভাবে প্রবহমান দান খয়রাত প্রদান করার বিষয়টিও তার উপার্জিত সম্পদ এবং আল্লাহর নামে তারই ওয়াকফ।
২। এই হাদীসটির দ্বারা এই বিষয়টি সাব্যস্ত হয় যে, মৃত ব্যক্তির জন্য পবিত্র কুরআন পাঠ করে তাকে তার পুণ্য দান করা বৈধ নয়। তাই আল্লাহর নাবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] থেকে এই বিষয়টি প্রমাণিত হয় নি যে, তিনি তাঁর পরিবার-পরিজনের কোনো ব্যক্তির জন্য কিংবা অন্য কোনো ব্যক্তির জন্য পবিত্র কুরআন পাঠ করে তার পুণ্য তাকে দান করেছেন। আর যদি পবিত্র কুরআন পাঠ করে তার পুণ্যের দ্বারা মৃত ব্যক্তিদেরকে পুরস্কৃত করা সম্ভব হতো, তাহলে তিনি এই কাজে আগ্রহ প্রকাশ করতেন। এবং এই বিষয়টির প্রতি তিনি মুসলিম জাতিকে উৎসাহিত করতেন। কেননা তার মাধ্যমে মুসলিমগণ তাদের মৃত ব্যক্তিদেরকে এই কাজটির মাধ্যমে উপকৃত করতে সক্ষম হতো। কেননা আল্লাহর নাবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] তো মুসলিম জাতির প্রতি অত্যন্ত দয়াবান ও করুণাময়। অতঃপর এই বিষয়টি প্রকৃত ইসলামের প্রথম চার খালীফা এবং সাহাবীগণ [রাদিয়াল্লাহু আনহুম] আল্লাহর নাবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর পন্থা অবলম্বন করেছিলেন। তাই তাঁদের মধ্যে থেকেও কোনো সাহাবী পবিত্র কুরআন পাঠ করে তার পুণ্যের দ্বারা কোনো মৃত ব্যক্তিকে পুরস্কৃত করেছেন, এই বিষয়টি প্রমাণিত হয়নি।
৩। এই হাদীসটির দ্বারা এই বিষয়টি সাব্যস্ত হয় যে, বিবাহ করার প্রতি মুসলিম ব্যক্তিকে উৎসাহিত করা উচিত। যেহেতু এই বিবাহের মাধ্যমেই ধর্মপরায়ণ সন্তান জন্ম গ্রহণ করার সুযোগ রয়েছে।
باب مَا يَلْحَقُ الإِنْسَانَ مِنَ الثَّوَابِ بَعْدَ وَفَاتِهِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ، - يَعْنِي ابْنَ سَعِيدٍ - وَابْنُ حُجْرٍ قَالُوا حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، - هُوَ ابْنُ جَعْفَرٍ - عَنِ الْعَلاَءِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا مَاتَ الإِنْسَانُ انْقَطَعَ عَنْهُ عَمَلُهُ إِلاَّ مِنْ ثَلاَثَةٍ إِلاَّ مِنْ صَدَقَةٍ جَارِيَةٍ أَوْ عِلْمٍ يُنْتَفَعُ بِهِ أَوْ وَلَدٍ صَالِحٍ يَدْعُو لَهُ " .
Abu Huraira (Allah be pleased with him) reported Allah's Messenger (ﷺ) as saying:
When a man dies, his acts come to an end, but three, recurring charity, or knowledge (by which people) benefit, or a pious son, who prays for him (for the deceased).