৩২০

পরিচ্ছেদঃ

৩২০. ইবনে সীরীন (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হাদীস শিক্ষা করা দীনের অন্তর্ভুক্ত। অতএব তা শিক্ষার আগে একটি বিচার্য বিষয় হলো, তুমি দেখে নাও যে, কার কাছ থেকে এ দীন শিক্ষা করছ।[1]


উপসংহার

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর একটি উদাহরণ

জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিদ্রিত ছিলেন, এমতাবস্থায় তাঁর নিকট কয়েকজন ফেরেশতা আগমন করলেন। তারা পরস্পরে বলাবলি করতে লাগলেন। কেউ বলল, তিনি নিদ্রিত, আর কেউ বলল, তাঁর চক্ষু নিদ্রিত, কিন্তু হৃদয় জাগ্রত। অতঃপর কয়েকজন বলল, তোমাদের এ সাথীর (নবী সা. এর) একটি উদাহরণ আছে। কেউ বলল, তাহলে সে উদাহরণটি বর্ণনা করুন। তাদের কেউ বলল, তিনি তো নিদ্রিত, আবার কেউ বলল, তার চক্ষু নিদ্রিত কিন্তু অন্তর জাগ্রত। অতঃপর তারা বলল, তার উদাহরণ হচ্ছে ঐ ব্যক্তির ন্যায়, যে একটি গৃহ নিৰ্মাণ করল। অতঃপর সেখানে যিয়াফাতের আয়োজন করল। আর একজন আহবানকারী প্রেরণ করল, অতঃপর যে সে আহবানকারীর দাওয়াত গ্রহণ করে উপস্থিত হলো, সে গৃহে প্রবেশ করে যিয়াফাতের খানা খেয়ে নিল। আর যে দাওয়াত গ্রহণ করল না সে গৃহেও প্রবেশ করতে পারল না, খেতেও পারল না। তারা বলল, এ উদাহরণের ব্যাখ্যা খুলে বলুন, যেন তিনি বুঝতে পারেন। কেউ বলল, তিনি তো নিদ্রায় মগ্ন আছেন (কীভাবে বুঝবেন)। আবার কেউ বলল, তার শুধুমাত্র চক্ষুই নিদ্রিত, অন্তর জাগ্রত আছে। তারপর তারা ব্যাখ্যা করে বলল, গৃহ মানে জান্নাত, আর আহবানকারী হলেন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তাই যে ব্যক্তি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অনুসরণ করল সে যেন আল্লাহর আনুগত্য করল। আর যে ব্যক্তি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে অমান্য করল, বস্তুত সে আল্লাহকেই অমান্য করল। (সহীহ বুখারী, হা/৭২৮১)

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيٍّ ، قَالَ : حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ ، قَالَ : أَنْبَأَنَا ابْنُ عَوْنٍ ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ ، قَالَ : " هَذَا الْحَدِيثُ دِينٌ ، فَانْظُرُوا عَمَّنْ تَأَخُذُونَ دِينَكُمْ " .


Ibn Seereen says: "The knowledge of hadith (in the same manner all other religious subjects) are included in the deen. Therefore before acquiring knowledge, be aware from whom knowledge is acquired".

দ্বীনের কোন কিছু গ্রহণ করার ক্ষেত্রে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে যে, কার থেকে এই দীনী বিষয় গ্রহণ করা হচ্ছে। ফাসেক ফুজ্জার বা বিদআতীর কাছ থেকে দ্বীনের নামে বদ দ্বীনী যেন গ্রহণ করা না হয়।

ইমাম তিরমিয়ী (রহঃ) বিখ্যাত দু’জন মুহাদ্দিসের দুটি গুরুত্বপূর্ণ উক্তির দ্বারা কিতাব সমাপ্ত করেছেন।

প্রথম উক্তি আবদুল্লাহ ইবনে মুবারক (রহঃ) এর। ইবনুল মুবারাক বলেন, বিচার ও ফায়সালার ক্ষেত্রে নিজের রায় ও মতের উপর নির্ভর করবে না; হাদীস, সাহাবী বরং তাবিয়ীদের উক্তির অনুসরণ করবে। এটি একটি সাধারণ উপদেশ হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে। আবার স্বপ্নের অনুচ্ছেদের সাথেও একে সম্পৃক্ততাও করা যেতে পারে। অর্থাৎ স্বপ্নের ব্যাখ্যাও এক ধরনের বিচার। তাই স্বপ্নের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে যা মন চায়, তা বলে দেয়া ঠিক হবে না; বরং পূর্বসূরীদের ব্যাখ্যার আলোকে ব্যাখ্যা করা উচিত।

মুহাম্মাদ ইবনে সীরীন (রহঃ) ছিলেন একজন বিখ্যাত তাবিয়ী এবং তা’বীর শাস্ত্র তথা স্বপ্নের ব্যাখ্যায় তিনি ছিলেন প্রসিদ্ধ। তার এ উক্তির উদ্দেশ্য হলো, ইলমে হাদীস দ্বীনের অন্তর্ভুক্ত বিষয়। আর দ্বীন অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

কেননা এর উপর মানুষের নীতি-আদর্শ নির্ভর করে। কারো দীন সঠিক না হলে তার পরকালে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অতএব, দীন গ্রহণ করার পূর্বে লক্ষ্য করতে হবে, যার নিকট থেকে দীন গ্রহণ করা হচ্ছে, তিনি মুত্তাকী এবং হক্বপন্থী কি না? যে কারো থেকে দীন গ্রহণ করা ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ উস্তাদের আকীদা, আমল ও আখলাকের প্রভাব ছাত্রের উপর পড়াটা স্বাভাবিক।


Ibn Seereen was also an Imaam of his time and is a famous Taabi-ee. He acquired 'ilm from many of the Sahaabah Radiyallahu 'Anhum, and is regarded as the imaam in the art of interpreting dreams. His interpretations of dreams are a hujjah (testimony). The object of his advice is that prior to acquiring knowledge from a person, one should first thoroughly investigate the state of the person's piety, honesty religion and maslak (rule of conduct). One should not follow the sayings of every person, because the following of the sayings of an irreligious person has its effects. This has also been commanded by Sayyidina Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallam in a few narrations. This is a general advice as mentioned in athar number one. This athar may also be relevant to the subject of interpreting dreams, as this subject is also important. When a good dream is a portion from the portions of nubuwwah, its importance can be understood. Therefore one should always be careful from whom one is seeking an interpretation of a dream. Is that person capable of interpreting a dream or not. It is for this reason that Imaam Tirmidhi has mentioned this athar here. This advice of Ibn Seereen is not particular or confined to the subject of dreams, but includes all other sciences. The more important the signs are, the more it becomes necessary to seek a competent and knowledgeable person. In our times which is close to the time of qiyaamah, a very dangerous and detrimental element has appeared. That every person, however unlearned or irreligious, after delivering a short inspiring lecture, or writing an article on a aspect of the deen, begins to be considered an 'allaamah or an 'aalim, and by donning coloured clothing begins to be regarded as a sufi, hence people ignorantly begin to follow such a person. In the beginning the general public due to some misunderstanding begin following such a person, and because of their ignorance they are caught in their web. This is because of a general misunderstanding, which has entered the hearts of the public, that 'See what is said and not who has said it'. Although this saying is true, it is for those who understand and differentiate, that which is being said, is it a fact or is it false? Those who cannot differentiate should not follow the sayings of every person they come across, as this will result in a bad and detrimental ending. It is for this reason that in these times, if one claims to be a saint, imaam, or prophet, and Allah forbid, also that of being a God, one group always immediately begins to follow that person. And to Allah is our complaint, and He is the One that grants assistance.