১৮৮

পরিচ্ছেদঃ

১৮৮. আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার ১১ জন মহিলা এ মর্মে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হলো যে, তারা তাদের নিজ নিজ স্বামী সম্পর্কে সব খুলে বলবে এবং কোন কিছুই গোপন করবে না।

প্রথম মহিলা বলল, আমার স্বামী অলস, অকৰ্মণ্য, দুর্বল উটের মাংসতুল্য, তা আবার পর্বত চূড়ায় সংরক্ষিত; যা ধরাছোঁয়া দুঃসাধ্য। তাঁর আচরণ রুক্ষ। ফলে তাঁর কাছে যাওয়া যায় না। সে স্বাস্থ্যবানও নয়, আর তাকে ত্যাগও করতে পারছি না।

দ্বিতীয় মহিলা বলল, আমার স্বামী এমন যে, আমি আশংকা করছি, তাঁর দোষক্ৰটি বর্ণনা করে শেষ করতে পারব না। আর আমি যদি বর্ণনা করে দেই, তাহলে কেবল দোষত্রুটিই বর্ণনা করব।

তৃতীয় মহিলা বলল, আমার স্বামী দীর্ঘদেহ বিশিষ্ট, দেখতে কদাকার। আমি কথা বললে (উত্তরে আসে) তালাক। আর নীরব থাকলে সে তো ঝুলন্ত রশি (অর্থাৎ কিছু চাইলে বদ মেজাজের সম্মুখীন হতে হয় এবং নীরব থাকলে হতে হয় বঞ্চিত)।

চতুর্থ মহিলা বলল, আমার স্বামী তিহামার রাত্রির ন্যায়- না (প্রচণ্ড) গরম, আর না (প্রচণ্ড) ঠাণ্ডা। তাঁর থেকে কোন ভয়-ভীতি কিংবা অস্বস্তির কারণ নেই।

পঞ্চম মহিলা বলল, আমার স্বামী ঘরে এলে মনে হয় চিতাবাঘ আর বাইরে বের হলে সে হয় সাহসী সিংহ। বাড়িতে কি ঘটল সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে না।

ষষ্ঠ মহিলা বলল, আমার স্বামী যখন খায়, তৃপ্তি ভরে খায়। আর পান করলে সব সাবাড় করে দেয় এবং কোন কিছু অবশিষ্ট রাখে না। আর যখন ঘুমাতে চায়, চাদর দেহে জড়িয়ে দেয়। আমার কোন বিপদাপদ আছে কি না তা হাত বাড়িয়েও দেখে না।

সপ্তম মহিলা বলল, আমার স্বামী অক্ষম, কথা বলতে পারে না, সব ধরনের রোগে আক্রান্ত। সে আমার মস্তক চূর্ণ করতে পারে অথবা মারধোর করে হাড়গোড় সব ভেঙ্গে দিতে পারে বা উভয়টিও করতে পারে।

অষ্টম মহিলা বলল, আমার স্বামীর পরশ খরগোশের ন্যায় কোমল। (তাঁর ব্যবহৃত সুগন্ধি) জাফরানের সুগন্ধির ন্যায়।

নবম মহিলা বলল, আমার স্বামী উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিত্ত্ব। অত্যন্ত অতিথিপরায়ণ, দীর্ঘ দেহবিশিষ্ট, তাঁর বৈঠকখানা ঘরের নিকটবর্তী।

দশম মহিলা বলল, আমার স্বামী হলো আমার মালিক। মালিকের প্রশংসা কী আর করব (উপরে বর্ণিত সকলের প্রশংসা একত্র করলেও তাঁর গুণ গেয়ে শেষ করা যাবে না)। তার রয়েছে অসংখ্য উট, অধিকাংশ সময় সেগুলো বাধাই থাকে। খুব কমই মাঠে চরানো হয়। এসব উট যখন বাদ্যের ঝংকার শোনে, তখন তারা নিশ্চিত হয়ে যায় যে, তাদেরকে যবেহ করা হবে।

একাদশ মহিলা উম্মে যার’আ বলল, আমার স্বামী আবু যার’আ। আবু যার’আর কী আর প্রশংসা করব, সে তো অলংকার দিয়ে আমার দু’কান ভর্তি করে দিয়েছে, উপাদেয় খাবার খাইয়ে দু’বাহু চর্বিযুক্ত করে দিয়েছে। আমাকে খুবই স্বাচ্ছন্দ্যে রেখেছে। ফলে আমি আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েছি। আমি ছিলাম বকরী রাখালের কন্যা, খুব দুঃখ-কষ্টের মধ্যে দিন অতিবাহিত করতে হতো। আমি এখন অসংখ্য ঘোড়া, উট ও বকরী পালের মধ্যে তথা পর্যাপ্ত ধন-সম্পদের মধ্যে আছি। আমি তাকে কিছু বললেও আমাকে মন্দ বলত না। সারাক্ষণ নিদ্রায় কাটালেও কিছুই বলত না। পর্যাপ্ত খাওয়ার পরও খাবার অবশিষ্ট থাকত।

উম্মে আবু যার’আর (একাদশ মহিলার শাশুড়ির) প্রশংসাই বা কি করব! তাঁর বড় বড় পাত্রগুলো সর্বদা খানায় পরিপূর্ণ থাকতো। আর তার বাড়ির সীমানা সুবিশাল। ইবনে আবু যার’আ তরবারির ন্যায় সূক্ষ্ম, বকরীর একটি উরুর মাংস তাঁর জন্য যথেষ্ট। আবু যার’আর কন্যা সম্পর্কেই কী বলব! পিতামাতার অনুগত, সুস্বাস্থ্যের অধিকারিণী, স্বাস্থ্যবান সতীনদের অন্তর্জ্বালার কারণ। আবু যার’আর পরিচারিকার কথাই বা কি বলব! সে ঘরের গোপন তথ্য ফাঁস করে না। আমাদের খাবার বিনা অনুমতিতে হাত দেয় না। বাড়িতে কখনো আবর্জনা জমা করে রাখে না।

সে (একাদশ মহিলা) বলল, আমি এমনই সুখ শান্তি, আদর সোহাগ সমৃদ্ধির মধ্যে দিনকাল কাটাচ্ছিলাম। এমন সময় একবার আবু যার’আ বাইরে যান এবং দেখতে পান যে, স্বাস্থ্যবান দুটি শিশু তাদের মায়ের স্তন নিয়ে খেলা করছে। এরপর আবু যার’আ আমাকে তালাক দিয়ে তাকে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ করে ফেলেন।

এরপর আমি একজন বিত্তশালী উষ্ট্রারোহী ব্যক্তিকে বিয়ে করি। সেও আমাকে পর্যাপ্ত সামগ্রী জোড়ায় জোড়ায় দিয়েছিল। সে স্বামী বলল, উম্মে যার’আ! তৃপ্তি সহকারে খাও এবং ইচ্ছেমতো তোমার বাপের বাড়িতে পাঠাও। সে মহিলা বলল, তার দান-দক্ষিণার যাবতীয় বস্তু একত্র করলে আবু যার’আর সামান্যও হবে না। আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, আবু যার’আ যেমন উম্মে যার’আর জন্য, আমিও ঠিক তদ্রুপ তোমার জন্য। (কিন্তু কখনো আবু যার’আর মতো তোমাকে তালাক দেব না)[1]

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ ، عَنِ أَخِيهِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُرْوَةَ ، عَنْ عُرْوَةَ ، عَنْ عَائِشَةَ ، قَالَتْ : جَلَسَتْ إِحْدَى عَشْرَةَ امْرَأَةً فَتَعَاهَدْنَ وَتَعَاقَدْنَ أَنْ لا يَكْتُمْنَ مِنْ أَخْبَارِ أَزْوَاجِهِنَّ شَيْئًا : فَقَالَتِ الأُولَى : زَوْجِي لَحْمُ جَمَلٍ غَثٍّ عَلَى رَأْسِ جَبَلٍ وَعْرٍ ، لا سَهْلٌ فَيُرْتَقَى ، وَلا سَمِينٌ فَيُنْتَقَلُ . قَالَتِ الثَّانِيَةُ : زَوْجِي لا أَبُثُّ خَبَرَهُ ، إِنِّي أَخَافُ أَنْ لا أَذَرَهُ ، إِنْ أَذْكُرْهُ أَذْكُرْ عُجَرَهُ , وَبُجَرَهُ . قَالَتِ الثَّالِثَةُ : زَوْجِي الْعَشَنَّقُ ، إِنْ أَنْطِقْ أُطَلَّقْ ، وَإِنْ أَسْكُتْ أُعَلَّقْ . قَالَتِ الرَّابِعَةُ : زَوْجِي كَلَيْلِ تِهَامَةَ ، لا حَرٌّ , وَلا قُرٌّ ، وَلا مَخَافَةَ , وَلا سَآمَةَ . قَالَتِ الْخَامِسَةُ : زَوْجِي إِنْ دَخَلَ فَهِدَ ، وَإِنْ خَرَجَ أَسِدَ ، وَلا يَسْأَلُ عَمَّا عَهِدَ . قَالَتِ السَّادِسَةُ : زَوْجِي إِنْ أَكَلَ لَفَّ ، وَإِنْ شَرِبَ اشْتَفَّ ، وَإِنِ اضْطَجَعَ الْتَفَّ ، وَلا يُولِجُ الْكَفَّ , لِيَعْلَمَ الْبَثَّ . قَالَتِ السَّابِعَةُ : زَوْجِي عَيَايَاءُ , أَوْ غَيَايَاءُ طَبَاقَاءُ , كُلُّ دَاءٍ لَهُ دَاءٌ ، شَجَّكِ , أَوْ فَلَّكِ , أَوْ جَمَعَ كُلا لَكِ . قَالَتِ الثَّامِنَةُ : زَوْجِي الْمَسُّ , مَسُّ أَرْنَبٍ وَالرِّيحُ , رِيحُ زَرْنَبٍ . قَالَتِ التَّاسِعَةُ : زَوْجِي رَفِيعُ الْعِمَادِ , طَوِيلُ النِّجَادِ عَظِيمُ الرَّمَادِ , قَرِيبُ الْبَيْتِ مِنَ النَّادِ . قَالَتِ الْعَاشِرَةُ : زَوْجِي مَالِكٌ , وَمَا مَالِكٌ خَيْرٌ مِنْ ذَلِكَ ، لَهُ إِبِلٌ كَثِيرَاتُ الْمَبَارِكِ ، قَلِيلاتُ الْمَسَارِحِ ، إِذَا سَمِعْنَ صَوْتَ الْمِزْهَرِ , أَيْقَنَّ أَنَّهُنَّ هَوَالِكُ . قَالَتِ الْحَادِيَةَ عَشْرَةَ : زَوْجِي أَبُو زَرْعٍ وَمَا أَبُو زَرْعٍ ؟ أَنَاسَ مِنْ حُلِيٍّ أُذُنَيَّ ، وَمَلأَ مِنْ شَحْمٍ عَضُدَيَّ ، وَبَجَّحَنِي , فَبَجَحَتْ إِلَيَّ نَفْسِي ، وَجَدَنِي فِي أَهْلِ غُنَيْمَةٍ بِشَقٍّ فَجَعَلَنِي فِي أَهْلِ صَهِيلٍ , وَأَطِيطٍ وَدَائِسٍ وَمُنَقٍّ ، فَعِنْدَهُ أَقُولُ , فَلا أُقَبَّحُ ، وَأَرْقُدُ , فَأَتَصَبَّحُ , وَأَشْرَبُ , فَأَتَقَمَّحُ ، أُمُّ أَبِي زَرْعٍ فَمَا أُمُّ أَبِي زَرْعٍ ، عُكُومُهَا رَدَاحٌ ، وَبَيْتُهَا فَسَاحٌ ، ابْنُ أَبِي زَرْعٍ ، فَمَا ابْنُ أَبِي زَرْعٍ ، مَضْجَعُهُ كَمَسَلِّ شَطْبَةٍ ، وَتُشْبِعُهُ ذِرَاعُ الْجَفْرَةِ ، بِنْتُ أَبِي زَرْعٍ ، فَمَا بِنْتُ أَبِي زَرْعٍ ، طَوْعُ أَبِيهَا وَطَوْعُ أُمِّهَا ، مِلْءُ كِسَائِهَا ، وَغَيْظُ جَارَتِهَا ، جَارِيَةُ أَبِي زَرْعٍ ، فَمَا جَارِيَةُ أَبِي زَرْعٍ ، لا تَبُثُّ حَدِيثَنَا تَبْثِيثًا ، وَلا تُنَقِّثُ مِيرَتَنَا تَنْقِيثًا ، وَلا تَمْلأُ بَيْتَنَا تَعْشِيشًا ، قَالَتْ : خَرَجَ أَبُو زَرْعٍ , وَالأَوْطَابُ تُمْخَضُ ، فَلَقِيَ امْرَأَةً مَعَهَا وَلَدَانِ لَهَا , كَالْفَهْدَيْنِ ، يَلْعَبَانِ مِنْ تَحْتِ خَصْرِهَا بِرُمَّانَتَيْنِ ، فَطَلَّقَنِي وَنَكَحَهَا ، فَنَكَحْتُ بَعْدَهُ رَجُلا سَرِيًّا ، رَكِبَ شَرِيًّا ، وَأَخَذَ خَطِّيًّا ، وَأَرَاحَ عَلَيَّ نَعَمًا ثَرِيًّا ، وَأَعْطَانِي مِنْ كُلِّ رَائِحَةٍ زَوْجًا ، وَقَالَ : كُلِي أُمَّ زَرْعٍ ، وَمِيرِي أَهْلَكِ ، فَلَوْ جَمَعْتُ كُلَّ شَيْءٍ أَعْطَانِيهِ ، مَا بَلَغَ أَصْغَرَ آنِيَةِ أَبِي زَرْعٍ . قَالَتْ عَائِشَةُ : فَقَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " كُنْتُ لَكِ كَأَبِي زَرْعٍ لأُمِّ زَرْعٍ " .


Aisha radiyallahu anha reports, “Once eleven women assembled and made an agreement, that each of them would describe the true state of their husbands, without hiding any fact.” THE FIRST WOMAN said, “My husband is like the meat of a useless camel. (As if he is a piece of meat that has no life left in it, and also like the meat of a camel that is generally not preferred). And the meat also put on top of a mountain which is difficult to climb. The road to the top is not easy, so that it may be possible to climb it, nor is the meat of much value, that because of it one should separate it into a hundred lots and carry it down. THE SECOND WOMAN said, “(If I do describe my husband what can I describe about him. I have nothing to say about him). I fear if I begin to describe his faults, there will be no end to it. If I begin I will have to mention all his inner and outer faults.” THE THIRD WOMAN said, “My husband is an ‘A-shannaq’ which means he is a very tall man. If I do comment on anything he will immediately give talaaq (divorce), and if I keep silent, I just hang around.” THE FOURTH WOMAN said.. "My husband is mild mannered, like nights of Tihaamah. He is not hot nor cold, nor is there anything to fear of him, nor any displeasure". THE FIFTH WOMAN said: "When my husband comes into the house, he becomes a cheetah, and when he goes out, he becomes a lion. He does not care to investigate what happens in the house". THE SIXH WOMAN said: "When my husband eats, he eats everything. When he drinks, he does not leave anything. When he sleeps, he sleeps in his own sheet. He does not even touch me, so that he can know the disturbance in my mind". THE SEVENTH WOMAN said: "My husband is impotent and unmanly. He is such a dunce that he cannot even speak. Whatever sickness a person has in this world, he possess it. His manners are such that he may break my head or injure my body, or do both". THE EIGHTH WOMAN said: "My husband is soft like a rabbit when I touch him. His smell is like the fagrance ofe of za'faraan (saffron)" THE NINTH WOMAN said: "My husband is of high status, generous, hospitable, owner of a high dwelling. He has a lot of ashes. He is tall built. His home is near the majlis and Daarul Mashwarah (House of Counsel)'. THE TENTH WOMAN said: "My husband is Maalik, and what can I describe about Maalik. He is more generous than all those who have been praised, or he is more praiseworthy than all the praises I may shower on him. He owns many herds of camels, which are kept near the house. They are seldom taken out for grazing. When the camels hear the sound of the mizhar, they are sure that their end is near". THE ELEVENTH WOMAN Umm Zar-a, said: "My husband was Abu Zar-a', and how can I praise Abu Zar-a'? He made my ears bow with jewels. He made my sides (by feeding) full of fat. He kept me so happy and contented, that due to self admiration and haughtiness I thought I was virtuous. He found me from such a poor home, that lived with hardship, owning only a few goats for a living. From there he brought me into such a prosperous family who owned horses, camel oxen for ploughing, and gardeners (and possessed all types of wealth. Besides all this he was so good natured) that he did not criticise me scold me for anything. I slept till late in the morning, and no one was allowed to wake me up. Food was so abundant that after filling myself I just left it (and it never got finished). The mother of Abu Zar-a' ( mother-in-law), in what manner can I praise her? Her huge utensils were always full. Her house was very spacious (She was very rich, and according to the habit of women, was not a miser. By the vastness of the house it is meant that many visitors were entertained). The son of Abu Zar-a', in what manner can I praise him? He was also a light upon light. He was so thin and skinny, the sleeping part of his body (ribs etc. was thin like a branch, or a sword. A side of a lamb was enough to fill his stomach. (i.e. There was no great formalities for a brave one to sleep like a soldier he slept a little in a small place. In the same manner he ate simple food, but befitting a warrior. Two or three pieces of meat was his food). The daughter of Abu Zar-a', how can she be praised? She obeys her mother and father. She is fat and healthy, and a jealousy for the second wife (The second wife feels jealous on her excellence. Among the 'Arabs it is desirable that a man be thin and tall, and a woman fat a healthy). And how can I praise the slave girl of Abu Zar-a'? She never gossiped about our house affairs to anyone. She did not even use foodstuffs without permission. She did not let the house become dirty and untidy, but kept it clean. (The days passed wonderfully). One morning whilst the utensils of milk were being churned Abu Zara went out of the house. He found a woman, with two cheetah like children playing with pomegranates. (The similarity of cheetah is with playing, and the pomegranates are either in reality pomegranates which the children were spinning and playing with, or breasts of the women are intended here). He loved her so much, that he divorced me, a married her. (I was divorced because as a second wife, she would become heartsore, and by divorcing me the new wife would have greater regard for him). In one narration it is mentioned that he married her. He then divorced me. Subsequently I married another chief and noble man, who was a prince and soldier. He showered on me many gifts. And from each type of animal i.e. camel, cow, goat, etc. etc., he presented me a pair and said to me, 'Eat as much as you want yourself, send to your parents as much as you wish'. The fact is this, if I add up all his good qualities etc. then too he will not excel the little thing that abu Zar-a' bestowed upon me". Sayyiditina 'Aayeshah Radiyallahu 'Anha says: "After Sayyidina Rasulullah Sallallahu 'Alayhi Wasallain completed this story, he said to me. 'I am also to you as Abu Zar-a, had been to Umm Zar-a'

এ হাদীস থেকে বুঝা যায়- এশার পর প্রয়োজনীয় জাগতিক কথা বিশ্বাসগত সমস্যা মুক্ত গল্প ও কিচ্ছা কাহিনী বলা জায়েয। এটা পরিবারের সাথে সদ্ভাবে জীবন-যাপনের অংশ।

হাদীসের শিক্ষা

এ হাদীস থেকে অনেক শিক্ষা লাভ হয়।

১. স্ত্রী-পরিবারের সাথে সদ্ভাবে জীবন-যাপন করা।
২. আয়েশা (রাঃ) এর বিশেষ ফযীলত ও মর্যাদা স্পষ্ট হয়ে উঠে।
৩. রাতে এশার পর প্রয়োজনীয় আলোচনা করা ও পরিবারের মনোরঞ্জনের উদ্দেশ্যে ত্রুটিমুক্ত গল্প করা বৈধ।
৪. অতীত জাতীসমূহের ত্রুটিমুক্ত কিচ্ছাকাহিনী বর্ণনা করা জায়েয।
৫. কোন অনির্দিষ্ট ব্যক্তি; শ্রোতা যাকে চিনে না, তার দোষ বলা গীবতের অন্তর্ভুক্ত নয়।