২৫৩২

পরিচ্ছেদঃ জান্নাতের স্তরের বিবরণ।

২৫৩২. কুতায়বা ও আহমদ ইবন আবদা-যাববী (রহঃ) ...... মুআয ইবন জাবাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রমযানের সিয়াম পালন করেছে, সালাত (নামায) আদায় করেছে, বায়তুল্লাহর হজ্জ আদায় করেছে, আতা (রহঃ) বলেন, মুআয (রাঃ) যাকাতের কথাও উল্লেখ করেছিলেন কি না জানি না। সে ব্যক্তি আল্লাহর পথে হিজরত করুক বা যেখানে জন্মগ্রহণ করেছে সেই মাটিতেই বসা থাকুক আল্লাহর উপর হক হল তাকে মাফ করে দেওয়া। মুয়ায (রাঃ) বললেনঃ লোকদের কি এ কথার খবর দিব না?

রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ লোকদেরকে আমল করতে দাও। কেননা, জান্নাতে একশ’টি স্তর রয়েছে। প্রতি দুই স্তরের মধ্যে আসমান ও যমীনের দূরত্বের মত দূরত্ব বিদ্যমান। জান্নাতুল ফিরদাওস হল সর্বোচ্চ এবং সর্বোত্তম জান্নাত। এর উপর হল রাহমানুর রাহীমের আরশ। সেখান থেকেই জান্নাতের নহরগুলো প্রবাহিত হচ্ছে। সূতরাং তোমরা যখন আল্লাহর কাছে সওয়াল করবে তখন তাঁর কাছে জান্নাতুল ফিরদাওসের প্রার্থনা জানাবে। সহীহ, সহিহাহ ৯২১, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৫৩০ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এ হাদীসটি হিশাম ইবন সা’দ-যায়দ ইবন আসলাম-আতা ইবন ইয়াসার-মুআয ইবন জাবাল (রাঃ) সূত্রে এরূপই বর্ণিত হয়েছে। হাম্মাম-যায়দ ইবন আসলাম-আতা ইবন ইয়াসার-উবাদা ইবন সামিত (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত রিওয়ায়াতটির তুলনায় আমার মতে এ হাদীসটি অধিক সহীহ। আতা (রহঃ) মুআয রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর সাক্ষাৎ পাননি। মুআয বহু আগেই উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু এর খিলাফত আমলে ইনতিকাল করেন।

بَابُ مَا جَاءَ فِي صِفَةِ دَرَجَاتِ الجَنَّةِ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، وَأَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ الضَّبِّيُّ الْبَصْرِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ مَنْ صَامَ رَمَضَانَ وَصَلَّى الصَّلَوَاتِ وَحَجَّ الْبَيْتَ لاَ أَدْرِي أَذَكَرَ الزَّكَاةَ أَمْ لاَ إِلاَّ كَانَ حَقًّا عَلَى اللَّهِ أَنْ يَغْفِرَ لَهُ إِنْ هَاجَرَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَوْ مَكَثَ بِأَرْضِهِ الَّتِي وُلِدَ بِهَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ مُعَاذٌ أَلاَ أُخْبِرُ بِهَذَا النَّاسَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ ذَرِ النَّاسَ يَعْمَلُونَ فَإِنَّ فِي الْجَنَّةِ مِائَةَ دَرَجَةٍ مَا بَيْنَ كُلِّ دَرَجَتَيْنِ كَمَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالأَرْضِ وَالْفِرْدَوْسُ أَعْلَى الْجَنَّةِ وَأَوْسَطُهَا وَفَوْقَ ذَلِكَ عَرْشُ الرَّحْمَنِ وَمِنْهَا تُفَجَّرُ أَنْهَارُ الْجَنَّةِ فَإِذَا سَأَلْتُمُ اللَّهَ فَسَلُوهُ الْفِرْدَوْسَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَكَذَا رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ هِشَامِ بْنِ سَعْدٍ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ وَهَذَا عِنْدِي أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ هَمَّامٍ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ ‏.‏ وَعَطَاءٌ لَمْ يُدْرِكْ مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ وَمُعَاذٌ قَدِيمُ الْمَوْتِ مَاتَ فِي خِلاَفَةِ عُمَرَ ‏.‏


Mu'adh bin Jabal narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "Whoever fasts Ramadan, performs the Salat, performs Hajj to the House" - I do not know whether he mentioned Zakat or not - "except that it is binding on Allah that He forgive him, whether he emigrated in the cause of Allah, or remained in his land in which he was born." Mu'adh said: "Should I not inform the people of this?" The Messenger of Allah (ﷺ) said, "Leave the people to do deeds, for verily in Paradise there are a hundred levels, what is between every two levels is like what is between the heavens and the earth. Al-Firdaus is the highest of Paradise and its most expansive, and above that is the Throne of Ar-Rahman (the Most Merciful), and from it the rivers of Paradise are made to flow forth. So when you ask Allah, ask Him for Al-Firdaus."