লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৪০. চিতা বাঘের চামড়া সম্পর্কে।
৪০৮৫. আমর ইবন উছমান (রহঃ) .... খালিদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা মিকদাম ইবন সা’দী কারাব (রাঃ), আমর ইবন আসওয়াদ ও কিনসিরীন বংশোদ্ভুত আসাদ গোত্রের জনৈক ব্যক্তি একত্রে মুআবিয়া ইবন আবূ সুফিয়ান (রাঃ) এর নিকট যান। তখন মুআবিয়া (রাঃ) মিকদাম (রাঃ) কে বলেনঃ তুমি কি জান, হাসান ইবন আলী (রাঃ) ইনতিকাল করেছেন? তখন মিকদাম (রাঃ) ’’ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলায়হি রাজিউন’’ পড়েন। তখন জনৈক ব্যক্তি তাঁকে জিজ্ঞাসা করেঃ আপনি কি এটা মসীবত মনে করেন? তিনি বলেনঃ আমি কেন একে মসীবত মনে করবো না? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে (হাসান) কোলে নিয়ে বলতেনঃ হাসান আমার এবং হুসায়ন আলীর। তখন আসাদ গোত্রের লোকটি বলেঃ তিনি তো এক টুকরা অগ্নি-স্ফুলিংগ স্বরূপ ছিলেন, যাকে আল্লাহ নিবিয়ে দিয়েছেন।
এরপর মিকদাম (রাঃ) বলেনঃ আজ আমি আপনাকে নারায ও অসন্তুষ্ট না করে ছাড়বো না। পরে তিনি বলেন, হে মুআবিয়া! যদি আমি সত্য বলি, তবে আপনি আমাকে মিথ্যাবাদী বলবেন। তখন মুআবিয়া (রাঃ) বলেন, আমি এরূপই করবো।
মিকদাম (রাঃ) বলেনঃ আমি আপনাকে আল্লাহর নামের শপথ দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি, আপনি কি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সোনার জিনিস ব্যবহারে নিষেধ করতে শুনেছেন? তিনি বলেনঃ হ্যাঁ। এরপর তিনি বলেনঃ আমি আপনাকে আল্লাহর নামের শপথ দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি, আপনি কি জানেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রেশমী-বস্ত্র ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন? তিনি বলেনঃ হ্যাঁ। তারপর তিনি বলেনঃ আমি আপনাকে আল্লাহর নামের শপথ দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি, আপনি কি জানেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হিংস্র জন্তুর চামড়া পরিধান করতে এবং তার উপর বসতে নিষেধ করেছেন? তিনি বলেনঃ হ্যাঁ।
তখন মিকদাম (রাঃ) বলেনঃ হে মুআবিয়া! এ সবই তো আমি আপনার ঘরে দেখতে পাচ্ছি! মুআবিয়া (রাঃ) বলেনঃ আমি জানি, আমি তোমার হাত থেকে রেহাই পাব না।
রাবী খালিদ (রহঃ) বলেনঃ এরপর মুআবিয়া (রাঃ) মিকদাম (রাঃ)-কে এত পরিমাণ ধন-সম্পদ প্রদানের নির্দেশ দেন, যা তাঁর অন্য সংগীদ্বয়ের জন্য দেননি এবং তাঁর পুত্রের জন্যও দুইশত দীনার প্রদান করেন। তখন মিকদাম (রাঃ) তাঁর সাথীদের মাঝে সব সম্পদ বন্টন করে দেন এবং আসাদ গোত্রের লোকটি কাউকে কিছু দেয়নি। এ খরব মুআবিয়া (রাঃ) এর কাছে পৌছলে, তিনি বলেনঃ মিকদাম (রাঃ), সে তো তার সম্পদকে উত্তমরূপে আগলে রাখে।
باب فِي جُلُودِ النُّمُورِ
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ بْنِ سَعِيدٍ الْحِمْصِيُّ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، عَنْ بَحِيرٍ، عَنْ خَالِدٍ، قَالَ وَفَدَ الْمِقْدَامُ بْنُ مَعْدِيكَرِبَ وَعَمْرُو بْنُ الأَسْوَدِ وَرَجُلٌ مِنْ بَنِي أَسَدٍ مِنْ أَهْلِ قِنَّسْرِينَ إِلَى مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ فَقَالَ مُعَاوِيَةُ لِلْمِقْدَامِ أَعَلِمْتَ أَنَّ الْحَسَنَ بْنَ عَلِيٍّ تُوُفِّيَ فَرَجَّعَ الْمِقْدَامُ فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ أَتَرَاهَا مُصِيبَةً قَالَ لَهُ وَلِمَ لاَ أَرَاهَا مُصِيبَةً وَقَدْ وَضَعَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي حِجْرِهِ فَقَالَ " هَذَا مِنِّي وَحُسَيْنٌ مِنْ عَلِيٍّ " . فَقَالَ الأَسَدِيُّ جَمْرَةٌ أَطْفَأَهَا اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ . قَالَ فَقَالَ الْمِقْدَامُ أَمَّا أَنَا فَلاَ أَبْرَحُ الْيَوْمَ حَتَّى أُغِيظَكَ وَأُسْمِعَكَ مَا تَكْرَهُ . ثُمَّ قَالَ يَا مُعَاوِيَةُ إِنْ أَنَا صَدَقْتُ فَصَدِّقْنِي وَإِنْ أَنَا كَذَبْتُ فَكَذِّبْنِي قَالَ أَفْعَلُ . قَالَ فَأَنْشُدُكَ بِاللَّهِ هَلْ تَعْلَمُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ لُبْسِ الذَّهَبِ قَالَ نَعَمْ . قَالَ فَأَنْشُدُكَ بِاللَّهِ هَلْ سَمِعْتَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَنْهَى عَنْ لُبْسِ الْحَرِيرِ قَالَ نَعَمْ . قَالَ فَأَنْشُدُكَ بِاللَّهِ هَلْ تَعْلَمُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ لُبْسِ جُلُودِ السِّبَاعِ وَالرُّكُوبِ عَلَيْهَا قَالَ نَعَمْ . قَالَ فَوَاللَّهِ لَقَدْ رَأَيْتُ هَذَا كُلَّهُ فِي بَيْتِكَ يَا مُعَاوِيَةُ . فَقَالَ مُعَاوِيَةُ قَدْ عَلِمْتُ أَنِّي لَنْ أَنْجُوَ مِنْكَ يَا مِقْدَامُ قَالَ خَالِدٌ فَأَمَرَ لَهُ مُعَاوِيَةُ بِمَا لَمْ يَأْمُرْ لِصَاحِبَيْهِ وَفَرَضَ لاِبْنِهِ فِي الْمِائَتَيْنِ فَفَرَّقَهَا الْمِقْدَامُ فِي أَصْحَابِهِ قَالَ وَلَمْ يُعْطِ الأَسَدِيُّ أَحَدًا شَيْئًا مِمَّا أَخَذَ فَبَلَغَ ذَلِكَ مُعَاوِيَةَ فَقَالَ أَمَّا الْمِقْدَامُ فَرَجُلٌ كَرِيمٌ بَسَطَ يَدَهُ وَأَمَّا الأَسَدِيُّ فَرَجُلٌ حَسَنُ الإِمْسَاكِ لِشَيْئِهِ .
Khalid said:
Al-Miqdam ibn Ma'dikarib and a man of Banu Asad from the people of Qinnisrin went to Mu'awiyah ibn AbuSufyan.
Mu'awiyah said to al-Miqdam: Do you know that al-Hasan ibn Ali has died? Al-Miqdam recited the Qur'anic verse "We belong to Allah and to Him we shall return."
A man asked him: Do you think it a calamity? He replied: Why should I not consider it a calamity when it is a fact that the Messenger of Allah (ﷺ) used to take him on his lap, saying: This belongs to me and Husayn belongs to Ali?
The man of Banu Asad said: (He was) a live coal which Allah has extinguished. Al-Miqdam said: Today I shall continue to make you angry and make you hear what you dislike. He then said: Mu'awiyah, if I speak the truth, declare me true, and if I tell a lie, declare me false.
He said: Do so. He said: I adjure you by Allah, did you hear the Messenger of Allah (ﷺ) forbidding use to wear gold?
He replied: Yes. He said: I adjure you by Allah, do you know that the Messenger of Allah (ﷺ) prohibited the wearing of silk?
He replied: Yes. He said: I adjure you by Allah, do you know that the Messenger of Allah (ﷺ) prohibited the wearing of the skins of beasts of prey and riding on them?
He said: Yes. He said: I swear by Allah, I saw all this in your house, O Mu'awiyah.
Mu'awiyah said: I know that I cannot be saved from you, O Miqdam.
Khalid said: Mu'awiyah then ordered to give him what he did not order to give to his two companions, and gave a stipend of two hundred (dirhams) to his son. Al-Miqdam then divided it among his companions, and the man of Banu Asad did not give anything to anyone from the property he received. When Mu'awiyah was informed about it, he said: Al-Miqdam is a generous man; he has an open hand (for generosity). The man of Banu Asad withholds his things in a good manner.