লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ২৬৭. (কুসুফের নামাযের) দুই রাকাতে চারটি রুকু সম্পর্কে।
১১৮৪. আহমাদ ইবন ইউনুস (রহঃ) ..... বসরার অধিবাসী সালাবা ইবন আব্বাদ আল-আবদি (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি একদিন সামুরা ইবন জুন্দুব (রাঃ) এর ভাষণ শুনেছিলেন। তিনি বলেন, সামুরা ইবন জুন্দুব (রাঃ) বলেন, আমি এবং একজন আনসার যুবক নির্ধারিত স্থানে তীর চালনা করছিলাম। এসময় সূর্য যখন দুই তিন তীর পরিমান উপরে উঠেছিল, তখন তা দর্শকের চোখে তানুমা ঘাসের ন্যায় বিবর্ণ হয়ে যায়। তখন আমরা পরস্পরকে বলি, চল আমরা মসজিদে যাই। আল্লাহ্র শপথ! সূর্যের এই কাল হওয়াটা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উম্মতের উপর কোন বিপদ সংগঠিত হতে যাচ্ছে।
রাবী বলেন, আমরা সেখানে উপস্থিত হয়ে দেখতে পাই যে, তিনি বের হয়ে আসছেন। তিনি ইমামতির স্থানে দাঁড়িয়ে নামায শুরু করেন এবং আমরাও তাঁর সাথে শরীক হই। তিনি উক্ত নামাযে এত দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকেন যে, ইতিপূর্বে কোন নামাযে এত দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে থাকেন নি। আমরা তাঁর কিরাত পাঠের কোন শব্দ শুনি নাই। রাবী বলেন, অতঃপর তিনি রুকুতেও এত দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করেন যে ইতিপূর্বে কখনও এরুপ করেন নি। এসময়ও আমরা কোন শব্দ শুনি নাই। অতঃপর তিনি সিজদায় গিয়ে এত দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করেন যা ইতিপূর্বের কোন সিজদায় করেন নি এবং এসময়ও আমরা তাঁর কোন শব্দ শুনি নাই। অতঃপর তিনি নামাযের দ্বিতীয় রাকাতও অনুরূপ ভাবে আদায় করেন।
রাবী বলেন, তিনি দ্বিতীয় রাকাতের বৈঠকে থাকাকালীন সূর্য রাহুমক্ত হয়। অতঃপর তিনি সালাম ফিরিয়ে দণ্ডায়মান হয়ে আল্লাহ্র প্রশংসায় বলেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাহ্ ছাড়া আর কোন ইলাহ নাই এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমি তাঁর বান্দা ও রাসুল। অতঃপর আহমাদ ইবন ইউনুস (রহঃ) মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ভাষণের বর্ণনা দেন। (নাসাই, ইবন মাজা, তিরমিজি)।
باب مَنْ قَالَ أَرْبَعُ رَكَعَاتٍ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا الأَسْوَدُ بْنُ قَيْسٍ، حَدَّثَنِي ثَعْلَبَةُ بْنُ عِبَادٍ الْعَبْدِيُّ، مِنْ أَهْلِ الْبَصْرَةِ أَنَّهُ شَهِدَ خُطْبَةً يَوْمًا لِسَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ قَالَ قَالَ سَمُرَةُ بَيْنَمَا أَنَا وَغُلاَمٌ مِنَ الأَنْصَارِ نَرْمِي غَرَضَيْنِ لَنَا حَتَّى إِذَا كَانَتِ الشَّمْسُ قِيدَ رُمْحَيْنِ أَوْ ثَلاَثَةٍ فِي عَيْنِ النَّاظِرِ مِنَ الأُفُقِ اسْوَدَّتْ حَتَّى آضَتْ كَأَنَّهَا تَنُّومَةٌ فَقَالَ أَحَدُنَا لِصَاحِبِهِ انْطَلِقْ بِنَا إِلَى الْمَسْجِدِ فَوَاللَّهِ لَيُحْدِثَنَّ شَأْنُ هَذِهِ الشَّمْسِ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي أُمَّتِهِ حَدَثًا قَالَ فَدَفَعْنَا فَإِذَا هُوَ بَارِزٌ فَاسْتَقْدَمَ فَصَلَّى فَقَامَ بِنَا كَأَطْوَلِ مَا قَامَ بِنَا فِي صَلاَةٍ قَطُّ لاَ نَسْمَعُ لَهُ صَوْتًا قَالَ ثُمَّ رَكَعَ بِنَا كَأَطْوَلِ مَا رَكَعَ بِنَا فِي صَلاَةٍ قَطُّ لاَ نَسْمَعُ لَهُ صَوْتًا ثُمَّ سَجَدَ بِنَا كَأَطْوَلِ مَا سَجَدَ بِنَا فِي صَلاَةٍ قَطُّ لاَ نَسْمَعُ لَهُ صَوْتًا . ثُمَّ فَعَلَ فِي الرَّكْعَةِ الأُخْرَى مِثْلَ ذَلِكَ قَالَ فَوَافَقَ تَجَلِّي الشَّمْسِ جُلُوسَهُ فِي الرَّكْعَةِ الثَّانِيَةِ قَالَ ثُمَّ سَلَّمَ ثُمَّ قَامَ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ وَشَهِدَ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَشَهِدَ أَنَّهُ عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ ثُمَّ سَاقَ أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ خُطْبَةَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
Narrated Samurah ibn Jundub:
When, a boy from the Ansar and I were shooting (arrows) towards two of our targets, the sun was sighted by the people at the height of two or three lances above the horizon. It became black like the black herb called tannumah.
One of us said to his companion: Let us go to the mosque; by Allah, this incident of the sun will surely bring something new in the community of the Messenger of Allah (ﷺ).
As we reached it, we suddenly saw that he (the Prophet) had already come out (of his house). He stepped forward for a long time as much as he could do so in the prayer. But we did not hear his voice. He then performed a bowing and prolonged it as much as he could do in the prayer. But we did not hear his voice. He then prostrated himself with us and prolonged it which he never did in the prayer before. But we did not hear his voice. He then did similarly in the second rak'ah. The sun became bright when he sat after the second rak'ah. Then he uttered the salutation. He then stood up, praised Allah, and extolled Him, and testified that there was no god but Allah and testified that he was His servant and apostle. Ahmad ibn Yunus then narrated the address of the Prophet (ﷺ).