লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ২০৯। হায়য অবস্থায় কা’বার তাওয়াফ ছাড়া হজ্জের অন্যান্য কাজ করা যায়।
وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ لاَ بَأْسَ أَنْ تَقْرَأَ الآيَةَ. وَلَمْ يَرَ ابْنُ عَبَّاسٍ بِالْقِرَاءَةِ لِلْجُنُبِ بَأْسًا. وَكَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَذْكُرُ اللَّهَ عَلَى كُلِّ أَحْيَانِهِ. وَقَالَتْ أُمُّ عَطِيَّةَ كُنَّا نُؤْمَرُ أَنْ يَخْرُجَ الْحُيَّضُ، فَيُكَبِّرْنَ بِتَكْبِيرِهِمْ وَيَدْعُونَ. وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ أَخْبَرَنِي أَبُو سُفْيَانَ أَنَّ هِرَقْلَ دَعَا بِكِتَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَرَأَ فَإِذَا فِيهِ: «بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ وَ(يَا أَهْلَ الْكِتَابِ تَعَالَوْا إِلَى كَلِمَةٍ)». الآيَةَ. وَقَالَ عَطَاءٌ عَنْ جَابِرٍ حَاضَتْ عَائِشَةُ فَنَسَكَتِ الْمَنَاسِكَ غَيْرَ الطَّوَافِ بِالْبَيْتِ، وَلاَ تُصَلِّي. وَقَالَ الْحَكَمُ إِنِّي لأَذْبَحُ وَأَنَا جُنُبٌ. وَقَالَ اللَّهُ: (وَلاَ تَأْكُلُوا مِمَّا لَمْ يُذْكَرِ اسْمُ اللَّهِ عَلَيْهِ)
ইবরাহীম (রহঃ) বলেছেনঃ (হায়য অবস্থায়) আয়াত পাঠে কোন দোষ নেই। ইবন ’আব্বাস (রাঃ) জুনুবীর জন্য কুরআন পাঠে কোন দোষ মনে করতেন না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বাবস্থায় আল্লাহর যিকর করতেন। উম্মে আতিয়্যা (রাঃ) বলেনঃ (ঈদের দিন) হায়য অবস্থায় মহিলাদের বাইরে নিয়ে আসার জন্য বলা হতো, যাতে তারা পুরুষদের সাথে তাকবীর বলে ও দু’আ করে। ইবন ’আব্বাস (রাঃ) আবূ সুফিয়ান (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, হিরাকল (রোম সম্রাট) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পত্র চেয়ে নিলেন এবং তা পাঠ করলেন। তাতে লেখা ছিলঃ
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ وَ(يَا أَهْلَ الْكِتَابِ تَعَالَوْا إِلَى كَلِمَةٍ) الآيَةَ
“দয়াময় পরম দয়ালু আল্লাহর নামে। আপনি বলুন! হে কিতাবীগণ! এস সে কথায় যা আমাদের ও তোমাদের মধ্যে একই-যেন আমরা আল্লাহ্ ব্যতীত কারো ইবাদত না করি। কোন কিছুকেই তাঁর শরীক না করি এবং আমাদের কেউ কাকেও আল্লাহ্ ব্যতীত রবরূপে গ্রহণ না করি। যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে বলুন, তোমরা সাক্ষী থাক আমরা মুসলিম (৩ : ৬৪)।
’আতা (রহঃ) জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, ’আয়িশা (রাঃ) হায়য অবস্থায় কা’বা তাওয়াফ ছাড়া হজ্জের অন্যান্য আহকাম পালন করেছেন কিন্তু সালাত আদায় করেন নি। হাকাম (রহঃ) বলেছেনঃ আমি জুনুবী অবস্থায়ও যবেহ করে থাকি। অথচ আল্লাহর বাণী হলোঃ
وَلاَ تَأْكُلُوا مِمَّا لَمْ يُذْكَرِ اسْمُ اللَّهِ عَلَيْهِ
“তোমরা আহার করো না সে সব প্রাণী, যার ওপর আল্লাহর নাম নেওয়া হয়নি।” (৬ : ১২১)
২৯৯। আবূ নু’আয়ম (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে হজ্জের উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলাম। আমরা সারিফ নামক স্থানে পৌঁছলে আমি ঋতুবতী হই। এ সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এসে আমাকে কাঁদতে দেখলেন এবং জিজ্ঞাসা করলেনঃ তুমি কাঁদছ কেন? আমি বললামঃ আল্লাহর শপথ! এ বছর হাজ্জ (হজ্জ) না করাই আমার জন্য পছন্দনীয়। তিনি বললেনঃ সম্ভবত তুমি ঋতুবতী হয়েছ। আমি বললাম, ’হ্যাঁ’। তিনি বললেনঃ এ তো আদম কন্যাদের জন্য আল্লাহ্ নির্ধারিত করেছেন। তুমি পাক হওয়া পর্যন্ত অন্যান্য হাজীদের মত সমস্ত কাজ করে যাও, কেবল কাবার তাওয়াফ করবে না।
باب تَقْضِي الْحَائِضُ الْمَنَاسِكَ كُلَّهَا إِلاَّ الطَّوَافَ بِالْبَيْتِ
حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ خَرَجْنَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم لاَ نَذْكُرُ إِلاَّ الْحَجَّ، فَلَمَّا جِئْنَا سَرِفَ طَمِثْتُ، فَدَخَلَ عَلَىَّ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا أَبْكِي فَقَالَ (مَا يُبْكِيكِ). قُلْتُ لَوَدِدْتُ وَاللَّهِ أَنِّي لَمْ أَحُجَّ الْعَامَ. قَالَ (لَعَلَّكِ نُفِسْتِ). قُلْتُ نَعَمْ. قَالَ " فَإِنَّ ذَلِكَ شَىْءٌ كَتَبَهُ اللَّهُ عَلَى بَنَاتِ آدَمَ، فَافْعَلِي مَا يَفْعَلُ الْحَاجُّ، غَيْرَ أَنْ لاَ تَطُوفِي بِالْبَيْتِ حَتَّى تَطْهُرِي ".
Narrated 'Aisha: We set out with the Prophet for Hajj and when we reached Sarif I got my menses. When the Prophet came to me, I was weeping. He asked, "Why are you weeping?" I said, "I wish if I had not performed Hajj this year." He asked, "May be that you got your menses?" I replied, "Yes." He then said, "This is the thing which Allah has ordained for all the daughters of Adam. So do what all the pilgrims do except that you do not perform the Tawaf round the Ka'ba till you are clean."