৫২৬৪

পরিচ্ছেদঃ ৬৮/৭. যে ব্যক্তি তার স্ত্রীকে বলল- ‘‘তুমি আমার জন্য হারাম।’’

68/6. بَاب إِذَا قَالَ فَارَقْتُكِ أَوْ سَرَّحْتُكِ أَوِ الْخَلِيَّةُ أَوِ الْبَرِيَّةُ أَوْ مَا عُنِيَ بِهِ الطَّلاَقُ فَهُوَ عَلٰى نِيَّتِهِ.

৬৮/৬. অধ্যায়ঃ যে তার স্ত্রীকে) বলল- ’আমি তোমাকে পৃথক করলাম’, বা ’আমি তোমাকে বিদায় দিলাম’, বা ’তুমি মুক্ত বা বন্ধনহীন’ অথবা এমন কোন বাক্য উচ্চারণ করল যা দ্বারা তালাক উদ্দেশ্য হয়। তবে তা তার নিয়্যাতের উপর নির্ভর করবে।

وَقَوْلُ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ: (وَسَرِّحُوهُنَّ سَرَاحًا جَمِيلاً) وَقَالَ: (وَأُسَرِّحْكُنَّ سَرَاحًا جَمِيلاً) وَقَالَ: (فَإِمْسَاكٌ بِمَعْرُوفٍ أَوْ تَسْرِيحٌ بِإِحْسَانٍ) وَقَالَ: (أَوْ فَارِقُوهُنَّ بِمَعْرُوفٍ)
وَقَالَتْ عَائِشَةُ قَدْ عَلِمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ أَبَوَيَّ لَمْ يَكُونَا يَأْمُرَانِي بِفِرَاقِهِ.

মহান আল্লাহর বাণীঃ ’’তাদেরকে সৌজন্যের সঙ্গে বিদায় দাও’’- সূরাহ আহযাব ৩৩/৪৯)।

তিনি আরও বলেন- ’’আমি তোমাদেরকে সৌজন্যের সঙ্গে বিদায় দিচ্ছি’’- সূরাহ আহযাব ৩৩/২৮)। আরও বলেন- ’’হয়ত উত্তম পন্থায় রেখে দিবে নতুবা উত্তমরূপে ছেড়ে দিবে’’- সূরাহ আল-বাক্বারাহ ২/২২৯)।

আরও বলেন, ’’অথবা তাদেরকে সৌজন্যের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন করে দাও’’- সূরাহ আত্-তালাক ৬৫/২)।

আর ’আয়িশাহ (রাঃ) বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জানতেন আমার মা-বাপ আমাকে তাঁর সঙ্গে বিচ্ছেদের আদেশ দিবেন না।


وَقَالَ الْحَسَنُ نِيَّتُه“ وَقَالَ أَهْلُ الْعِلْمِ إِذَا طَلَّقَ ثَلاَثًا فَقَدْ حَرُمَتْ عَلَيْهِ فَسَمَّوْه“ حَرَامًا بِالطَّلاَقِ وَالْفِرَاقِ وَلَيْسَ هٰذَا كَالَّذِي يُحَرِّمُ الطَّعَامَ لِأَنَّه“ لاَ يُقَالُ لِطَعَامِ الْحِلِّ حَرَامٌ وَيُقَالُ لِلْمُطَلَّقَةِ حَرَامٌ وَقَالَ فِي الطَّلاَقِ ثَلاَثًا لاَ تَحِلُّ لَه“ حَتّٰى تَنْكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ.

হাসান (রহ.) বলেন, তবে তা তার নিয়্যাত অনুযায়ী হবে। ’আলিমগণ বলেন, যদি কেউ তার স্ত্রীকে তিন তালাক দেয়, তবে সে স্ত্রী তার জন্য হারাম হয়ে যাবে। তাঁরা এটাকে হারাম নামে আখ্যায়িত করেছেন, যা তালাক বা বিচ্ছেদ দ্বারা সম্পন্ন হয়। তবে এ হারাম করাটা তেমন নয়, যেমন কেউ খাদ্যকে হারাম ঘোষণা করল; কেননা হালাল খাদ্যকে হারাম বলা যায় না। কিন্তু তালাকপ্রাপ্তাকে হারাম বলা যায়। আবার তিন তালাকপ্রাপ্তা সম্বন্ধে বলেছেন, সে স্ত্রী অন্যস্বামীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া ব্যতীত প্রথম স্বামীর জন্য বৈধ হবে না।


৫২৬৪. লায়স (রহ.) নাফি’ থেকে বর্ণনা করেছেন যে, ইবনু ’উমার (রাঃ)-কে তিন তালাক প্রদানকারী সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলতেনঃ যদি তুমি একবার বা দু’বার দিতে! কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে এরূপ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই স্ত্রীকে তিন তালাক দিলে সে হারাম হয়ে যাবে, যতক্ষণ না সে স্ত্রী তোমাকে ছাড়া অন্য স্বামীকে বিয়ে করে। [৪৯০৮] আধুনিক প্রকাশনী- অনুচ্ছেদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- অনুচ্ছেদ)

بَاب مَنْ قَالَ لامْرَأَتِه„ أَنْتِ عَلَيَّ حَرَامٌ

وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِي نَافِعٌ قَالَ كَانَ ابْنُ عُمَرَ إِذَا سُئِلَ عَمَّنْ طَلَّقَ ثَلاَثًا قَالَ لَوْ طَلَّقْتَ مَرَّةً أَوْ مَرَّتَيْنِ فَإِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَمَرَنِي بِهٰذَا فَإِنْ طَلَّقْتَهَا ثَلاَثًا حَرُمَتْ حَتّٰى تَنْكِحَ زَوْجًا غَيْرَكَ.


Nafi' said: When Ibn 'Umar was asked about person who had given three divorces, he said, "Would that you gave one or two divorces, for the Prophet (ﷺ) ordered me to do so. If you give three divorces then she cannot be lawful for you until she has married another husband (and is divorced by him)."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ লায়স (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ