৪৯৪২

পরিচ্ছেদঃ ৬৫/৯১/১. পরিচ্ছেদ নাই।

(88) سُوْرَةُ هَلْ أَتَاكَ حَدِيْثُ الْغَاشِيَةِ

সূরাহ (৮৮) : হাল ’আত্বা-কা হাদীসুল গাশিয়াহ (আল-গাশিয়াহ)

وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ (عَامِلَةٌ نَّاصِبَةٌ) النَّصَارَى وَقَالَ مُجَاهِدٌ (عَيْنٍ اٰنِيَةٍ)بَلَغَ إِنَاهَا وَحَانَ شُرْبُهَا (حَمِيْمٍ اٰنٍ) بَلَغَ إِنَاهُ (لَا تَسْمَعُ فِيْهَا لَاغِيَةً) شَتْمًا وَيُقَالُ (الضَّرِيْعُ) نَبْتٌ يُقَالُ لَهُ الشِّبْرِقُ يُسَمِّيْهِ أَهْلُ الْحِجَازِ الضَّرِيْعَ إِذَا يَبِسَ وَهُوَ سُمٌّ (بِمُسَيْطِرٍ) بِمُسَلَّطٍ وَيُقْرَأُ بِالصَّادِ وَالسِّيْنِ وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ (إِيَابَهُمْ) مَرْجِعَهُمْ.

ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বলেন, عَامِلَةٌ نَّاصِبَةٌ (ক্লিষ্ট-ক্লান্ত) বলে খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে বোঝানো হয়েছে। মুজাহিদ (রহ.) বলেন, عَيْنٍاٰنِيَةٍ টগবগে গরম পানিতে কানায় কানায় ভর্তি ঝরণাধারা। حَمِيْمٍاٰنٍ চরম ফুটন্ত পানি। لَا تَسْمَعُ فِيْهَا لَاغِيَةً সেখানে তারা গালি-গালাজ শুনবে না। الشِّبْرِقُএক প্রকার কাঁটাওয়ালা গুল্ম। (তা যখন সবুজ থাকে তখন) তাকে الضَّرِيْعَবলা হয়, আর যখন শুকিয়ে যায়, তখন হিজাযবাসীরা একেই الضَّرِيْعُ বলে। এ এক প্রকার বিষাক্ত আগাছা। بِمُسَيْطِرٍ কর্মবিধায়ক। শব্দটি س ও ص উভয় বর্ণ দিয়েই পড়া হয়। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বলেন, إِيَابَهُمْ তাদের ফিরে আসার জায়গা।

(89) سُوْرَةُ وَالْفَجْرِ

সূরাহ (৮৯) আল-ফাজর

وَقَالَ مُجَاهِدٌ (الْوَتْرُ) اللهُ (إِرَمَ ذَاتِ الْعِمَادِ) يَعْنِي الْقَدِيْمَةَ وَالْعِمَادُ أَهْلُ عَمُوْدٍ لَا يُقِيْمُوْنَ (سَوْطَعَذَابٍ) الَّذِيْ عُذِّبُوْا بِهِ (أَكْلًا لَّمًّا) السَّفُّ وَ(جَمًّا) الْكَثِيْرُ وَقَالَ مُجَاهِدٌ كُلُّ شَيْءٍ خَلَقَهُ فَهُوَ شَفْعٌ السَّمَاءُ شَفْعٌ (وَالْوَتْرُ) اللهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى وَقَالَ غَيْرُهُ (سَوْطَ عَذَابٍ) كَلِمَةٌ تَقُوْلُهَا الْعَرَبُ لِكُلِّ نَوْعٍ مِنَ الْعَذَابِ يَدْخُلُ فِيْهِ السَّوْطُ (لَبِالْمِرْصَادِ) إِلَيْهِ الْمَصِيْرُ (تَحَآضُّوْنَ) تُحَافِظُوْنَ وَتَحُضُّوْنَ تَأْمُرُوْنَ بِإِطْعَامِهِ (الْمُطْمَئِنَّةُ) الْمُصَدِّقَةُ بِالثَّوَابِ وَقَالَ الْحَسَنُ (يٰٓأَيَّتُهَا النَّفْسُ الْمُطْمَئِنَّةُ) إِذَا أَرَادَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ قَبْضَهَا اطْمَأَنَّتْ إِلَى اللهِ وَاطْمَأَنَّ اللهُ إِلَيْهَا وَرَضِيَتْ عَنْ اللهِ وَرَضِيَ اللهُ عَنْهَا فَأَمَرَ بِقَبْضِ رُوْحِهَا وَأَدْخَلَهَا اللهُ الْجَنَّةَ وَجَعَلَهُ مِنْ عِبَادِهِ الصَّالِحِيْنَ وَقَالَ غَيْرُهُ (جَابُوْا) نَقَبُوْا مِنْ جِيْبَ الْقَمِيْصُ قُطِعَ لَهُ جَيْبٌ يَجُوْبُ الْفَلَاةَ يَقْطَعُهَا (لَمًّا) لَمَمْتُهُ أَجْمَعَ أَتَيْتُ عَلَى آخِرِهِ.

মুজাহিদ (রহ.) বলেন, الْوَتْرُ মানে বেজোড়। এর দ্বারা আল্লাহ্ তা’আলাকে বোঝানো হয়েছে। إِرَمَذَاتِ الْعِمَادِ দ্বারা প্রাচীন এক জাতিকে বোঝানো হয়েছে। وَالْعِمَادُ খুঁটি ও স্তম্ভের মালিক, যারা স্থায়ীভাবে কোথাও বসবাস করে না; তারা তাঁবু পেতে জীবন যাপন করে (যাযাবর)। سَوْطَ عَذَابٍ যাদেরকে তা দিয়ে শাস্তি প্রদান করা হবে। أَكْلًا لَّمًّا সম্পূর্ণরূপে ভক্ষণ করা। جَمًّا অতিশয়। মুহাজিদ (রহ.) বলেন, আল্লাহর সকল সৃষ্টিই হল জোড়ায় জোড়ায়। সুতরাং আসমানও জোড়া বাঁধা; وَالْوَتْرُ তবে একমাত্র আল্লাহ্ তা’আলাই হলেন বেজোড়। মুজাহিদ (রহ.) ব্যতীত অন্য সকলেই বলেছেন, আরবরা যাবতীয় শাস্তির ব্যাপারে سَوْطَعَذَابٍ শব্দটি ব্যবাহর করে থাকে। যে কোন শাস্তি سَوْطَ عَذَابٍ এর অন্তর্ভুক্ত। لَبِالْمِرْصَادِ তাঁর কাছেই ফিরে যেতে হবে। تَحَاضُّوْنَ তোমরা হেফাজত করে থাক। تَحَآضُّوْنَ তোমরা খাদ্য দান করতে আদেশ করে থাক। الْمُطْمَئِنَّةُ সওয়াবকে সত্য বলে বিশ্বাসকারী। হাসান (রাঃ) বলেন, يٓٓأَيَّتُهَا النَّفْسُ الْمُطْمَئِنَّةُ দ্বারা এমন আত্মাকে বোঝানো হয়েছে, যে আত্মাকে আল্লাহ্ মৃত্যুদানের ইচ্ছে করলে সে আল্লাহর প্রতি এবং আল্লাহ্ও তার প্রতি পুরোপুরি প্রশান্ত থাকেন। এরপর আল্লাহ্ তার রূহ কবয করার নির্দেশ দেন এবং জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে তাকে তাঁর সৎকর্মশীল বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত করেন। হাসান (রহ.) ব্যতীত অন্যরা বলেছেন جَابُوْا তারা ছিদ্র করেছে; যে শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে جِيْبَ الْقَمِيْص থেকে। যার অর্থ হচ্ছে, জামার পকেট কাটা হয়েছে। উদাহরণ স্বরূপ বলা হয়ে থাকে يَجُوْبُ الْفَلَاةَ সে মাঠ অতিক্রম করছে। لَمَّا لَمَمْتُهُ أَجْمَعَ বলা হলে এর অর্থ হবে- আমি এর শেষ প্রান্তে চলে এসেছি।

(90) سُوْرَةُ لَا أُقْسِمُ

সূরাহ (৯০) : লা- উক্বসিমু (আল-বালাদ)

وَقَالَ مُجَاهِدٌ وَأَنْتَ حِلٌّ (بِهٰذَا الْبَلَدِ) بِمَكَّةَ لَيْسَ عَلَيْكَ مَا عَلَى النَّاسِ فِيْهِ مِنْ الإِثْمِ (وَوَالِدٍ) آدَمَ (وَمَا وَلَدَ)(لِبَدًا) كَثِيْرًا (وَالنَّجْدَيْنِ) الْخَيْرُ وَالشَّرُّ (مَسْغَبَةٍ) مَجَاعَةٍ (مَتْرَبَةٍ) السَّاقِطُ فِي التُّرَابِ يُقَالُ (فَلَا اقْتَحَمَ الْعَقَبَةَ) فَلَمْ يَقْتَحِمْ الْعَقَبَةَ فِي الدُّنْيَا ثُمَّ فَسَّرَ الْعَقَبَةَ فَقَالَ (وَمَآ أَدْرَاكَ مَا الْعَقَبَةُ فَكُّ رَقَبَةٍ أَوْ إِطْعَامٌ فِيْ يَوْمٍ ذِيْ مَسْغَبَةٍ)(فيكَبَدٍ) شِدَّة.

মুজাহিদ (রহ.) বলেন, بِهٰذَا الْبَلَدِ দ্বারা মক্কা্কে বোঝানো হয়েছে। অর্থাৎ একানে যুদ্ধ কররে অন্য মানুষের উপর যে গুনাহ হবে, তোমার তা হবে না। وَوَالِدٍ আদম (আঃ)। وَمَا وَلَدَ যাসে জন্ম দেয়, لِبَدًا প্রচুর। وَ النَّجْدَيْنِ ভাল-মন্দ, কল্যাণ-অকল্যাণ। مَسْغَبَةٍ ক্ষুধা। مَتْرَبَةٍ ধূলি লুন্ঠিত। বলা হয় فَلَااقْتَحَمَ الْعَقَبَةَ সে দুনিয়ায় দুর্গম গিরিপথে চলাচল করেনি। এরপর আল্লাহর তা’আলা এর ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে ইরশাদ করেছেন, তুমি কি জান দুর্গম গিরিপথ কী? তা হচ্ছে দাস মুক্ত করা, অথবা দুর্ভিক্ষের দিনে আহার্য দান।

(91) سُوْرَةُ وَالشَّمْسِ وَضُحَاهَا

সূরাহ (৯১) : ওয়াশশামসি ওয়াযুহা-হা (আশ্-শাম্স)

وَقَالَ مُجَاهِدٌ : (ضُحَاهَا) ضَوْءَها (إذَاتَلَاهَا) تَبِعَها. وَ(طَحَاهَا) دَحَاها (دَسَّاهَا) أغْوَاها. (فَألْهَمَهَا) : عَرَّفَها الشقَّاءَ وَالسَّعادَةَ. وَقَالَ مُجَاهِدٌ : (بِطَغْوَاهَا)بِمعاصيها(وَلَايَخَافُعُقْبَاهَا) عُقْبَى أحَدٍ

মুহাজিদ (রহ.) বলেন, ضُحَاهَا তার (সূর্যের) রশ্নি। إذَا تَلاَهَا যখন (চন্দ্র) তার অনুসরণ করে। طَحَاهَا যিনি তাকে (যমীনকে) বিস্তৃত করেছেন। دَسَّاهَا যে তাকে (আত্মাকে) ভ্রষ্টতায় নিক্ষেপ করেছে। فَألْهَمَهَا অতঃপর তার (আত্মার) সৌভাগ্য ও দুর্ভাগ্যের পরিচয় দান করেছেন। بِطَغْوَاهَا অবাধ্যতা বা নাফরমানীর কারণে। وَلَايَخَافُعُقْبَاهَا কারো পরিণামের জন্য আল্লাহ্ আশংকা করেন না।

৪৯৪২. ’আবদুল্লাহ্ ইবনু যাম’আহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে খুতবাহ দিতে শুনেছেন, খুতবায় তিনি কওমে সামূদের প্রতি প্রেরিত উষ্ট্রী ও তার পা কাটার কথা উল্লেখ করলেন। তারপর রাসূল إِذْ انْبَعَثَ أَشْقَاهَا-এর ব্যাখ্যায় বললেন, ঐ উষ্ট্রীটিকে হত্যা করার জন্য এক হতভাগ্য শক্তিশালী ব্যক্তি তৎপর হয়ে উঠ যে সে সমাজের মধ্যে আবূ যাম’আর মত প্রভাবশালী ও অত্যন্ত শক্তিধর ছিল। এ খুতবায় তিনি মেয়েদের সম্পর্কে আলোচনা করেছিলেন। তিনি বলেছেন, তোমাদের মধ্যে এমন লোকও আছে যে তার স্ত্রককে ক্রীতদাসের মত মারপিট করে; কিন্তু ঐ দিনের শেষেই সে আবার তার সঙ্গে এক বিছানায় মিলিত হয়। তারপর তিনি বায়ু নিঃসরণের পর হাসি দেয়া সম্পর্কে বললেন, তোমাদের কেউ কেউ হাসে সে কাজটির জন্য যে কাজটি সে নিজেও করে। (অন্য সনদে) আবূ মু’আবীয়াহ (রহ.)....’আবদুল্লাহ্ ইবনু আবূ যাম’আ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যুবায়র ইবনু আওআমের চাচা আবূ যাম’আর মত। [৩৩৭৭; মুসলিম ৫১/১৩, হাঃ ২৮৫৫, আহমাদ ১৬২২২] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৫৭৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪৫৭৮)

باب

مُوْسَى بْنُ إِسْمَاعِيْلَ حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ حَدَّثَنَا هِشَامٌ عَنْ أَبِيْهِ أَنَّهُ أَخْبَرَهُ عَبْدُ اللهِ بْنُ زَمْعَةَ أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَخْطُبُ وَذَكَرَ النَّاقَةَ وَالَّذِيْ عَقَرَ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم(إِذْمانْبَعَثَ أَشْقَاهَا) انْبَعَثَ لَهَا رَجُلٌ عَزِيْزٌ عَارِمٌ مَنِيْعٌ فِيْ رَهْطِهِ مِثْلُ أَبِيْ زَمْعَةَ وَذَكَرَ النِّسَاءَ فَقَالَ يَعْمِدُ أَحَدُكُمْ فَيَجْلِدُ امْرَأَتَهُ جَلْدَ الْعَبْدِ فَلَعَلَّهُ يُضَاجِعُهَا مِنْ آخِرِ يَوْمِهِ ثُمَّ وَعَظَهُمْ فِيْ ضَحِكِهِمْ مِنْ الضَّرْطَةِ وَقَالَ لِمَ يَضْحَكُ أَحَدُكُمْ مِمَّا يَفْعَلُ وَقَالَ أَبُوْ مُعَاوِيَةَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ زَمْعَةَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِثْلُ أَبِيْ زَمْعَةَ عَمِّ الزُّبَيْرِ بْنِ الْعَوَّامِ.


Narrated `Abdullah bin Zama: That he heard the Prophet (ﷺ) delivering a sermon, and he mentioned the shecamel and the one who hamstrung it. Allah's Messenger (ﷺ) recited:-- 'When, the most wicked man among them went forth (to hamstrung the she-camel).' (91.12.) Then he said, "A tough man whose equal was rare and who enjoyed the protection of his people, like Abi Zama went forth to (hamstrung) it." The Prophet (ﷺ) then mentioned about the women (in his sermon). "It is not wise for anyone of you to lash his wife like a slave, for he might sleep with her the same evening." Then he advised them not to laugh when somebody breaks wind and said, "Why should anybody laugh at what he himself does?"