লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৬৫/১৮/৪. আল্লাহ্ তা‘আলার বাণীঃ
جَاوَزَا قَالَ لِفَتَاهُ اٰتِنَا غَدَآءَنَا ز لَقَدْ لَقِيْنَا مِنْ سَفَرِنَا هٰذَا نَصَبًا - قَالَ أَرَأَيْتَ إِذْ أَوَيْنَآ إِلَى الصَّخْرَةِ فَإِنِّيْ نَسِيْتُ الْحُوْتَ) إِلَى قَوْلِهِ (عَجَبًا)
অতঃপর যখন তারা উভয়ে সে স্থানটি অতিক্রম করে সামনে গেলেন, তখন মূসা তার সঙ্গীকে বললেনঃ আমাদের নাশতা আন, এ সফরে আমরা অবশ্যই ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। সঙ্গী বললঃ আপনি কি লক্ষ্য করেছেন, আমরা যখন প্রস্তর খন্ডের কাছে বিশ্রাম নিচ্ছিলাম, তখন আমি মাছের কথা ভুলে গিয়েছিলাম। এ কথা আপনাকে বলতে আমাকে ভুলিয়ে দিয়েছে। আর মাছটি সাগরের মধ্যে আশ্চর্যজনকভাবে তার পথ ধরে চলে গেছে। (সূরাহ আল-কাহাফ ১৮/৬২-৬৩)
(صُنْعًا) عَمَلًا (حِوَلًا) تَحَوُّلًا (قَالَ ذٰلِكَ مَا كُنَّا نَبْغِ - فَارْتَدَّا عَلٰٓى اٰثَارِهِمَا قَصَصًا)(إِمْرًا)(وَنُكْرًا) دَاهِيَةً (يَنْقَضَّ) يَنْقَاضُ كَمَا تَنْقَاضُ السِّنُّ (لَتَخِذْتَ) وَاتَّخَذْتَ وَاحِدٌ (رُحْمًا) مِنْ الرُّحْمِ وَهِيَ أَشَدُّ مُبَالَغَةً مِنْ الرَّحْمَةِ وَنَظُنُّ أَنَّهُ مِنْ الرَّحِيْمِ وَتُدْعَى مَكَّةُ أُمَّ رُحْمٍ أَيْ الرَّحْمَةُ تَنْزِلُ بِهَا.
صُنْعًا কাজ حِوَلًا ঘুরে যাওয়া, পরিবর্তন হওয়া। قَالَ ذٰلِكَ مَا كُنَّا نَبْغِ ق صلـﮯ فَارْتَدَّا عَلٰٓى اٰثَارِهِمَا قَصَصًا মূসা (আঃ) বললেন- এ স্থানটিই তো আমরা খুঁজছিলাম। তারপর তারা উভয়ে নিজেদের পদচিহ্ন লক্ষ্য করে পেছনের দিকে ফিরে চললেন। (সূরাহ কাহাফ ১৮/৬৪)
إِمْرًا ও نُكْرًا উভয়ের একই অর্থ, অন্যায় কাজ يَنْقَضَّ শব্দের অর্থ-নিষ্পত্তি হবে। اتَّخَذْتَ-لَتَخِذْتَ উভয়ের একই অর্থ। رُحْمًا শব্দটি رَحَمِ থেকে গঠিত। অত্যধিক দয়া ও করুণা। কারও মতে, এটা رَحِيْمِ থেকে গঠিত। মক্কা্কে বলা হয় أُمَّرُحْمِ কারণ এখানে রহমত অবতীর্ণ হয়।
৪৭২৭. সা’ঈদ ইবনু যুবায়র (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইবু্নু ’আব্বাস (রাঃ)-কে বললাম, নওফূর বাক্কালীর ধারণা, বনী ইসরাঈলের মূসা আর খাযির (আঃ)-এর সাথী মূসা একই ব্যক্তি নয়। এ কথা শুনে ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বললেন, আল্লাহর শত্রু মিথ্যা বলেছে। উবাই ইবনু কা’ব রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে আমাকে হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, মূসা (আঃ) বনী ইসরাঈলের সামনে ভাষণ দিচ্ছিলেন। তখন তাঁকে জিজ্ঞেস করা হল, সবচেয়ে জ্ঞানী ব্যক্তি কে? তিনি বললেন, আমি। আল্লাহ্ তাঁর এ কথায় অসন্তুষ্ট হলেন। কেননা, তিনি এ কথাটি আল্লাহর দিকে সম্পর্কিত করেননি।
আল্লাহ্ তাঁর উপর ওয়াহী অবতীর্ণ করে বললেন, (হে মূসা!) দু’ সমুদ্রের সংযোগস্থলে আমার এক বান্দা আছে, সে তোমার চেয়ে বেশি জ্ঞানী। মূসা (আঃ) বললেন, হে রব! আমি তাঁর কাছে কীভাবে যেতে পারি? আল্লাহ্ বললেন, থলের মধ্যে একটি মাছ নিয়ে রওয়ানা হও। যেখানে মাছটি হারিয়ে যাবে, সেখানেই তার অনুসরণ করবে। মূসা (আঃ) রওয়ানা হলেন এবং তার সঙ্গে ছিল তাঁর খাদেম ইউশা ইবনু নূন। তারা মাছ সঙ্গে নিলেন। তারা চলতে চলতে সমুদ্রের পাড়ে একটি বিরাট শিলাখন্ডের কাছে পৌঁছে গেলেন। সেখানে তারা বিশ্রামের জন্য থামলেন।
বর্ণনাকারী বলেন, মূসা (আঃ) শিলাখন্ডের ওপর মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়লেন। সুফ্ইয়ান বলেন, আমর ইবনু দ্বীনার ব্যতীত সকল বর্ণনাকারী বলেছেন, শিলাখন্ডটির তলদেশে একটি ঝরণা ছিল, তাঁকে হায়াত বলা হত। কেননা, যে মৃতের ওপর তার পানি পতিত হয়, সে অমনি জীবিত হয়ে ওঠে। সে মাছটির ওপরও ঐ ঝরণার পানি পড়ল এবং সঙ্গে সঙ্গে সে লাফিয়ে উঠল। তারপর মাছটি বের হয়ে সমুদ্রে ঢুকে গেল। এরপরে মূসা (আঃ) যখন ঘুম থেকে জেগে উঠলেন। মূসা তাঁর খাদেমকে বললেন, ’আমাদের নাস্তা আন, আমরা তো আমাদের এ সফরে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে স্থান সম্পর্কে তাঁকে বলা হয়েছিল সে স্থান অতিক্রম করার পর থেকেই তিনি ক্লান্তি অনুভব করছিলেন।
তাঁর খাদেম ইউশা ইবনু নূন তাঁকে বললেন, ’’আপনি কি লক্ষ্য করেছেন, আমরা যখন শিলাখন্ডে বিশ্রাম নিচ্ছিলাম তখন আমি মাছের কথা ভুলে গিয়েছিলাম? বর্ণনাকারী বলেন, তারপর তাঁরা নিজেদের পদচিহ্ন অনুসরণ করে ফিরে আসলেন। তারা সমুদ্রে মাছটির চলে যাওয়ার জায়গায় সুড়ঙ্গের মত দেখতে পেলেন, যা মূসা (আঃ)-এর সাথী যুবককে বিস্মিত করে দিল। যখন তাঁরা শিলাখন্ডের কাছে পৌঁছলেন, সেখানে এ ব্যক্তিকে কাপড় জড়ানো অবস্থায় দেখতে পেলেন। মূসা (আঃ) তাঁকে সালাম দিলেন। তিনি বললেন, তোমাদের এলাকায় সালাম কীভাবে এল? মূসা (আঃ) বললেন, আমি মূসা। তিনি [খাযির (আঃ)] বললেন, বনী ইসরাঈলের মূসা (আঃ)? মূসা (আঃ) উত্তর দিলেন, হ্যাঁ। তারপর বললেন, ’’সত্য পথের যে জ্ঞান আপনাকে দান করা হয়েছে তা থেকে আমাকে শিক্ষা দিবেন- এ শর্তে আমি আপনার অনুসরণ করব কি?
খাযির (আঃ) বললেন, হে মূসা! তুমি আল্লাহ্ থেকে যে জ্ঞান পেয়েছ, তা আমি জানি, না। আর আমি আল্লাহর থেকে যে ’ইলম’ প্রাপ্ত হয়েছি তাও তুমি জান না। মূসা (আঃ) বললেন, আমি আপনার অনুসরণ করব। খাযির (আঃ) বললেন, আচ্ছা তুমি যদি আমার অনুসরণ করই, তবে কোন বিষয়ে আমাকে প্রশ্ন করবে না, যতক্ষণ না আমি সে বিষয়ে তোমাকে কিছু বলি। তারপর তাঁরা সমুদ্রের তীর দিয়ে চলতে লাগলেন। একটি নৌকা তাঁদের কাছ দিয়ে যাচ্ছিল, নৌকার লোকেরা খাযির (আঃ)-কে দেখে চিনতে পারল। তারা বিনা পারিশ্রমিকে তাঁদের নৌকায় উঠিয়ে নিল। তাঁরা নৌকায় উঠলেন। এ সময় একটি চড়ুই পাখি এসে নৌকার অগ্রভাগে বসলো। পাখিটি সমুদ্রে ঠোঁট ডুবিয়ে দিল। খাযির (আঃ) মূসা (আঃ)-কে বললেন, তোমার, আমার ও সৃষ্টিজগতের জ্ঞান আল্লাহর জ্ঞানের তুলনায় অতখানি, যতখানি এ চড়ুই পাখি তার ঠোঁট দিয়ে সমুদ্র থেকে পানি উঠাল।
বর্ণনাকারী বলেন, মূসা (আঃ) স্থান পরিবর্তন করেননি। খাযির (আঃ) অগ্রসর হতে চাইলেন। এমন সময় খাযির (আঃ) নৌকা ছিদ্র করে দিলেন। তখন মূসা (আঃ) তাঁকে বললেন, এরা আমাদেরকে বিনা পারিশ্রমিকে তাদের নৌকায় নিয়ে এল আর আপনি আরোহীদের ডুবানোর জন্য নৌকাটি ছিদ্র করে দিলেন। আপনি তো এক অন্যায় কাজ করেছেন। তারপর তাঁরা আবার চলতে লাগলেন এবং দেখতে পেলেন যে, একটি বালক কতকগুলো বালকের সঙ্গে খেলা করছে। খাযির (আঃ) সে বালকটির শিরোশ্ছেদ করে দিলেন। মূসা (আঃ) তাঁকে বললেন, আপনি কি এক নিষ্পাপ জীবন নাশ করলেন জীবনের বদলা ব্যতীতই? আপনি তো এক অন্যায় কাজ করে বসলেন।
তিনি বললেন, আমি কি বলিনি যে, তুমি আমার সঙ্গে কিছুতেই ধৈর্যধারণ করতে পারবে না? মূসা (আঃ) বললেন, এরপর যদি আমি আপনাকে কোন বিষয়ে জিজ্ঞেস করি, তবে আপনি আমাকে সঙ্গে রাখবেন না; আমার ওযরের চূড়ান্ত হয়েছে। তারপর তাঁরা দু’জনে চলতে লাগলেন। তাঁরা এক জনবসতির কাছে পৌঁছলেন এবং তাদের কাছে খাদ্য চাইলেন, তারা তাদের আতিথ্য অস্বীকার করল। তারপর সেখানে তাঁরা পতনোদ্যত প্রাচীরটি সোজা করে দিলেন। মূসা (আঃ) খাযির (আঃ)-কে বললেন, আমরা যখন এ জনবসতিতে প্রবেশ করছিলাম, তখন তার অধিবাসীরা আমাদের আতিথেয়তা করেনি এবং আমাদের খেতে দেয়নি। এ জন্য আপনি ইচ্ছা করলে পারিশ্রমিক নিতে পারতেন।
খাযির (আঃ) বললেন, এখানেই তোমার এবং আমার মধ্যে সম্পর্কচ্ছেদ হল। যে ব্যাপারে তুমি ধৈর্য ধরতে পারনি আমি তার রহস্য ব্যাখ্যা করছি। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মূসা (আঃ) যদি আর একটু ধৈর্য ধরতেন তবে আমরা তাদের দু’জনের ঘটনা সম্পর্কে আরও জানতে পারতাম। সা’ঈদ বলেন, ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) وَرَأَهُمْ مَلِكُ এর স্থানে اَمَامَهُمْ مَلُكٌ পড়তেন। অর্থ ’’তাদের (যাত্রাপথের) সম্মুখে ছিল এক রাজা, যে জোর করে সকল ভাল নৌকা ছিনিয়ে নিত। আর বালকটি ছিল কাফের।’’ [৭৪] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৩৬৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪৩৬৮)
بَاب قَوْلِهِ
قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيْدٍ قَالَ حَدَّثَنِيْ سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِيْنَارٍ عَنْ سَعِيْدِ بْنِ جُبَيْرٍ قَالَ قُلْتُ لِابْنِ عَبَّاسٍ إِنَّ نَوْفًا الْبَكَالِيَّ يَزْعُمُ أَنَّ مُوْسَى بَنِيْ إِسْرَائِيْلَ لَيْسَ بِمُوْسَى الْخَضِرِ فَقَالَ كَذَبَ عَدُوُّ اللهِ حَدَّثَنَا أُبَيُّ بْنُ كَعْبٍ عَنْ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ قَامَ مُوْسَى خَطِيْبًا فِيْ بَنِيْ إِسْرَائِيْلَ فَقِيْلَ لَهُ أَيُّ النَّاسِ أَعْلَمُ قَالَ أَنَا فَعَتَبَ اللهُ عَلَيْهِ إِذْ لَمْ يَرُدَّ الْعِلْمَ إِلَيْهِ وَأَوْحَى إِلَيْهِ بَلَى عَبْدٌ مِنْ عِبَادِيْ بِمَجْمَعِ الْبَحْرَيْنِ هُوَ أَعْلَمُ مِنْكَ قَالَ أَيْ رَبِّ كَيْفَ السَّبِيْلُ إِلَيْهِ قَالَ تَأْخُذُ حُوْتًا فِيْ مِكْتَلٍ فَحَيْثُمَا فَقَدْتَ الْحُوْتَ فَاتَّبِعْهُ قَالَ فَخَرَجَ مُوْسَى وَمَعَهُ فَتَاهُ يُوْشَعُ بْنُ نُوْنٍ وَمَعَهُمَا الْحُوْتُ حَتَّى انْتَهَيَا إِلَى الصَّخْرَةِ فَنَزَلَا عِنْدَهَا قَالَ فَوَضَعَ مُوْسَى رَأْسَهُ فَنَامَ قَالَ سُفْيَانُ وَفِيْ حَدِيْثِ غَيْرِ عَمْرٍو قَالَ وَفِيْ أَصْلِ الصَّخْرَةِ عَيْنٌ يُقَالُ لَهَا الْحَيَاةُ لَا يُصِيْبُ مِنْ مَائِهَا شَيْءٌ إِلَّا حَيِيَ فَأَصَابَ الْحُوْتَ مِنْ مَاءِ تِلْكَ الْعَيْنِ قَالَ فَتَحَرَّكَ وَانْسَلَّ مِنَ الْمِكْتَلِ فَدَخَلَ الْبَحْرَ فَلَمَّا اسْتَيْقَظَ مُوْسَى قَالَ لِفَتَاهُ (اٰتِنَا غَدَآءَنَا) الْآيَةَ قَالَ وَلَمْ يَجِدْ النَّصَبَ حَتَّى جَاوَزَ مَا أُمِرَ بِهِ قَالَ لَهُ فَتَاهُ يُوْشَعُ بْنُ نُوْنٍ (أَرَأَيْتَ إِذْ أَوَيْنَآ إِلَى الصَّخْرَةِ فَإِنِّيْ نَسِيْتُ الْحُوْتَ) الْآيَةَ قَالَ فَرَجَعَا يَقُصَّانِ فِيْ آثَارِهِمَا فَوَجَدَا فِي الْبَحْرِ كَالطَّاقِ مَمَرَّ الْحُوْتِ فَكَانَ لِفَتَاهُ عَجَبًا وَلِلْحُوْتِ سَرَبًا قَالَ فَلَمَّا انْتَهَيَا إِلَى الصَّخْرَةِ إِذْ هُمَا بِرَجُلٍ مُسَجًّى بِثَوْبٍ فَسَلَّمَ عَلَيْهِ مُوْسَى قَالَ وَأَنَّى بِأَرْضِكَ السَّلَامُ فَقَالَ أَنَا مُوْسَى قَالَ مُوْسَى بَنِيْ إِسْرَائِيْلَ قَالَ نَعَمْ قَالَ هَلْ أَتَّبِعُكَ عَلَى أَنْ تُعَلِّمَنِيْ مِمَّا عُلِّمْتَ رَشَدًا قَالَ لَهُ الْخَضِرُ يَا مُوْسَى إِنَّكَ عَلَى عِلْمٍ مِنْ عِلْمِ اللهِ عَلَّمَكَهُ اللهُ لَا أَعْلَمُهُ وَأَنَا عَلَى عِلْمٍ مِنْ عِلْمِ اللهِ عَلَّمَنِيْهِ اللهُ لَا تَعْلَمُهُ قَالَ بَلْ أَتَّبِعُكَ قَالَ فَإِنْ اتَّبَعْتَنِيْ فَلَا تَسْأَلْنِيْ عَنْ شَيْءٍ حَتَّى أُحْدِثَ لَكَ مِنْهُ ذِكْرًا فَانْطَلَقَا يَمْشِيَانِ عَلَى السَّاحِلِ فَمَرَّتْ بِهِمْ سَفِيْنَةٌ فَعُرِفَ الْخَضِرُ فَحَمَلُوْهُمْ فِيْ سَفِيْنَتِهِمْ بِغَيْرِ نَوْلٍ يَقُوْلُ بِغَيْرِ أَجْرٍ فَرَكِبَا السَّفِيْنَةَ قَالَ وَوَقَعَ عُصْفُوْرٌ عَلَى حَرْفِ السَّفِيْنَةِ فَغَمَسَ مِنْقَارَهُ فِي الْبَحْرِ فَقَالَ الْخَضِرُ لِمُوْسَى مَا عِلْمُكَ وَعِلْمِيْ وَعِلْمُ الْخَلَائِقِ فِيْ عِلْمِ اللهِ إِلَّا مِقْدَارُ مَا غَمَسَ هَذَا الْعُصْفُوْرُ مِنْقَارَهُ قَالَ فَلَمْ يَفْجَأْ مُوْسَى إِذْ عَمَدَ الْخَضِرُ إِلَى قَدُوْمٍ فَخَرَقَ السَّفِيْنَةَ فَقَالَ لَهُ مُوْسَى قَوْمٌ حَمَلُوْنَا بِغَيْرِ نَوْلٍ عَمَدْتَ إِلَى سَفِيْنَتِهِمْ فَخَرَقْتَهَا لِتُغْرِقَ أَهْلَهَا لَقَدْ جِئْتَ الْآيَةَ فَانْطَلَقَا إِذَا هُمَا بِغُلَامٍ يَلْعَبُ مَعَ الْغِلْمَانِ فَأَخَذَ الْخَضِرُ بِرَأْسِهِ فَقَطَعَهُ قَالَ لَهُ مُوْسَى (أَقَتَلْتَ نَفْسًا زَكِيَّةًمبِغَيْرِ نَفْسٍ لَقَدْ جِئْتَ شَيْئًا نُكْرًا قَالَ أَلَمْ أَقُلْ لَّكَ إِنَّكَ لَنْ تَسْتَطِيْعَ مَعِيْ صَبْرًا) إِلَى قَوْلِهِ فَأَبَوْا أَنْ يُضَيِّفُوْهُمَا فَوَجَدَا فِيْهَا جِدَارًا يُرِيْدُ أَنْ يَنْقَضَّ فَقَالَ بِيَدِهِ هَكَذَا فَأَقَامَهُ فَقَالَ لَهُ مُوْسَى إِنَّا دَخَلْنَا هَذِهِ الْقَرْيَةَ فَلَمْ يُضَيِّفُوْنَا وَلَمْ يُطْعِمُوْنَا لَوْ شِئْتَ لَاتَّخَذْتَ عَلَيْهِ أَجْرًا (قَالَ هٰذَا فِرَاقُ بَيْنِيْ وَبَيْنِكَ سَأُنَبِّئُكَ بِتَأْوِيْلِ مَا لَمْ تَسْتَطِعْ عَّلَيْهِ صَبْرًا) فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَدِدْنَا أَنَّ مُوْسَى صَبَرَ حَتَّى يُقَصَّ عَلَيْنَا مِنْ أَمْرِهِمَا قَالَ وَكَانَ ابْنُ عَبَّاسٍ يَقْرَأُ وَكَانَ أَمَامَهُمْ مَلِكٌ يَأْخُذُ كُلَّ سَفِيْنَةٍ صَالِحَةٍ غَصْبًا وَأَمَّا الْغُلَامُ فَكَانَ كَافِرًا.
Narrated Sa`id bin Jubair:
I said to Ibn `Abbas, "Nauf-al-Bakali " claims that Moses of Bani Israel was not Moses, the companion of Al-Khadir." Ibn `Abbas said, "Allah's enemy tells a lie! Ubai bin Ka`b narrated to us that Allah's Messenger (ﷺ) said, 'Moses got up to deliver a sermon before Bani Israel and he was asked, 'Who is the most learned person among the people?' Moses replied, 'I (am the most learned).' Allah then admonished Moses for he did not ascribe all knowledge to Allah only (Then) came the Divine Inspiration:-- 'Yes, one of Our slaves at the junction of the two seas is more learned than you.' Moses said, 'O my Lord ! How can meet him?' Allah said, 'Take a fish in a basket and wherever the fish is lost, follow it (you will find him at that place). So Moses set out along with his attendant Yusha` bin Noon, and they carried with them a fish till they reached a rock and rested there. Moses put his head down and slept. (Sufyan, a sub-narrator said that somebody other than `Amr said) 'At the rock there was a water spring called 'Al-Hayat' and none came in touch with its water but became alive. So some of the water of that spring fell over that fish, so it moved and slipped out of the basket and entered the sea. When Moses woke up, he asked his attendant, 'Bring our early meal' (18.62). The narrator added: Moses did not suffer from fatigue except after he had passed the place he had been ordered to observe. His attendant Yusha` bin Noon said to him, 'Do you remember (what happened) when we betook ourselves to the rock? I did indeed forget (about) the fish ...' (18.63) The narrator added: So they came back, retracing their steps and then they found in the sea, the way of the fish looking like a tunnel. So there was an astonishing event for his attendant, and there was tunnel for the fish. When they reached the rock, they found a man covered with a garment. Moses greeted him. The man said astonishingly, 'Is there any such greeting in your land?' Moses said, 'I am Moses.' The man said, 'Moses of Bani Israel?' Moses said, 'Yes,' and added, 'may I follow you so that you teach me something of the Knowledge which you have been taught?' (18.66). Al-Khadir said to him, 'O Moses! You have something of Allah's knowledge which Allah has taught you and which I do not know; and I have something of Allah's knowledge which Allah has taught me and which you do not know.' Moses said, 'But I will follow you.' Al-Khadir said, 'Then if you follow me, ask me no question about anything until I myself speak to you concerning it.' (18.70). After that both of them proceeded along the seashore. There passed by them a boat whose crew recognized Al-Khadir and received them on board free of charge. So they both got on board. A sparrow came and sat on the edge of the boat and dipped its beak unto the sea. Al-Khadir said to Moses. 'My knowledge and your knowledge and all the creation's knowledge compared to Allah's knowledge is not more than the water taken by this sparrow's beak.' Then Moses was startled by Al-Khadir's action of taking an adze and scuttling the boat with it. Moses said to him, 'These people gave us a free lift, but you intentionally scuttled their boat so as to drown them. Surely you have...' (18.71) Then they both proceeded and found a boy playing with other boys. Al-Khadir took hold of him by the head and cut it off. Moses said to him, 'Have you killed an innocent soul who has killed nobody? Surely you have done an illegal thing! ' (18.74) He said, "Didn't I tell you that you will not be able to have patient with me up to ..but they refused to entertain them as their guests. There they found a wall therein at the point of collapsing.' (18.75-77) Al-Khadir moved his hand thus and set it upright (repaired it). Moses said to him, 'When we entered this town, they neither gave us hospitality nor fed us; if you had wished, you could have taken wages for it,' Al- Khadir said, 'This is the parting between you and me I will tell you the interpretation of (those things) about which you were unable to hold patience.'...(18.78) Allah's Messenger (ﷺ) said, 'We wished that Moses could have been more patient so that He (Allah) could have described to us more about their story.' Ibn `Abbas used to recite:-- 'And in front (ahead) of them there was a king who used to seize every (serviceable) boat by force. (18.79) ...and as for the boy he was a disbeliever. "