লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৩০/৬৩. জুমু‘আর দিনে সওম করা। যদি জুমু‘আর দিনে সওম পালনরত অবস্থায় ভোর হয় তবে তার উচিত সওম ছেড়ে দেয়া। অর্থাৎ যদি এর আগের দিনে সওম পালন না করে থাকে এবং পরের দিনে সওম পালনের ইচ্ছা না থাকে।
১৯৮৫. আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছি যে, তোমাদের কেউ যেন শুধু জুম‘আর দিনে সওম পালন না করে কিন্তু তার পূর্বে একদিন অথবা পরের দিন (যদি পালন করে তবে জুমু‘আর দিনে সওম পালন করা যায়)। (মুসলিম ১৩/২৪, হাঃ ১১৪৪, আহমাদ ১০৮০৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৮৪৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৮৫৯)
* এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১। কোনো মুসলিম ব্যক্তির জন্য এটা জায়েজ নয় যে, সে শুধু শুক্রবারে বা জুমার দিনে রোজা রাখবে। তবে কোনো ব্যক্তির কোনো রোজা রাখার অভ্যাস থাকলে, সে ব্যক্তি শুধু জুমার দিনে রোজা রাখতে পারবে।
২। শুক্রবার বা জুমার দিনটি হলো দোয়া, জিকির এবং আল্লাহর উপাসনা বা ইবাদতে মগ্ন থাকার দিন এবং পবিত্র ও হালাল রুজি উপার্জন করার দিন; সুতরাং শুধু এই দিনে রোজা রাখা ভালো কর্ম নয়। তাই মহান আল্লাহ বলেছেন:
فَاِذَا قُضِیَتِ الصَّلٰوۃُ فَانۡتَشِرُوۡا فِی الۡاَرۡضِ وَ ابۡتَغُوۡا مِنۡ فَضۡلِ اللّٰهِ وَ اذۡکُرُوا اللّٰهَ کَثِیۡرًا لَّعَلَّکُمۡ تُفۡلِحُوۡنَ ﴿۱۰﴾
ভাবার্থের অনুবাদ: “অতএব যখন জুমার নামাজ পড়া শেষ হয়ে যাবে, তখন তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়বে এবং আল্লাহর প্রদত্ত জীবিকার্জনের কাজে তৎপর থাকবে। এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করবে” । (সূরা আল জুমুয়া, আয়াত নং ১০ এর অংশবিশেষ) ।
بَاب صَوْمِ يَوْمِ الْجُمُعَةِ فَإِذَا أَصْبَحَ صَائِمًا يَوْمَ الْجُمُعَةِ فَعَلَيْهِ أَنْ يُفْطِرَ يَعْنِي إِذَا لَمْ يَصُمْ قَبْلَهُ وَلاَ يُرِيدُ أَنْ يَصُومَ بَعْدَهُ
حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ حَدَّثَنَا أَبِي حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ حَدَّثَنَا أَبُو صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ لاَ يَصُومَنَّ أَحَدُكُمْ يَوْمَ الْجُمُعَةِ إِلاَّ يَوْمًا قَبْلَهُ أَوْ بَعْدَهُ
Narrated Abu Huraira:
I heard the Prophet (ﷺ) saying, "None of you should fast on Friday unless he fasts a day before or after it."