লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ কোন মুসলিমের নির্দেশ কেউ আত্মসমার্পন করলে।
১৫৮৮। কুতায়বা (রহঃ) ... জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, খন্দকের যুদ্ধের সময় সা’দ ইবনু মু’আয রাদিয়াল্লাহু আনহু তীরের আঘাতে আহত হয়েছিলেন। এতে তাঁর বাহুর প্রধান রগটি কেটে গিয়েছিল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আগুনে সেক দিয়ে তাঁর রক্তক্ষরণ বন্ধ করে দেন। পরে তার হাত ফুলে যায়। তখন তিনি সেক দেওয়া ছেড়ে দেন। পরে পুনরায় রক্তক্ষরণে তিনি অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েন। আবার তাকে সেক দিয়ে তার রক্তক্ষরণ বন্ধ করা হয়। তখন পুনরায় তার হাত ফুলে যায়। সা’দ যখন নিজের এ অবস্থা দেখলেন তখন দু’আ করলেন, হে আল্লাহ! (ইয়াহূদী গোত্র) বানূ কুরায়বার ব্যাপারে আমার চক্ষু শীতল না করে তুমি আমার প্রাণ হরণ করো না। সঙ্গে সঙ্গে তার রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়ে যায়। একটি ফোটাও আর তার রক্ত পড়েনি। অবশেষে বানূ কুরায়যা তার ফায়সালানুসারে আত্মসমর্পণ করে। এই বিষয়েই তার কাছে ফায়সালার জন্য প্রেরণ করা হয়েছিল। তখন তিনি ফায়সালা দেন যে, এদের পুরুষদের হত্যা করা হবে। মেয়েদের জীবিত রাখা হবে। তাদের মাধ্যমে মুসলিমরা কাজ নিবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এদের বিষয়ে তুমি ঠিক ঠিক ফায়সালায় উপনীত হয়ে পেরেছ। বানূ কুরায়যার পুরুষদের সংখ্যা ছিল চারশ’। এদের হত্যা করা শেষ হলে সা’দ রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর আঘাতপ্রাপ্ত রগটি পুনরায় ফেটে যায় এবং তিনি মৃত্যুবরণ করেন। সহীহ, ইরওয়া ৫/৩৮-৩৯, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৫৮২ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে আবূ সাঈদ ও আতিয়্যা কুরাযী রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ।
باب مَا جَاءَ فِي النُّزُولِ عَلَى الْحُكْمِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّهُ قَالَ رُمِيَ يَوْمَ الأَحْزَابِ سَعْدُ بْنُ مُعَاذٍ فَقَطَعُوا أَكْحَلَهُ أَوْ أَبْجَلَهُ فَحَسَمَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالنَّارِ فَانْتَفَخَتْ يَدُهُ فَتَرَكَهُ فَنَزَفَهُ الدَّمُ فَحَسَمَهُ أُخْرَى فَانْتَفَخَتْ يَدُهُ فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ قَالَ اللَّهُمَّ لاَ تُخْرِجْ نَفْسِي حَتَّى تُقِرَّ عَيْنِي مِنْ بَنِي قُرَيْظَةَ . فَاسْتَمْسَكَ عِرْقُهُ فَمَا قَطَرَ قَطْرَةً حَتَّى نَزَلُوا عَلَى حُكْمِ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ فَحَكَمَ أَنْ يُقْتَلَ رِجَالُهُمْ وَيُسْتَحْيَى نِسَاؤُهُمْ يَسْتَعِينُ بِهِنَّ الْمُسْلِمُونَ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَصَبْتَ حُكْمَ اللَّهِ فِيهِمْ " . وَكَانُوا أَرْبَعَمِائَةٍ فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ قَتْلِهِمُ انْفَتَقَ عِرْقُهُ فَمَاتَ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ وَعَطِيَّةَ الْقُرَظِيِّ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Narrated Jabir:
"On the day of (the battle of) Al-Ahzab, Sa'd bin Mu'adh was struck by an arrow such that the upper vein or lower vein of his forearm was severed. So the Messenger of Allah (ﷺ) tried to stop it with fire, but it made his arm bleed profusely so he left it. Then he did it another time but it caused it to bleed profusely. Upon seeing that he said: 'O Allah! Do not allow my soul depart until my eyes are comforted by elimination of Banu Quraizah.' He pressed his vein closed and it did not bleed a drop before they surrendered to the arbitration of Sa'd bin Mu'adh. He (the Prophet (ﷺ)) sent to him (Sa'd) who judged that their men should be killed, their women should be spared, and that the Muslims may share them among themselves. With this, the Messenger of Allah (ﷺ) said: 'You have judged according to Allah's judgement for them.' And they were four hundred. Then when he finished killing them, his vein opened up and he died."
[He said:] There are narrations on this topic from Abu Sa'eed and 'Atiyyah Al-Qurazi.
[Abu 'Eisa said:] This Hadith is Hasan Sahih.