১১৫৪

পরিচ্ছেদঃ যদ্বারা দুগ্ধপানের হক মিটানো যায়।

১১৫৪. কুতায়বা (রহঃ) ...... হাজ্জাজ আসলামী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমার থেকে দুগ্ধপানের হক কিভাবে মিটানো যায়? তিনি বললেন, (দুধমাকে) গুররা তথা একটি দাস বা দাসী প্রদান করে। - যইফ আবু দাউদ ৩৫১, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১১৫৩ [আল মাদানী প্রকাশনী]

ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ। ইয়াহ্ইয়া ইবনু সাঈদ কাত্তান ও হাতিম ইবনু ইসমাঈল প্রমুখ (রহঃ) এই হাদীসটিকে হিশাম ইবনু উরওয়া তাঁর পিতা উরওয়া হাজ্জাজ ইবনু হাজ্জাজ তাঁর পিতা হাজ্জাজ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন। সুফইয়ান ইবনু উয়ায়না হিশাম ইবনু উরওয়া-তার পিতা উরওয়া-হাজ্জাজ ইবনু আবূ হাজ্জাজ- তাঁর পিতা আবূ হাজ্জাজ-নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু ইবনু উয়ায়না (রহঃ) বর্ণিত এই রিয়ায়তটি মাহফূজ বা বিশুদ্ধ নয়। তারা হিশাম ইবনু উরওয়া-তার পিতা উরওয়া (রহঃ) সূত্রে যে রিওয়ায়াত করেছেন তাই সাহীহ।

হিশাম ইবনু উরওয়া (রহঃ)-এর কুনিয়াত বা উপনাম আবূল মুনযির। তিনি জাবির ইবনু আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু কে পেয়েছেন।مَا يُذْهِبُ عَنِّي مَذَمَّةَ الرَّضَاعَةِ বাক্যটিরمَذَمَّةَ الرَّضَاعَةِ অর্থ হলো রাযআত বা দুগ্ধপানের হক। তুমি যদি দুধ মাকে একটি দাস বা দাসী দাও তবে তুমি তার হক আদায় করলে। আবূ তুফায়ল রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে বসা ছিলাম। এমন সময় এক মহিলা আসলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার জন্য স্বীয় চাঁদরখানি বিছিয়ে দিলেন, ঐ মহিলা তাতে বসলেন। তিনি চলে গেলে বলা হল, এই মহিলা-ই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দুধ পান করিয়েছিলেন।

باب مَا جَاءَ مَا يُذْهِبُ مَذَمَّةَ الرَّضَاعِ ‏

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ حَجَّاجِ بْنِ حَجَّاجٍ الأَسْلَمِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ سَأَلَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا يُذْهِبُ عَنِّي مَذَمَّةَ الرَّضَاعِ فَقَالَ ‏ "‏ غُرَّةٌ عَبْدٌ أَوْ أَمَةٌ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَمَعْنَى قَوْلِهِ مَا يُذْهِبُ عَنِّي مَذَمَّةَ الرَّضَاعِ ‏.‏ يَقُولُ إِنَّمَا يَعْنِي بِهِ ذِمَامَ الرَّضَاعَةِ وَحَقَّهَا يَقُولُ إِذَا أَعْطَيْتَ الْمُرْضِعَةَ عَبْدًا أَوْ أَمَةً فَقَدْ قَضَيْتَ ذِمَامَهَا ‏.‏ وَيُرْوَى عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ قَالَ كُنْتُ جَالِسًا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِذْ أَقْبَلَتِ امْرَأَةٌ فَبَسَطَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم رِدَاءَهُ حَتَّى قَعَدَتْ عَلَيْهِ فَلَمَّا ذَهَبَتْ قِيلَ هِيَ كَانَتْ أَرْضَعَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ هَكَذَا رَوَاهُ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ وَحَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ وَغَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ حَجَّاجِ بْنِ حَجَّاجٍ عَنْ أَبِيهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَرَوَى سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ حَجَّاجِ بْنِ أَبِي حَجَّاجٍ عَنْ أَبِيهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَحَدِيثُ ابْنِ عُيَيْنَةَ غَيْرُ مَحْفُوظٍ وَالصَّحِيحُ مَا رَوَى هَؤُلاَءِ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ ‏.‏ وَهِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ يُكْنَى أَبَا الْمُنْذِرِ وَقَدْ أَدْرَكَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ وَابْنَ عُمَرَ ‏.‏


Hajjaj bin Hajjaj Al-Aslami narrated that His father asked the Prophet: “O Messenger of Allah! What will remove the responsibility of the foster relationship from me?” So he said: “A Ghurrah: a male slave or a female slave.”