হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
১১৪১

পরিচ্ছেদঃ ৮২: এক সিজদা অন্য সিজদা হতে দীর্ঘ হওয়া

১১৪১. ’আবদুর রহমান ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু সাল্লাম (রহ.) ..... শাদ্দাদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ’ইশার সালাতে রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাদের দিকে বের হয়ে আসলেন। তখন তিনি হাসান অথবা হুসায়ন (রাঃ)-কে বহন করে আনছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) সামনে অগ্রসর হয়ে তাঁকে রেখে দিলেন। এরপর সালাতের জন্যে তাকবীর বললেন ও সালাতে রত হলেন। সালাতের মধ্যে একটি সিজদা দীর্ঘ করলেন। (হাদীসের অন্যতম রাবী ’আবদুল্লাহ বলেন) আমার পিতা (শাদ্দাদ) বলেন, আমি আমার মাথা তুললাম এবং দেখলাম, ঐ ছেলেটা রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর পিঠের উপর রয়েছেন। আর তিনি সিজদারত। অতঃপর আমি আমার সিজদায় গেলাম। রাসূলুল্লাহ (সা.) সালাত শেষ করলে লোকেরা বলল, হে আল্লাহর রসূল! আপনি আপনার সালাতের মধ্যে একটি সিজদা এত দীর্ঘ করলেন যাতে আমরা মনে করলাম, হয়ত কোন ব্যাপার ঘটে থাকবে। অথবা আপনার ওপর ওয়াহী নাযিল হচ্ছে। তিনি বললেন, এর কোনটাই ঘটেনি বরং আমার ঐ সন্তান আমাকে সওয়ারী বানিয়েছিল। আমি তাড়াতাড়ি উঠতে অপছন্দ করলাম, যাতে সে তার কাজ সমাধা করতে পারে।

بَاب هَلْ يَجُوزُ أَنْ تَكُونَ سَجْدَةٌ أَطْوَلَ مِنْ سَجْدَةٍ

أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ سَلَّامٍ قال:‏‏‏‏ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ قال:‏‏‏‏ أَنْبَأَنَا جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ قال:‏‏‏‏ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي يَعْقُوبَ الْبَصْرِيُّ، ‏‏‏‏‏‏عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَدَّادٍ، ‏‏‏‏‏‏عَنْ أَبِيهِ، ‏‏‏‏‏‏قال:‏‏‏‏ خَرَجَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي إِحْدَى صَلَاتَيِ الْعِشَاءِ وَهُوَ حَامِلٌ حَسَنًا أَوْ حُسَيْنًا فَتَقَدَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَوَضَعَهُ، ‏‏‏‏‏‏ثُمَّ كَبَّرَ لِلصَّلَاةِ فَصَلَّى فَسَجَدَ بَيْنَ ظَهْرَانَيْ صَلَاتِهِ سَجْدَةً أَطَالَهَا قَالَ:‏‏‏‏ أَبِي فَرَفَعْتُ رَأْسِي وَإِذَا الصَّبِيُّ عَلَى ظَهْرِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ سَاجِدٌ فَرَجَعْتُ إِلَى سُجُودِي فَلَمَّا قَضَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الصَّلَاةَ قَالَ النَّاسُ:‏‏‏‏ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّكَ سَجَدْتَ بَيْنَ ظَهْرَانَيْ صَلَاتِكَ سَجْدَةً أَطَلْتَهَا حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ قَدْ حَدَثَ أَمْرٌ أَوْ أَنَّهُ يُوحَى إِلَيْكَ قَالَ:‏‏‏‏ كُلُّ ذَلِكَ لَمْ يَكُنْ وَلَكِنَّ ابْنِي ارْتَحَلَنِي فَكَرِهْتُ أَنْ أُعَجِّلَهُ حَتَّى يَقْضِيَ حَاجَتَهُ . تخریج دارالدعوہ: تفرد بہ النسائي، حم۳/۴۹۳، ۶/۴۶۷، (تحفة الأشراف: ۴۸۳۲) (صحیح) صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 1141 - صحيح

82. Is It Permissible To Make One Prostration Longer Than The Other?


It was narrated from 'Abdullah bin Shaddad, this his father said: The Messenger of Allah (ﷺ) came out to us for one of the nighttime prayers, and he was carrying Hasan or Husain. The Messenger of Allah (ﷺ) came forward and put him down, then he said the Takbir and started to pray. He prostrated during his prayer, and made the prostration lengthy. My father said: I raised my head and saw the child on the back of the Messenger of Allah (ﷺ) while he was prostrating so I went back to my prostration. When the Messenger of Allah (ﷺ) finished praying, the people said: O Messenger of Allah (ﷺ), you prostrated during the prayer for so long that we thought that something had happened or that you were receiving a revelation.' He said: 'No such thing happened. But my son was riding on my back and I did not like to disturb him until he had enough.'